আজকে অফিসে পৌছে টেন্ডারের কাজ শেষ করবো বলে যেই কাজ শুরু করলাম ঠিকই তখনই নিউজ পেলাম আগামীকাল সরকারী কর্মচারীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিবন্ধন ফর্ম পূরনের শেষ দিন।
https://surokkha.gov.bd তে গিয়ে নিবন্ধনে ক্লিক করে কাজ শুরু করলাম। এ্যাপসে বিভিন্ন ফিচার রয়েছে। প্রথমেই যাচাই করুনে গিয়ে নির্ধারিত ১৯ টি অপশন থেকে একটি বেছে নিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্মতারিখ দিয়ে যাচাই করা শেষ ও সফল হলে পরবর্তী
ধাপে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে ফিলাপ করে সেফ করলাম।
এর পর ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড মোবাইলে এলে সেটা দিয়ে আবার যাচাই করে টিকা কার্ড সংগ্রহে গিয়ে ডাইনলোড করে প্রিন্ট কপি নিয়ে তবেই কাজ শেষ। মোটমোটি ভালই প্রসেসে যেতে হয়।
যাক এটা শেষ করে যখন অফিসিয়াল কাজ শুরু করলাম তখনই খবর পেয়ে সহকর্মীরা আসতে লাগলো তাদের সবাইকে নিবন্ধন করিয়ে দেওয়ার জন্য। এক জন ,দুইজন, তিনজন.........................এভাবে অনেকজনেরটা করার পর লাঞ্চ ও নামাজের বিরতীতে অন্যএকজন সহকর্মীকে বসিয়ে, সিস্টেম দেখিয়ে দিয়ে চলে গেলাম। এসে দেখি রুমের দরজা বন্ধ আর টেবিলে স্লিপের স্তুুপ। টেকনিক্যাল সাইটের কর্মীরা, প্রশাসন ও হিসাব শাখার কর্মীলা এনআইডি ও নাম, জন্মতারিখ ও অন্যান্য তথ্যাদি লিখে রেখে চলে গেছে।
সহকর্মী কাজের চাপে উধাও। ফোনে বলল-ব্যাংকে আছি। আসছি।
যারা ছুটিতে ছিল তারাও অফিসে অবস্থানরত কর্মীদের কাছ থেকে জানতে পেরে ফোনে, ম্যাসেজে তথ্য দিতে লাগলো আর নিবন্ধনের অন্য অনুরোধ। বিরক্ত হয়ে বললাম-মোবাইলেওতো করা যায়, যারা পারেন করে ফেলুন। যারা পারবেননা তাদেরটা করে দিব।
আবার টেন্ডার ফাইল নিয়ে ব্যস্ত হলাম কিন্তু কাজ আর হলনা তেমন একটু পর পর কারো না কারোকে মহামারি থেকে সুরক্ষার জন্য নিবন্ধন করে চলেছি।
অবস্থা দেখে মনে হলো-যেন নিবন্ধন করলেই রক্ষা পাওয়া যাবে। যে করেই হোক নিবন্ধন করে টিকা কার্ড প্রিন্ট নিতে হবে এই হচ্ছে মানসিকতা। সবকিছুর সিস্টেম আছে। সময় ও সিস্টেমের অভাবে কাজ জটিল হয়ে পড়ে।
ছবি-প্রিন্টের পর টিকা কার্ড।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৪