somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্মের নামে যা হয় এই দেশে !

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ধর্মের নাম দিয়ে যা করা হয় তার সবটাই জায়েজ রূপে স্বীকৃতি দেয় আমাদের অন্ধ সমাজ ব্যাবস্থা। সেটা যদি মানুষ হত্যার মতো ঘটনাও হয়ে থাকে তাতেও অন্ধ সমাজ নিরব দর্শক। বরং নিহত ব্যক্তির দোষ ত্রুটি তন্ন তন্ন করে খুজতে খুজতে হয়রান হয়। যদিও কিছু বিন্দুমাত্র কোন কলিযুগের কিঞ্চিৎ কিছুর সন্ধান পায় তবে সেটাকে নিয়ে এমন হইহই রইরই শুরু করে যে, তার আওয়াজের আড়ালে নিহতের পরিবারের কান্নার আওয়াজ ঢাকা পড়ে,হারিয়ে যায়। পক্ষান্তরে খুনিরা বেশ ফুরফুরে মেজাজে তাদের সকল অপকর্ম জায়েজ করার সুযোগ পেয়ে যায়। আজকাল ধর্মের নাম লাগিয়ে যেকোন অপকর্ম বেশ সস্তা ও জনপ্রিয় হয়ে গেছে। কারন অপরাধীরা জানেই যে, অন্ধ সমাজের সামনে ধর্মের মূলো ঝুলিয়ে দিলে তাদের অপকর্মকে সবাই এক বাক্য স্বীকৃতি দেবে। পারলে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করতেও প্রস্তুত। উদাহরণ হিসেবে যদি বলি জঙ্গিদের কথা। জঙ্গিরাও কিন্তু ধর্মের নামেই মানুষ হত্যা করে। আইএস,তালেবান,হিজবুল্লাহ,আনসারুল্লাহ ইত্যাদি জঙ্গিগোষ্ঠি সবাই ধর্মের নামেই হত্যা করে। ধ্বংস করে যুগের সকল অর্জন। সবাই চায় পৃথিবীর আনাচে-কানাচে জ্বলে-স্থলে শুধু তাদেরই মতাদর্শ প্রতিষ্ঠিত থাকুক। আর তাদের এই মতাদর্শ প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে কি বীভৎস ধ্বংস আর হত্যাযজ্ঞ না চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তারা কিন্তু ধর্মকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত,বা অন্যর আক্রমন থেকে বাঁচতে এসব হত্যাযজ্ঞ চালায় না। বরং নিজেদের মতের সাথে অমিল হলেই অন্য মতাদর্শের অনুসারীদের হত্যা করা জায়েজ বলে মনে করে। হত্যা করে শত শত নিরীহ সাধারন মানুষকে। অথচ সকল ধর্ম গ্রন্থে স্পষ্টভাবে অন্যায়ভাবে কোন মানুষ,পশু,প্রাণীকে হত্যা করা নিষিদ্ধ আছে। কিন্তু তারা হত্যা করছে,এবং করেই চলেছে । অনায়াসেই ধর্ম গ্রন্থের ঐশ্বরিক নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠিত করতে উদ্যত হচ্ছে। অথচ তারা নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ ধার্মিক বলে পরিচয় দেয় ,প্রবাগান্ডা ছড়ায় সমাজের মাঝে। হত্যার মধ্যে দিয়ে তারা ধর্মের খুটিকে শক্ত করতে চায়। সেখানেও আমাদের অন্ধ সমাজের সেকি প্রবল সম্মতি। কেননা ওরা এসব হত্যাযজ্ঞ ধর্মের নামে করে,ধর্ম রক্ষার্থে করে।
ধর্ম রক্ষার নামে আমাদের উপমহাদেশে একটি উদ্ভট প্রতিষ্ঠানের প্রচলন আছে। বিশেষ করে আমাদের দেশের গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় ধর্মের নামে গড়ে ওঠা কওমী মাদ্রাসা গুলোর কথা বলতেই হয়। অথচ এসব কওমী মাদ্রাসার উদ্ভব ,জন্ম এই কয়েক শতক আগে (সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দ নামক স্থানে "আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম দেওবন্দ" নামে।) । এর সাথে না আছে ধর্মের কোন যোগসূত্র,না আছে কোন ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা। এক ধরনের অন্ধ বিশ্বাসের উপর ভর করে এসব কওমী মাদ্রাসা টিকে আছে। মরার পর জানাজা পরিচালনা,আর বাপের,মায়ের,চৌদ্দগুষ্টির সারা জীবনের অপকর্ম ঢাকতে,বস্তা বস্তা সওয়াব কামাই করতে; হয় পরিবারের বড় ছেলে নয়তো সব থেকে ছোট ছেলেকে এসব কওমী মাদ্রাসায় পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য একটাই ,ছেলের মাধ্যমে সওয়াব কামাই করা,আর মরার পরে জানাজায় নেতৃত্ব দেয়া। এর বেশি যদি কিছু থাকতো তবে অবশ্যই পরিবারের অপেক্ষাকৃত দূর্বল বা মানসিক প্রতিবন্ধী সন্তানকে নয়,বরং ধর্ম রক্ষার্থে পরিবারের