আমি আধুনিক হতে চাইনে ,একদমই চাইনে । ঠিক যতোটা আধুনিক হলে ধনী গরিবের মধ্য বিস্তর ফারাক সহজেই নির্ণয় করা যায় । আর তাইতো পায়ের পাদুকা খানা অতি কম দামেই কিনে আসছি বছর পাঁচেক । কেন জানি পায়ের চপল কেনায় বেশি দাম দিতে আমার বরাবরই প্রচন্ড অরুচি । আর সে জন্যই কোন ব্রান্ডের বা অতি দামি পাদুকা আমার পায়ে ম্যাচম্যাচ করে । পড়তে পারিনা একদম । পায়ের জিনিস ওতো দাম দিয়ে কেনার কি দরকার ?
কাঁদা মাটিতে, গু-মুত, মেখে- মুখে থাকা জিনিস ওতো দাম দিয়ে কেন কিনবো । যেখানে কিনা দুমুঠো ভাতের জন্য একদল মানুষকে এখনো দিনের পর দিন যুদ্ধ করে বাঁচতে হয় । উপোস থাকে বিবেক, বিবেকের লজ্জা ।সেখানে ওতো দামি দামি ব্রান্ডের পাদুকা পায়ে দেবো তা অন্যর সইলেও অন্তত আমার সয় না । আমার পায়ে যে চপলখানা এখন আছে ওটা কিনেছিলাম বছর দুয়েক আগে । কোন ব্রান্ডের জিনিস নয় । মাত্র দু-শ আশি টাকা দিয়ে অখ্যাত দোকান থেকে কেনা । সেটাতেই চলছে এখন অবধি । সাধারণত একশ বিশ/ত্রিশ টাকা দিয়ে পায়ের চটি কিনি । দোকানীর চাপাচাপিতেই কিনেছিলাম এই চটিখানা, ওতো মানে দু-শ আশি টাকা দিয়ে ! চলছেও ভালোই । কতো ঝড়-তুফান সয়ে , কাদা মাটিতে মেখে-মুখে অবিকল আগের মতোই মজবুত আছে চটিখানা । তবে রঙের ঔজ্বল্যতায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে এখন । এখনো ওটাতেই বড্ড শান্তি পাই ,সস্তি পাই । আরো বছর খানিক যাবে হয়তো !
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩২