
একজন নারী ফেসবুক লাইভ করতেই পারেন। এসময় অনেক নারী ফেসবুক থেকে ইনকাম করছেন ঘরে বসে। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন অনেক নারী ও পুরুষ রয়েছে তাদের মানসীকতা কমেন্টে বুঝা যায়।
-তুই কেন ফেসবুক লাইভে আসছস ?
-শরীর দেখাইয়া টাকা কামাবী ?
-তোর জামাই নাই ?
-পরিবারের লোকজন কিছু কয়না ?
-রেট কত ?
-নতুন মালের আমদানী ?
????? এরকম আরো কুরুচীপূর্ণ নোংরা মন্তব্য দিয়ে নাজেহালের চেষ্টা করা হয়।
তবুও নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। ছবিতে যে আপুকে দেখা যাচ্ছে তিনিও স্বামী সংসার ও দুটি বাচ্চা নেয়ে ভালই ছিলেন। ছোট বাচ্চাটির বয়স মাত্র ২৫ দিন। একজন মা পেটে অনাগত সন্তান নিয়ে কি পরিমান কষ্টো করেছেন এবং সংসার সামলে ফেসবুকে তার পেজ কন্টিনিউ করেছেন।
তো একজনতো বলেই ফেলেছেন তুই এত ছোট বাবু রেখে লাইভ করিস তোর বাচ্চা মারা যাবে। সময় আমাদের কি পরিস্থির মুখোমুখি করেছে। অন্যের সফলতায় মানুষ ঈর্ষাকতর হয়ে বাচ্চা মরে যাওয়ার অভিশাপ দেয়।
তো আপুটা যেহেতু ছোট বাচ্চা নিয়ে কাজ করতে ঝামেলায় পড়ল তখন কাজের বুয়া রাখলেন একজন তরুনীকে। সেই তরুনীও দুই বাচ্চার মা, স্বামী পরিত্যাক্তা।
ঘটনার দিন সকাল ৭।০০ ঘটিকায় স্বামী স্ত্রীর মাঝখান থেকে বাচ্চাটাকে পাশের রুমে নিয়ে যায় কাজের মেয়েটি। বলে আপনারা ঘুমান আমি বাবুর কাথা ধুয়ে দিব, বাবুকে নিয়ে গিয়ে সে ফ্লোরে আছার মেরে ফেলে দেয়।
উফ! কি অমানবিক। বাচ্চা যখন মরে নাই, ব্যাথায় কাতরাচ্ছে তখন সে বাচ্চাকে উঠিয়ে বিছায় শুয়ায় দেয় তারপর চামিচ দিয়ে জোরে মাথায় আঘাত করে তবুও যখন মরে না তখন বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে।
সেই মৃত বাচ্চাকে আবার বাবা মার মাঝ খানে রেখে দেয়। সকাল ৯।০০ টার সময় স্বামী ঘুম ভেঙ্গে দেখে বাবু কেমন যেন অসারের মত পড়ে আছে । তার মুখটা পাশ ফিরাতেই নাক দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ে সেটা দেখে এক চিৎকার দিলে মা ও অন্য বাচ্চার ঘুম ভাঙ্গে।
মা বাবুর এই অবস্থা দেখে রক্ত মুছে দিয়ে কোলে তুলে নেয়। তখন তার মাথায় আসে সেই অভিশাপের কথা, বুয়ার কথা আর কত শত ভাবনা চলে আসে কিন্তু একটাকেও মনে ঠাই দেয়না। দ্রুত হাসপালে ছুটে। বাচ্চার জন্য এতটাই পেরেশান ছিল যে সে তার ওড়না নিতেই ভুলে যায়। মা তো মা ই তার তুলনা হয়না।
হাসপাতালে যখন তারা ছুটাছুটি করছে তখন বুয়া বাসায় চলে আসে।
আর এখানেই সে বড় ভুল করে এবং ধরা পড়ে। সে স্বীকার করে বাচ্চাকে হত্যার কথা ও তার পরিকল্পনার কথা। সে আপুটাকে গর্ভ বতী
থাকা অবস্থায় মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আপুর স্বামীকে বিয়ে করতে চেয়েছে। তারপর বাচ্চা হত্যা করে তাদের সোনা দানা টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছে।
তাই সাবধান কাজের লোকের উপর বাচ্চাকে ছেড়ে দিবেন না ও অতিরিক্ত বিশ্বাস করবেননা। সমবেদনা আপুটার প্রতি। আহা কি কিউট বেবি, স্বর্গে ভাল থাক তুমি। খুনীর বিচার হোক।
আমাদের পত্যাহিক জীবনের এ সময়টা মন্দ না হোক। সব বাচ্চা নিরাপদে বড় হোক।
ছবি-ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