সকল সন্তানকে কওমী মাদ্রাসায় পাঠাতো। কিন্তু বাস্তবে কি অদৌ সেটা করা হয়। হয় না। তাহলে কোথায় মানুষের ধর্মের প্রতি এতো আকুতি? আবার এটাও লক্ষণীয় যে, অপেক্ষাকৃত আর্থিকভাবে অ-সচ্ছল পরিবারের সন্তানেরা এসব মাদ্রাসায় ধর্মের জ্ঞান শিখতে আসে। আর সমাজের ভাষায় ধনিক পরিবার,অভিজাত পরিবার,শাসক পরিবার শুধু মাদ্রাসা পরিচালনা করে। তাদের সন্তানেরা কখনোই এসব মাদ্রাসায় পড়তে যায় না বা তারা পাঠান না। যদিও কালেভাদ্রে দু-একজন কে এসব মাদ্রাসায় যেতে দেখেন তাইলে নিশ্চিত করে বলতে পারি! ঐ সন্তান পরিবারের অন্যান্যদের থেকে একটু আদালা। স্বাভাবিক নয় বরং মানসিক প্রতিবন্ধী !
জানেন কেন সমাজের ভাষায় ধনিক পরিবার,অভিজাত পরিবার,শাসক পরিবার তাদের সন্তানদের এসব কওমী মাদ্রাসায় পড়তে না পাঠিয়ে দেশের নামকরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠায় ? পারলে অধিক টাকা ওয়ালারা দেশের বাইরে পড়াতে পাঠায়! জানি এর উত্তর অনেকেই দিতে চাইবেন না। আসলে মূল বিষয়টা পড়াশুনা বা শিখনে নয়। বরং কওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার একমাত্র উদ্দেশ্য সমাজের ভাষায় সেইসব ধনিক পরিবার,অভিজাত পরিবার,শাসক পরিবারের কর্তৃত্ব ধরে রাখা,ধর্মের নামে শাসন করা, শোষণ করা,দরিদ্র শ্রেণিকে নিজেদের গোলাম করে রাখা। দরিদ্র পরিবারগুলো, সমাজের ভাষায় ধনিক পরিবার ,অভিজাত পরিবার,শাসক পরিবারের পরামর্শে নিজেদের সন্তানদের এসব কওমী মাদ্রসায় পাঠিয়ে ধর্মের জ্ঞান শিক্ষা দিয়ে জাহান্নাম থেকে রেহাই পেতে চায়। আর পরামর্শ দাতা পরিবার চিন্তাকরে সন্তান কে কিভাবে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা যায়,আরো অর্থের বিত্তের মালিক হওয়া যায়। আর নিজেদের সন্তানের সাফল্যর গল্প অন্ধ সমাজকে শুনিয়ে শুনিয়ে ঘুম পাড়ানো যায়। কারন তারা খুব ভালো করেই জানে সারাজীবনের সকল অবৈধ সম্পদের কিয়দাংশ দানের মধ্যে দিয়ে জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে ধর্মের নামে একটা কওমী মাদ্রাসা চালু করে দিলেই সাধারনের অনেক বাহ-বাহ পাওয়া যায়,সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন সম্ভব হয়। লোকে তার আগের পাপ কর্মকে ভুলে খাতির করে,ধার্মিক উপাধি দেয়,সমাজপতি বানায়,সেলাম ঠুকে,আসন দেয়। এরা পারলে নিজেদের অবৈধ সম্পদে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার হুজুর দিয়ে ফতোয়া জারি করে সকল অপকর্ম ঢাকতে চায় । এসব সম্মান কুড়াতে তাদের বেশি পরিশ্রম করতে হয় না ,বরং একটা কওমী মাদ্রাসা খুলে বসলেই তার সকল খরচার দায়দায়িত্ব এই মূর্খ সমাজ,অন্ধ সমাজ নিজেদের কাঁধে অনায়াসেই তুলে নেয়, সওয়াব কামাইয়ের অজুহাতে এসব কওমী মাদ্রাসার ভান্ডার ভরায়। আর সমাজের ভাষায় শাসক পরিবার,অভিজাত পরিবার,ধনিক পরিবার তাদের কর্তৃত্ব চালিয়ে যায়। তাদের ধার্মিক সাজার উদ্দেশ্য একটাই ,সমাজের দরিদ্র শ্রেণির উপর কর্তৃত্ব বজায় রাখা। দরিদ্র শ্রেণির মধ্যে ধর্মের ভয় দেখিয়ে,জাহান্নামের ভয় দেখিয়ে অন্ধ করে রাখা। ধর্ম শিক্ষার নামে তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা,কর্মমূখী শিক্ষা,বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখা। এর পেছনে কারন একটাই ,দরিদ্র শ্রেনির সন্তানেরা জাহান্নামের ভয়ে উচ্চ শিক্ষা,কর্মমূখী শিক্ষা,বিজ্ঞান শিক্ষা গ্রহন হতে যতোদিন বিরত থাকবে ততোদিন পর্যন্ত শাসক শ্রেণির কর্তৃত্ব বজায় রাখা সহজ হবে।
