পথিক যদি পথ হারায়
প্রেমিক যদি প্রেমিকা হারায়
কবি যদি মন হারায়
তবে কার হৃদয়ে দুঃখ বাড়ায়...
একদিন আমি আর আমার বন্ধু টুটুল হারিয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হলাম। আমরা তখন থাকি সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট। আসলে আমরা কোথায় যাচ্ছি কি করছি নিজেরাই জানিনা শুধু সকাল থেকে হেঁটে যাচ্ছি। ঘন্টা দুই হাটার পর যে জায়গাটায় গেলাম সেখানের লোকদেরকে ঢাকা যাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করে আমরা হতাশ হলাম । আমরা ভুল পথে এসেছি অর্থাৎ পথ হারিয়েছি।
আবার হেঁটে বিপরীত দিকে যেতে লাগলাম ঘন্টার পর ঘন্টা। ক্ষুধা তৃষ্ণায় কাতর হতে হতে আমরা পার্বতীপুর রেল স্টেশনে পৌঁছেছিলাম আছর ওয়াক্তের সময়।
আমরা তো এখনো স্থির করতে পারিনি আমরা কোথায় হারিয়ে যাব। ও বলল ওর নানীর বাড়ি ময়মনসিংহ সেখানে যাবে। আমি বললাম আমার নানির বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সেখানে যাব । কিন্তু বিপত্তি বাধল প্লাটফর্মে কোন ট্রেন কোন দিকে যাচ্ছে আমরা জানি না আর ভয়ও কাউকে জিজ্ঞেস করছি না। সারাদিন পানি ছাড়া আর কিছুই খাওয়া হয়নি কারণ টাকা পয়সা নিয়ে বের হইনি।
সন্ধ্যার সময় একদল বিহারীর সাথে আমাদের দেখা হল । ওই বিহারী ছেলেরা ক্যান্টনমেন্টে উচ্ছিষ্ট, বাসি , পচা খাবার সংগ্রহের জন্য যেত। ওরা আমাদের দেখেই চিনে ফেলল এবং জানতে চাইল আমরা কোথায় যাব ।আমাদের পেহেন পরিস্থিতির কথা জেনে ওরা ওদের পরিবারের বাবা-মাকে জানালো। ওই ছেলেগুলোর বাবা-মা প্রথমেই আমাদের ক্ষুধার কথা টের পেয়েছেন মুখ দেখে। তারপর দোকানে থাকা বনরুটি ও কলা কিনে দিলেন খাওয়ার জন্য।
তারপর ওদের সাথে রাতের ট্রেনে আমরা সৈয়দপুর পৌঁছলাম এবং বিহারী পল্লী হয় একসময় বাসায় আসলাম।
আমাদের নিখোঁজ সংবাদ রাষ্ট্র হতে বেশি সময় নেয়নি ক্যান্টনমেন্টে তখন এটা নিয়েই আলোচনা আর কোয়ার্টারের সামনে মানুষের ভিড়....
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




