আলম সাহেব একজন বাড়িওয়ালা হিসেবে বেশ মানবিক মানুষ। অনেক বাড়িওয়ালার ধন আছে মন নেই। অনেকের আবার মন আছে ধন নেই কিন্তু আমাদের বাড়িওয়ালা আলম সাহেব ধনে,মনে, জনে পরিপূর্ণ।
রমজানের প্রথম দিনে তিনি তার বিল্ডিংয়ের ২০ ভাড়াটিয়া ফ্যামিলিকে রমজানের তোহফা পাঠিয়েছেন।
সেই তোহফায় ছিল এক কেজি ছোলা, এক কেজি চিনি, এক কেজি সয়াবিন তেল, এক কেজি ডাল, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি আটা ও একটি ফ্যামিলি প্যাক নুডুলস।
প্রতি বছর রমজানে তিনি এই উদারতা দেখিয়ে থাকেন। ভারাটিয়ারা অবশ্য একদিন ওনাকে ইফতারি পাঠিয়ে ধন্য করেন।
শুধু রমজান নয় কোরবানীর ঈদেও তিনি তার জবাইকৃত গরু থেকে প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য দুই কেজি মাংস পাঠিয়ে দেন। যারা গ্রামের বাড়িতে চলে যায় ঈদ করতে তাদের মাংস তিনি ফ্রিজে ফ্রিজাপ করে রেখে দেন পরে ভাড়াটিয়ারা ফিরলে সাথে সাথে দিয়ে দেন।
শুধু তাই নয় বছরের কোন কোন দিনে ওনার গ্রামের বাড়িতে মেজবানের আয়োজন করা হলে সাতকানিয়া থেকে তিনি সেই রান্না করা মাংস ও অন্যান্য খাবার ওনার সব ভারাটিয়াদের সমান হারে বিতরণ করেন।
যেখানে শহরের প্রতিটি বাড়িওয়ালা ৫ তারিখ কিংবা ১০ তারিখের মধ্যে প্রতি মাসের ভাড়া পেমেন্টের জন্য বাধ্য বাধকতা জারী করেন। সেখানে তিনি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত যেকোনো সময় ভাড়া গ্রহণ করেন।
পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ নিয়ে নেই কোন অভিযোগ।
এর কারণটা উনি আমাকে ব্যাখ্যা করেছিলেন একদিন। তিনি বলেছিলেন সবার তো সব মাস সমান যায়না। সবাই তো আর টাইম মতো সেলারিও পায় না তাই ৩০ তারিখের মধ্যে যেকোনো দিন ওনার বাসা ভাড়া পেলেই হল। এই যে উদারতা, এই যে মন মানসিকতা ইদানিং বাংলাদেশে কমে আসছে।
এ রকম দরদী ও মানবিক বাড়িওয়ালা দেশের প্রতিটি শহরে প্রয়োজন।
ছবি- অনলাইন থেকে নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