কওমী মাদ্রসাগুলোতে ধর্ম শিক্ষার নামে আসলেই কি শিক্ষা দেয়া হয় বা হচ্ছে সেটা বিস্তর আলোচনার বিষয়। কিন্তু এ কথা হলফ করে বলতে পারি দরিদ্র পরিবারের কোমলমতি শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তিতে উৎসাহ প্রদান আর পরনির্ভরতা শেখানো ছাড়া কিছুই শেখার নেই এখানে। বাস্তবমুখী ,বিজ্ঞান মূখী,কর্মমূখী শিক্ষা ছাড়া একজন মানুষ সমাজের জন্য বোঝা। আর এই ধর্মের নামধারী মাদ্রাসাগুলো দেশের বোঝা বাড়িয়ে চলেছে প্রতিনিয়িত। কওমী মাদ্রাসাগুলো কখনোই আত্ননির্ভশীল হতে শিক্ষা দেয় না,উদ্ভুদ্ধ করে না। অথচ ধর্ম গ্রন্থে স্পষ্টভাবে নিজের রুজি-রোজগারের সন্ধান করার কথা বলা আছে। পরনির্ভরশীলতাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। স্বয়ং মাহানবী (সাঃ) ও জিবিকার তাগিদে,পরিবার চালাতে কঠোর পরিশ্রম করতেন । তার সংসার কোন দান-খয়রাতে চলমান ছিলো না { কোরআনে ইরশাদ হয়েছে,“ যখন নামাজ শেষ হয়ে যায় তখন তোমরা ভূপৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) অন্বেষণ করবে।“(সূরা আল-জুমুআ, আয়াত-১০) মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বাণী প্রদান করেছেন, “আল্লাহ উপার্জনশীল বান্দাকে পছন্দ করেন।“(তাবারানি) রাসুলুল্লাহ (সা.) বাল্যকাল থেকেই অত্যন্ত কর্মঠ ও আত্মনির্ভরশীল ছিলেন, ছোটবেলায় তিনি তাঁর পিতৃব্য আবু তালিবের সংসারে ছিলেন, কিন্তু চাচার পরিবারে গলগ্রহ হয়ে থাকেননি। নবীজি ছিলেন অত্যন্ত দয়ালু,কিন্তু তিনি পরনির্ভরতাকে মোটেই পছন্দ করতেন না। তিনি ভিক্ষাবৃত্তিকে খুব অপছন্দ করতেন। রাসুলে করিম (সা.) মানুষকে স্বাবলম্ব্বনের শিক্ষা দিয়ে বলেছেন, “উপরের হাত নিচের হাত অপেক্ষা উত্তম’ অর্থাত্ গ্রহীতা অপেক্ষা দাতা উত্তম।" (মিশকাত) এ সম্পর্কে নবী করিম (সা.) সাবধান বাণী উচ্চারণ করে বলেছেন,“তোমার নিজের প্রতি কর্তব্য রয়েছে।“(বুখারি)}অথচ এসব কওমী মাদ্রাসার নেই কোন আত্ননির্ভরশীল হবার প্রচেষ্টা। যদিও দু-একটি মাদ্রাসা প্রচেষ্টা চালায় তবে সেখানেও এই অর্থ-বিত্ত পরিচালনার পেছেনে থাকে সমাজের ভাষায় শাসক পরিবার,অভিজাত পরিবার,ধনিক পরিবারের সরাসরি কর্তৃত্ববাদির নগ্ন হাত। সুতরাং বলা যায় যা আছে তার সবটাই পরনির্ভরতা। এরা সাধারনের দান-দক্ষিনা ব্যাতিত সবখানেই হারাম-হালালের খোজ করে। অথচ কখনো শুনেছেন কোন সাধারন মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশু বলাৎকারের মতো জঘন্য ঘটনার কথা। কিন্তু কওমী মাদ্রাসার দেয়ালে কান পাতলেও শুনতে পাবেন শত শত নির্যাতিত কোমলমতি শিশুদের কান্নার আওয়াজ,বলাৎকারের প্রচন্ড চীৎকার। হয়তো বলবেন সাধারন মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে। হ্যাঁ সেটা মানছি এবং একবাক্য মানছি। কিন্তু শিশু বলাৎকার হয় না। ধর্মে আছে সমকামীতার মতো মহাপাপের কারনে লূত (আঃ) এর জাতিকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনি জানেন কি? কওমী মাদ্রাসাগুলো একেকটা সমকামীতার শিখন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত,প্রতিষ্ঠিত! অনেকেই জানেন না। একটু খোজ নিয়ে দেখতে পারেন আমার কথা সত্যি কিনা
। জাহান্নামের ভয় দেখিয়ে শতশত কোমলমতি শিশুদের বলাৎকারের খবর পত্রিকার পাতা খুললেই দেখতে পাওয়া যায় (জানার সুবিধার্থে কিছু তথ্য নিম্নে সংযোজন করলামঃ-
১। Click This Link
২। Click This Link
৩। Click This Link
৪। Click This Link
৫। http://old.dhakatimes24.com/2016/09/01/126309
৬। Click This Link
৭। Click This Link
৮। Click This Link
বাকিটা না হয় গুগল,উইকিপিডিয়া,পিপিলিকা থেকে সার্চ দিয়ে দেখে নিবেন,আর উইকিপিডিয়ার বিস্তারিত ০৩/০৭/২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য সব শেষ অংশে সংযোজন করলাম) ।
