পাটি সাপটা ঃ
শীত এলেই পিটা খাওয়ার ধুম পড়ে যায় সারা বাংলাদেশে। এছাড়াও সারা বছরই অল্প-স্বল্প পিঠা বানানো ও খাওয়া হয়। এলাকা বেধে একেক পিঠার একেক নাম আবার বানানো ধরনও কিছুটা ভিন্ন হয়। পাটি সাপটা পিঠা খায়নি বা চিনেনা বাংলাদেশে এরকম লোক বিরল। শীতের অন্যতম মজাদার পিঠা। (পিঠা বানানো ছবি ক্রেডিট- আমার সহধর্মিনী)
২।
মেরা/গুল্লি/মারবেল/দইল্লা/লাঠিম পিঠা ঃ
আমাদের এলাকায় এবং কুমিল্লা ও মুন্সীগঞ্জ এলাকার অন্যতম শীতের পিঠা। চালের গুড়ি, গুড়, নারকেট দিয়েই হয়ে যায় এই মজাদার পিঠা তৈরী। কাই বা খামির করে হাতের তালুতে ঘষে গোল গোল বা লাঠিম আকৃতি করে বানিয়ে বানিতে ভাপে সিদ্ধ করলেই হয়ে যায় এই পিঠা।
(পিঠা বানানো ছবি ক্রেডিট- আমার সহধর্মিনী)
৩।
চিতই/খোলা পিঠা ঃ এটাও শীত বা সারা বছরই তৈরী হয় বাংলাদেশ। সাধারণত মাংস, ভর্তা দিয়ে খাওয়া হয়। আর শীত এলে দুধ বা সিরাতে ডুবিয়ে সকালের নাস্তা খাওয়া হয়।(বাসায় তৈরী পিঠার ছবি দেওয়া গেলনা মোবাইলে খুজে পাচ্ছিনা)
(ছবি ক্রেডিট- বিডিনিউট ২৪.কম)
৪।
কুলি/পুলি পিঠা ঃ নারকেল ও চিনি বা গুড়ের পুর বা মিশ্রন তৈরী করে পিঠার ভিতর ভরে ঠিজাইন করে কেটে আকৃতি দেওয়া হয়। তারপর তেলে ভেজে বা ঘন দুধের শিরাতে ডুবিয়ে খাওয়া হয়। (ছবি ক্রেডিট- যুগান্তর পত্রিকা)
৫।
আন্দাসা/তেলে ভাজা/ তেলের পিঠা ঃ কোন ঝামেলা ছাড়াই চালের গোলা ও গুড় বা মিশিয়ে তেলে ভাজলেই এই পিঠা বানানো হয়ে যায়। এটা মিষ্টি হয় প্রচুর। যাদের সমস্যা তাদের জন্য শুধু চালের গোলায় আদা বালা যোগ করেও ঝাল পিঠা বানানো যায়।(ছবি ক্রেডিট- ২৪ লাইভবাংলঅ নিউপ.কম)
৬।
খেজুরের রস ঃ আহা! এক সময় গ্রামে প্রতিবছর খাওয়া হলেও অধুনা গ্রামেও এই রসের দেখা পাওয়া যায়না। গাছীরা আর আসেনা তাই খেজুরগাছে তাড়ি দেওয়া হয়না ফলে রং খাওয়া থেকে বঞ্চিত হাজার হাজার মানুষ। ২০১১ সালের পর নিপা ভাইরাসের কারণে খাওয়া কমিয়ে বা ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে। তবে এবার সৌভাগ্য গতকাল সকালে বাসার সামনে রসওয়ালে পেয়ে গেলাম। আর ঠান্ডা মিষ্টি খেজুরের রস পান করালাম। (ছবি-নিজের তোলা)
পিঠা ও রস ছাড়া যেন বাঙালীল শীত অপূর্ণ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৯