বর্তমান সরকারের আমলে জামায়াতের একক হরতালের ঘোষণায় আজ দুপুরের পর থেকে রাজধানী ঢাকা ফাকা হয়ে গেছে। শহরের প্রতিটি গলিতে পুলিশ-র্যাব অবস্থান ননিয়েছে।রাস্তায় তাদের টহলও লক্ষনীয়।
এখন কথা হচ্ছে জামায়াতের হরতালে মানুষ এত আতংকিত কেন?
উত্তর হতে পারে:
১. হরতালের সমর্থনে মিছল করলে পুলিশ প্রতিহত করবে। এতে জানমালের ক্ষতি হবে।
২. জামায়াত আক্রমনাত্মক হতে পারে।
৩. চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে পারে।
৪. গত কয়েক দিন জামায়াত যে ভাবে সহিংস হয়ে উঠেছে তাতে মানুষের মনে সংঙ্কা তৈরি হয়েছে।
৫. হরতালের আগের দিন বাসে আগুন দেয়া নিয়মে পরিনত হয়েছে।
৬. জামায়াত ভয়ংকর।
উল্লখ্য : জামায়াত যেহেতু বৈধ রাজনৈতিক দল তাদের নিয়মতান্ত্রীক আন্দোলন করারও তাদের অধিকার রয়েছে।
তেব সরকার কোন রাজৈনতিক দলকেই আন্দোলন করতে দিচ্ছ না। এমন কি বাম দলগুলোকেও না। যারা এক নেতা দশ কর্মীর দল। আবার কোন দলে নেতা আছেন কর্মী নেই।
এখানে আরো উল্লখ্য : আমি জামায়াতকে সমর্থন করি না। কারণ, জামায়াত হচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী একটি দল। আর বাংলাদেশের মানুষ যে দলই করুন না কেন সে বলতে পারে - আমি আওয়ামী লিগ করি, বিএনপি করি, জাতীয় পার্টি করি বা বামদল করি। কিন্তু একজন নাগরিকও নেই যে বুক উচিযে বলতে পারবে আমি জামায়াত করি। আর যারা জামায়াত করে তারা সব সময় নিজেদেরকে প্রকাশ করতে পারেনা। কারণ আমাদের সমাজ তাদের ভাল ভাবে দেখে না। আর দেখবে বলেও আমি মনে করি না। এই দলটি একাত্তরে ধুন, ধর্ষণ লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে সরাসরি জরিত।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বুধবার এক বিবৃতিতে এই হরতালের ঘোষণা দেন।
ট্রাইব্যুনাল ‘বাতিল’ করে জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান ও সাবেক আমীরসহ বিরোধী দলের সব আটক নেতাকর্মীর মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে দলটির পক্ষ থেকে বুধবার দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। সে অনুযায়ী ঢাকায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর দিকের সড়কে সমাবেশ করার জন্য মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করে দলটি।
“কিন্তু সরকার অনুমতি না দিয়ে যারা আবেদন করেছিল তাদের উল্টো গ্রেপ্তার করেছে”, বলেন রফিকুল ইসলাম।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সরকারের এহেন অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক আচরণের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আটক ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”