কোমলমতি শিশুদের দেখলেই ওদের কাম জাগে, শীর্ণের আগা দিয়ে যেভাবে লালা ঝড়ে তাতে যদি মেয়ে শিশুদের এসব কওমী মাদ্রাসায় যাতায়াত থাকতো তবে নিশ্চিত করে বলতে পারি একেকটা কওমী মাদ্রাসা হতো অবৈধ সন্তান উৎপাদনের আঁতুড়ঘর। আর সেসব অবৈধ ফসলকে অন্ধ সমাজ অনায়াসেই ঘরে তুলে নিতো। কারন একটাই ,ওরা যা বলে,যা করে তার সম্মুখে ঝুলানো থাকে ধর্মের মূলো। ধর্মের নামে এসব অপকর্ম করে বলে আমরা তাদের ক্ষমা করি,সমাজে সাদরে গ্রহন করি। আর প্রতিনিয়ত বলাৎকারের স্বীকার এসব কোমলমতি শিশুদের চিৎকারে ভারী হতে থাকে ধর্মের নৌকো।



(বলাৎকার সম্পর্কে উইকিপিডিয়ার তথ্যভান্ডারঃ-
২০১১-
৯ এপ্রিল ২০১১ তে ঝালকাঠির বেতলোচ রিয়াজিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মতিনের শিশু ছাত্রকে বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে[
২০১২-
১। ২০১২ সালে সদরপুর উপজেলার পিয়াজখালী ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসার মক্তবে পড়তে যায় একই গ্রামের নরুল ইসলামে ছেলে মো. আমির ফয়সাল (১০)। “পরে শিক্ষক নিজামুল হক জানু মুন্সি তাকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রেখে বলাৎকার করেন। এসময় শিশুটির চিৎকারের আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার মৃত্যু হয়।” বলে আদালতের রায়ে বলা হয।
২০১৩-
১। ২০১৩ সালের ১৭ জুন মঙ্গলবার নাটোরে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসাছাত্রকে ইব্রাহীম হোসেন নামক এক ইমাম ধর্ষণ করেন। তিনি সদর উপজেলার ছাতনী মধ্যপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি প্রতিদিন ফজরের নামাজ শেষে এলাকার শিশুদের ধর্মীয় বিষয়ে পাঠদান করেন। সোমবার সকালে পাঠদান শেষে সব শিশুকে ছুটি দিলেও তৃতীয় শ্রেণির সেই ছাত্রকে আটকে পাশবিক নির্যাতন করেন। এ সময় ছাত্রটির চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে ইব্রাহীমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার করে।
২। ২০১৩ সালের ১৬ জুলাই কুষ্টিয়ায় ৯ বছরের শিশু মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটায় কওমী মাদ্রসার শিক্ষক।
৩। ১০ নভেম্বর ২০১৩ তে হাটহাজারীতে এক কওমী মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজ মাদ্রাসার ছাত্রকে শারীরিক যৌন নির্যাতন (বলাৎকার) করার অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১নং গেইট সংলগ্ন এলাকায় মামুন সেন্টার নূরে মদিনা হেফজখানা ও নূরানী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে।
২০১৪-
১। ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ তে নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাদ্রাসা ছাত্রকে (৯) বলাৎকারের অভিযোগে এক মুয়াজ্জিনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী। আটক ওই মুয়াজ্জিনের নাম সানি (১৯)। সে সৈয়দপুর টেকনিক্যাল পাড়াস্থ মসজিতের মুয়াজ্জিন।
২। ২০ অক্টোবর ২০১৪ তে মাদ্রাসার হুজুর কর্তৃক ২ ছাত্রকে বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের কিসমত বিলস্নী হাফিজিয়া মাদ্রাসায়। ঘটনা জানা-জানির পর থেকে ওই হুজুর পলাতক রয়েছেন। এঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
৩। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ তে সিরাজগঞ্জে মালসাপাড়া কবরস্থান কওমী মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আব্দুস সবুর। গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনায় এলাকাবাসী আরবী শিক্ষক আব্দুস সবুরকে হাতেনাতে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করে।
২০১৫-
১। ২ আগষ্ট ২০১৫ তে চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে jafor iqbal কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার চন্দ্রনগর এলাকার মেছবাহুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মো. আব্দুল জব্বারকে (৬০) গ্রেফতার করা হয়।
