যে পরিমাণে বাচ্চারা নুনু কাটাতে গিয়ে মারা যাচ্ছে তাতে শঙ্কিত না হয়ে পারা যাচ্ছেনা। মুসলমানি করতে গিয়ে যদি প্রাণ যায় তবে সেই পরিবারের বাবা মা সেটা কিভাবে মেনে নেবে ? দায় কার ?
সিজার করো এখন পান্তাভাত। কিন্তু তারপরও অনেক মা বা শিশু মারা যাচ্ছে কি দুঃখ জনক। সেদিন নিউজে দেখলাম সিজার করতে গিয়ে বাচ্চার পিঠ কেটে ফেলেছে, কি মর্মান্তিক !
অ্যানেস্থেসিয়ার যাচ্ছে তাই ব্যবহার। নামকরা হাসপাতালগুলোতে ঘটছে এর অপব্যবহার। বাড়ছে মৃত্যুর হার, মরছে রোগী।
রোগী দরিদ্র হলে অবহেলার শিকার হচ্ছে, তাকে ফেলা রাখা হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা । ফলে অনেক সময় বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে রোগী। অনেক বছর আগের কথা- সময়টা ২০০৮ সাল। আমার মেঝ ভাইয়ের এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন হল ঢাকা মেডিকেলে। আমি আর মা আছি ওর সাথে। একদিন সন্ধ্যায় নামাজ পড়ে হাসপাতালে ফিরছি এমন সময় দেখি দুটি লোক একটি বৃদ্ধর পাশে দাড়িয়ে কথা বলছে বারান্দার করিডোরে। জানতে পারলাম অসহায় অসুস্থ্য বৃদ্ধকে কে বা কারা ফেলে গেছে এখানে। বৃদ্ধর প্রাণ যায় যায় অবস্থা। অনেক নার্স পাশ দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ফিরেও তাকাচ্ছেনা। একজনকে বললাম ওনাকে দেখে ব্যবস্থা নিতে বা ডাক্তারকে দেখানোর ব্যবস্থা করতে। সে রেগে গিয়ে বলল এগুলোকি আমার কাজ নাকি ?
তাহলে আমাদের কাজ। ঠিক আছে আমরা ওনাকে ধরাধরি করে ডাক্তার রুমে নিয়ে যাচ্ছি তখন সেই নার্স এসে লোকটিকে দেখে স্যালাইন লাগানোর ব্যবস্থা করলেন তার চিকিৎসা হলো। এভাবেই অবহেলায় অনেকে মারা যায়।
গ্রামে ডাক্তারের অভাব। সবাই শহরে থাকতে চায়, টাকা চায়, ভাল লাইফ কাটাতে চায়। ইদানিং কিছুটা উন্নতি হয়েছে দিনের বেলায় ডাক্তার যাচ্ছে উপজেলা পর্যন্ত দিনে দিনে রোগী দেখে সন্ধ্যায় আবার ঢাকায় ফিরে যায় কিন্তু রাতে কেউ থাকতে চায়না।
কঠোর আইন করা দরকার । ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগী মারা গেলে দায় ভার সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের।
একজন প্রবাসী ব্লগার বলেছিলেন দেশে ভাল চিকিৎসা পাওয়া যায়না এবং ডাক্তারদের ব্যবহারও ভাল নয় তাই বিদেশেই চিকিৎসা নিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।
দেশে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে বলাই বাহুল্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৬