বাঙালি তথা বাংলাদেশের পুরুষদের রান্নাবান্না সারা জীবনে তেমন করতে হয় না কারণ মা,বোন, খালা, স্ত্রী কিংবা কন্যা রান্নার দায়িত্বটা পালন করে থাকে।
অধিকাংশই ছেলেপেলে ঠেকায় পড়ে রান্না শিখে। কেউ কেউ হয়তো শখ করে শিখে থাকে। যে পরিবারের ছেলেরা রান্নাবান্না করতে পারে তাদের একটু সম্মান কিংবা স্নেহের চোখে দেখা হয়। মা কিংবা স্ত্রী তখন গর্ব করে বলে আমার ছেলে কিংবা স্বামী রান্না করতে পারে অতএব আমি বেড়াতে গেলে বা অন্য কোথাও গেলে রান্না করা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। তখন যার সাথে এই কথাটা বলা হয় সেই নারীটি ভাবে ইস আমার ছেলে বা স্বামী যদি রান্না করতে পারতো !
আর যদি পুরুষেরা পিঠা তৈরি করে তাহলে তো কথাই নেই। এটা সেই পরিবারের জন্য আশ্চর্যের ব্যাপার।
অসুখে ভোগার পর বাবু আর তার মা যখন গ্রামের বাড়িতে গেল, দীর্ঘ এক মাস আমি একা ছিলাম । তখন মাঝে মাঝে মন চাই তো পিঠা তৈরি করে খাই। কিন্তু ওই যে অনভ্যাস তাই আর সাহস করে উঠতে পারি না। কিন্তু একদিন কাজে নেমে পড়লাম । যদিও সব জানা আছে তবুও ইউটিউবে একবার সার্চ দিয়ে ভালোভাবে বিষয়টা দেখে নিলাম। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ফ্রিজে রাখা চালের গুড়ি আর নারকেল করানো বের করলাম অতপর কাজে নেমে পড়লাম। কুল/ পুল /ভুগি পিঠ তৈরি করলাম।
স্ত্রী আর শ্যালিকাকে পিঠার ছবি পাঠালে ছবি দেখে তাদের চোখ কপালে উঠেছে। বলে সর্বনাশ আপনি পিঠাও তৈরি করতে পারেন!!! আমার উত্তর ছিল, তা চেষ্টা করলে না পারার মানুষ আমি না।
তো আসুন ছবিতে ছবিতে দেখে নেই আমার প্রথম পিঠা তৈরীর প্রচেষ্টা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২