২। ২০১৫ সালের ৫ আগষ্ট বুধবার রাত বারোটার দিকে, মুন্সীগঞ্জ শহরের বোগদাদীয়া প্লাজায় লাল মিয়া হাফেজিয়া আয়াতুন নেছা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় ৯ বছরের ১ ছাত্রকে বলাৎকার করেন সেই মাদ্রাসার শিক্ষক আরিফুল ইসলাম।
৩। ১০ আগষ্ট ২০১৫ তে ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি মাদ্রাসায় বলাৎকারের শিকার হয়ে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে এমন খবর পাওয়ার পর রবিবার রাতে শফিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।
৪। ২১ আগষ্ট ২০১৫ তে এক মাদ্রাসা শিক্ষক নয় বছর বয়সী ছাত্রকে ধর্ষণ করেন।
৫। ১৭ অক্টোবর ২০১৫ তে রামগঞ্জ উপজেলার ৪নং ইচ্ছাপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর ইসলামীয়া জুনিয়র মাদ্রাসার ৫ম শ্রেনীর ছাত্র আষিক এলাহী (১০) ও নুরুল ইসলাম রাকিব (১১) কে মাদ্রাসা সুপার মাওঃ মাকছুদুল্লাহ কৃর্তক বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া যায় । ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী মাদ্রাসার শিক্ষকদের ২ঘন্টা ব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে এবং মাদ্রাসা সুপারকে গনধোলাই দেয়। অভিযোগ আছে, শিক্ষক ছাত্রদের ভালো ফলাফলের কথা বলে তাদের সাথে রাত্রি যাপন করতো।
২০১৬-
১। ২৩ জানুয়ারী ২০১৬ তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্র (১২) বলাৎকারের অভিযোগে ‍মামলা হয়েছে। উপজেলার উত্তর সুহিলপুর উলুমে শরীয়াহ হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক খালিদ সাইফুল্লাহের বিরুদ্ধে হেফজ বিভাগের এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে সদর মডেল থানায় এ মামলা হয়।
২। ২৭ জানুয়ারি ২০১৬, বলাৎকারের শিকার হওয়া থেকে এবং নিজের সহপাঠী ও মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরকে মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষক কর্তৃক বলাৎকারের শিকার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিবাদ করায় খুন করা হয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরস্থ জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার ফজিলত ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সালমান আহমদ (১৭)’কে। হত্যার একদিন পর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওঃ শিব্বির আহমদ ও নিহতের সহপাঠী মহসিন উদ্দিন নাঈম’র বাসা রক্তমাখা সোফাসেট ও নিহতের ব্যবহৃত জুতা জোড়া উদ্ধার করা হয়েছে।
৪। ১৪ মার্চ ২০১৬, সোমবার, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মতিউর রহমান (৫০) মাদ্রাসা ছাত্রকে রাত এগারোটার দিকে বলাৎকার করে। পরদিন শিশুটি অসুস্থ হয়ে যায় এবং পরিবারকে জানায়। বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য পরিবারের কাছে নানা দেনদরবার করেন মতিউর রহমান। কিন্তু স্থানীয়রা মঙ্গলবার তাকে আটক করে, পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক বলাৎকারের অভিযোগ আছে বলে স্থানীয়রা জানায়। গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক মতিউর রহমান দারুল তালিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও কাচারীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম বলে জানা যায়।
৫। ৩১ মার্চ ২০১৬ তারিখে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার ফয়জুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ৯ বছর বয়সী এক ছাত্রকে বলাৎকার করার অভিযোগে শিক্ষক ক্বারী শামসুল হককে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৬। ২৩ এপ্রিল ২০১৬ তে ঢাকার কেরানীগঞ্জে নয় বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। শিক্ষকের নাম মো. মাহমুদুল হাসান (২৬)। তিনি উপজেলার পূর্ব চড়াইল জামিউল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক। তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ওই ছাত্রের চুল ছেটে দিয়ে গোসল করানোর কথা বলে শিশুটিকে জোরপূর্বক বলাৎকার করেছে।
