আমরা একটা কিছু হলেই আল্লাহর নামে কসম করে থাকি, তাছাড়াও অমুকের নামে তমুকের নামে এমনকি বিভিন্ন বস্তুর নামেও কসম করে থাকি।
কসম করার ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই হয়তো জানি যে, কসম করা যাবে একমাত্র আল্লাহর নামে আর অন্যকিছুর নামে কসম করা নিতান্তই ইসলাম ও ইমান বহির্ভূত কাজ।
কিন্তু এগুলো মেনে চলা লোকদের খুঁজতে গেলে তার সংখ্যা খুবই কমে যায়।
... ... ... ... ...
তবে আল্লাহর নামে কসম করা গেলেও এর মধ্যেও কিছু বিধি-বিধান রয়েছে।
এর বিধান সম্পর্কে একটি হাদীস বলি...
...ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেনঃ
"তোমরা তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করো না, যে ব্যক্তি আল্লাহর নামে কসম করে, তার উচিত সত্য কসম করা। আর যে ব্যক্তির উদ্দেশ্যে আল্লাহর নামে কসম করা হয়, তার উচিত উক্ত কসমে সন্তুষ্ট থাকা। আল্লাহর কসমে যে ব্যক্তি সন্তুষ্ট হলো না, আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কল্যাণের কোনো আশা নেই।"
_______
এ বিধান সকল প্রকার কসমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিচারকের কাছে হোক কিংবা যেখানেই হোক, কসমে যেহেতু বড়ত্ব প্রমাণ করা হয় ফলে যার জন্য আল্লাহর নামে কসম খাওয়া হবে তার উচিত তাকে বিশ্বাস করা।
যদি সে মিথ্যা কসম খায় তবে তার উপর ভরসা না করা বৈধ হবে কিন্তু সে যে মিথ্যা কসম খেয়েছে তা জানতে দেয়া যাবেনা। কারন কসমের মাধ্যমে আল্লাহর বড়ত্ব কামনা করা হয়েছে।
"আল্লাহর কসমে যে ব্যক্তি সন্তুষ্ট হলো না, আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কল্যাণের কোনো আশা নেই।" -এ দ্বারা বুঝা যায় আল্লাহর কসমের প্রতি সন্তুষ্ট না হওয়া কবীরা গুনাহ।
.... .... .... .... ....
আমাদের সকলের উচিত আল্লাহর নামে কসমকে বিশ্বাস করা আর যদি এটা অন্য কারো বা কোনোকিছুর নামে হয় তা সর্বোচ্চ ঘৃণার সাথে বর্জন করা।
কিন্তু তার আগে যেটা জরুরী সেটা হলো একটু বুঝেশুনে কসম করা।