ছবিতে মডেল হয়েছে জাফরিন মালিহা।
আজকের গল্প - মসজিদে যাবার বায়না ও মসজিদে যাওয়া।
মরজানে চেষ্টা করি প্রতি ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পড়ার জন্য। তো আমাকে বার বার মসজিদে যেতে দেখে সেও মসজিদে যাওয়ার বায়না ধরে। আমি বলি তুমি ছোট মানুষ যাওয়ার দরকার নেই।
- নাহ আমি যাব।
-তুমি মেয়ে, মেয়েরা মসজিদে যায়না।
-কেন বাবা মেয়েরা মসজিদে যায়না।
এই প্রশ্নের উত্ততর এক কথায় দেয়া যায়না। দিলেও সে বুঝবেনা। তাই বলি- তুমি বুঝবেনা মা, বড় হলে বুঝবে। সে কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে বলল- বাব একটা বুদ্ধি পেয়েছি। আমি ছেলে সেজে যাব তোমার সাথে। আমার তো জিন্সের প্যান্ট আছে, গেঞ্জি পড়ে আর তোমার একটা চুপি মাথায় দিয়ে চলে যাব তাহলে কেউ বুঝবেনা।
মেয়ের কথায় আমি অবাক হলাম। হেসে বললাম না মা তোমার ছেলে সাজতে হবেনা। তুমি জানা পড়ে, হেজাব পড়ে আমার সাথে মসজিদে যাবে। কথা শুনে সে খুশি হলো। শুক্রবার তাকে প্রথম সমজিদে নিয়ে যাব কথা দিলাম। কিন্তু সে দিন ছিল বুধবার আছরের সময় সে তাকে নিয়ে একটু হাটতে বের হলাম। নামাজের সময় হয়ে গেল। ব্যস কোন প্রস্তুতি ছাড়াই সে মসজিদে গেল ।
আমি ভেবেছিলাম সে বাসায় যেমন রুকু , সেজদা করে তেমনি মসজিদেও আমার দেখা দেখি করবে কিন্তু আমার ধারণা ভুল হলো। সে সারাক্ষন দাড়িয়ে থাকলো।
নামাজ শেষে তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বলল- আমি দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছি ছোট ছেলে বাচ্চারা দুষ্টুমি করে কিনা। তুমি েযে বলেছো বাচ্চারা দুষ্টুমি করে তাই মসজিদে নিতে চায়না। সত্যি বাবা দুষ্টুমি করে আমি দুষ্টুমি করি নাই।
যাক শুক্রবার তাকে কথা মত নামাজ পড়তে নিয়ে গেলাম। সে এত মানুষ দেখে অবাক হয়েছে কেন মেয়েরা যায় না মসজিদে আবার জিজ্ঞেস করেছে। আমি বললাম এদেশে মসজিদে মেয়েদের নামজ পড়ার সিস্টেম নেই তাই যায়না।
মেয়েরা মসজিদে যায়না, যেতে পারেনা, যেতে পারবেনা এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসা দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