৭। ২২ জুলাই ২০১৬ তে রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকার জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দিনের পর দিন পাশবিক নির্যাতন করেছেন ১৩ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রকে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিত ছাত্রের বাবা। মামলার এজহার সুত্রে জানা যায়, জিহাদী ভিক্টিম ছাত্রকে প্রতি রাতে গা হাত পা টিপার নাম করে নিজ কক্ষে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করত।
৮। ২০১৬ সালের ২৮ আগষ্ট সিরাজদিখানে এক মাদ্রাসা প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার ১০ বছরের এক ছাত্রের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে প্রায় কয়েকশ এলাকাবাসী মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে প্রিন্সিপালকে মারধর শুরু করে। পরে বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে মাদ্রাসা থেকে ছাড়িয়ে নেয় উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
৯। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তে চট্টগ্রামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলৎকার করেন মাওলানা জমির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। অভিযুক্ত মাওলানা জমির উদ্দিন (৩০) পাঁচলাইশ থানাধীন শুলকবহর আবদুল হামিদ রোডের এম সিরাজ মসজিদের ইমাম ছিলেন। ঘটনার পর মসজিদ কমিটি তাকে বরখাস্ত করে।
১০। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ কামারখণ্ড উপজেলার ৮ বছর বয়সী এক শিশু ছাত্রকে ধর্ষণ করে, সেই মাদ্রাসার শিক্ষক শাহ আলম। শিশুটি তার উপর হওয়া ধর্ষণের কথা ১০ জানুয়ারী ২০১৭ তে তার পিতাকে জানালে, পিতা কামারখন্দ থানায় মামলা করেন। তারপর পুলিশ শাহ আলমকে গ্রেফতার করেন। শাহ আলম দীর্ঘদিন ধরে হাফজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে আসছিলেন বলে জানা যায়।
২০১৭-
১। ভোলা শহরের যুগীর ঘোল এলাকায় হোসাইনিয়া প্রি-ক্যাডেট মাদ্রাসার খণ্ডকালীন শিক্ষক মো. শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগের দরুণ ওই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ভিক্টিমের অভিযোগ ছিল; মাদ্রাসার ক্লাস চলাকালে শিক্ষক শাহাবুদ্দিন ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করে। পরে ভিকটিমকে একথা কাউকে বলতে নিষেধ করে ও ভয় দেখায়। পরে ছাত্রী গোসল করার সময়, গায়ে নখের আচর দেখে; তার মায়ের জেরার মুখে সব খুলে বলে। ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্বাস উদ্দিন বলেন, শাহাবুদ্দিন বহিরাগত ভোলা কলেজের ছাত্র। মাদ্রাসা চলাকালে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করায় তাকে পুলিশে দেয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
২। লক্ষ্মীপুর সদরের নন্দপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার পঞ্চম, অষ্টম ও নবম শ্রেণীর তিন ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ইমাম হোসেনকে আটক করে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মতে শিক্ষক ইমাম হোসেনের নিকট মাদ্রসা ছাত্রীরা কৃষি বিষয়ে প্রাইভেট পড়তো। প্রাইভেট শেষে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রায় সময় ডেকে নির্দিষ্ট একটি রুমে নিয়ে একাধিকবার যৌন হয়রানী করেছে; তিনি আগেও অন্য ছাত্রীদের সাথে এমন করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৩। ১৮ জুলাই ২০১৭ তে ভোলার বোরহানউদ্দিনে ইদারার মুল কেন্দ্র সি: মুজাব্বিদ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় উক্ত শিক্ষককে ২০টি বেত্রাঘাত করেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া। জানা গিয়েছে, সেই শিক্ষক ছাত্রীকে একা মাদ্রসায় প্রাইভেট পড়াতেন। আর এ সুযোগে তিনি ছাত্রীকে কয়েকদিন ধরে যৌন নির্যাতন করেন, পরবর্তীতে ঘটনা জানাজানি হলে, শিক্ষককে ভাইস চেয়ারম্যান ডাকেন এবং শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ক্ষমা চান।
জানুয়ারী থেকে জুন
১। ৭ জানুয়ারী ২০১৭ তে বন্দরের কাইত্তাখালী মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারী মোঃ রফিকুল ইসলামের দ্বারা ছাত্র (৭) ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
২। ১৫ জানুয়ারী ২০১৭ সোনাগাজীতে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আব্দুল খালেক (৫৫) নামের ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাকে উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের খিছড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩। ২০১৭ সালের ৭ মার্চ, মঙ্গলবার শিশুকে ধর্ষনের জন্য গ্রেফতার হন, মাদ্রাসা শিক্ষক। চাঁদপুর পৌর এলাকা, ১৫নং ওয়ার্ডের ডিসি অফিস এলাকায়, আল করিম দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার এক মাদ্রাসা ছাত্রকে (৯), সেই মাদ্রাসার শিক্ষক মোক্তার হোসেন বলাৎকার করেন। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে জনতা। জানা যায়, মা-বাবাকে মেরে ফেলবে, এরকম হুমকি দিয়ে মুখে হাত চাপা দিয়ে ১০/১২ দিন ধরে ধর্ষণ করত সেই শিক্ষক।
৪। ৮ মার্চ ২০১৭ তে চাঁদপুর পৌর এলাকায় উত্তর জিটি রোডে আল করিম দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার কোরান বিভাগের ছাত্রকে (৯) বলাৎকারের অভিযোগে ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক মোক্তার হোসেনকে আটক করে এরপর পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। শিশুটি জানায়, প্রায় ১০/১২ দিন রাতে ঘুমালে তার মুখে চাপা দিয়ে শিক্ষক খারাপ কাজ করত।
৫। ১৬ মার্চ ২০১৭ সালে মাদ্রসার তালাবদ্ধ ঘর থেকে লাশ পাওয়া যায় ছাত্রের। ময়নাতদন্তের পরে জানা যায় মাদ্রাসার শিক্ষকই শিশু শিক্ষার্থী নাজিম উদ্দীনকে বলাৎকারের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখে মাদ্রাসার কক্ষে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বিরাশি গ্রামের একটি কওমী মাদ্রাসায়। ঘটনার পর থেকে ভ- মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মাহবুবুর রহমান ও তার এক সহযোগী পলাতক রয়েছে।
৬। ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল শনিবার রাজধানীর সবুজবাগ থানার বাসাবো এলাকার মোহাম্মাদিয়া আরাবিয়া নামক মাদ্রাসায়; আট বছরের এক ছাত্রকে মুখে স্কচটেপ, হাত ও পা বেঁধে বলাৎকার করা হয়েছে। এর জন্য শিক্ষক বেলাল হোসেনকে পুলিশ খোজা শুরু করেছে। অভিযোগ উঠেছে, সেই মাদ্রাসার শিক্ষককে পালাতে মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ সহায়তা করেছে। ঘটনার শিকার ছাত্রটি বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
৭। ৫ মে ২০১৭ তে ইউসুফিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম আশরাফ আলী চলতি বছরের মাদ্রাসার ছাত্র শিশু ছাত্র আল-আমিনকে তেল মালিশের কথা বলে ঘরে ডেকে নিয়ে বলাৎকার এর অভিযোগ উঠেছে।
৮। ১১ মে ২০১৭ তে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে তেল মালিশের নামে এক ক্যাডেট মাদ্রাসার চার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে আলী আশরাফ নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। বেলকুচিতে উত্তর বানিয়াগাতীতে ইউসুবিয়া কওমী ক্যাডেট মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যাক্তি ঐ মাদ্রাসার মুহতামিম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
৯। ৯ জুন ২০১৭ শুক্রবার দুর্গাপুর উপজেলার হাটকানপাড়া এলাকায়, মাদ্রাসাছাত্রকে (৯) বলাৎকার করেন, মাদ্রাসা শিক্ষক আরিফুল ইসলাম (৩০)। বেলা এগারোটার দিকে তিনি, তার ছাত্রকে বাথরুমে নিয়ে দরকা আটকে দেন। কিছুক্ষণ পরে অন্য ছাত্ররা বিষয়টা বুঝতে পেরে দরকা ধাক্কা দিতে থাকে। তারপর ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন, উক্ত শিক্ষক। বিষয়টা তৎক্ষণাৎ জানাজানি হয়ে গেলে, স্থানীয়রা মাদ্রাসাটিকে ঘিরে ফেলে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিছু ছাত্র থেকে জানা যায়, উক্ত শিক্ষক ১৫-১৬ দিন আগেও এক ছাত্রের সাথে এমনটা করেছিল। সেই ছাত্র রাতের আধারেই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। বিষয়টা লোকলজ্জ্বার ভয়ে ওই ছাত্রের পরিবার লুকিয়ে রাখেন।
জুলাই থেকে ডিসেম্বর-
১। ১৪ জুলাই ২০১৭ তে চট্টগ্রাম নগরীতে; বাকলিয়া থানার চাক্তাই এলাকার দারুল এহসান হেফজখানার এক শিক্ষার্থীকে (১১) বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই হেফজখানার এক শিক্ষক মো. ইসহাককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২। ১৫ জুলাই ২০১৭: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর রেলওয়ে মসজিদের ইমাম কাম শাহজালাল এবতেদায়ী হাফিজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কর্তৃক একটি শিশু বলাৎকারের অভিযোগ উঠে। সূত্র অনুসারে, শমশেরনগর ইউপি’র ভাদাইরদেউল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মো: সাদেকুজ্জামানের ছেলে শমশেরনগর রেলওয়ে বাইতুন নূর মসজিদ সংলগ্ন শাহজালাল এবতেদায়ী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় আরবি শিক্ষায় পড়াশুনা করছিলো। গত ০৭ জুলাই ফজরের নামাজের পর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও রেলওয়ে স্টেশন বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমান হাফিজ মিছবাহ উদ্দীন এ শিশুটিকে তার শয়নকক্ষে ডেকে নিয়ে তার শরীর ম্যাসেজ করানোর নামে কক্ষের দরজা বন্ধ করে শিশুটিকে বলাৎকার করেন।
৩। ১৮ জুলাই ২০১৭ তে রংপুরের পীরগঞ্জে পত্নীচড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার মোহাত্তামির বিরুদ্ধে ছাত্রদের বলাৎকার ও যৌন হয়রানী করার অভিযোগে মাদ্রাসা কমিটি তাকে মোহাত্তামির পদ থেকে অব্যহতি দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়আলমপুর ইউনিয়নের পত্নীচড়া মাদ্রাসায়। স্থানীয় অভিভাবক ও ছাত্ররা জানান পত্নীচড়া মাদ্রাসায় দিনাজপুর জেলাধীন বিরামপুর উপজেলার চরকাই গ্রামের হাফেজ মওলানা হযরত আলী হুজুর প্রায় ২ বৎসর পূর্বে উক্ত মাদ্রাসার মোহাত্তামিম পদে নিয়োগ পান।।এদিকে অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই রাতের বেলা একেকদিন এক ছাত্রকে ডেকে নিয়ে তার শরীর টিপে নিতেন এবং মোবাইলে পর্ণগ্রাফী দেখতেন এবং দেখাতেন। শুধু তাই নয় উক্ত হুজুর ছাত্রদের সাথে যৌন সম্পর্কিত আলোচনা ইয়ার্কি ফাজলামি করতেন। এরই সুযোগে মোহাত্তামিম দিনেরপর দিন ছাত্রদের সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
৪। ২০১৭ সালের ১৬ আগষ্ট, বুধবার বরিশাল নগরীর আমতলা পানির ট্যাংকি এলাকায়; মনিরুল কুরআন নূরানী হাফেজী ও কওমী মাদ্রাসায় ১১ বছর বয়সি এক আবাসিক ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগ উঠে সেই মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম হাফেজ মো. রাতুল। বলাৎকারের চেষ্টার শিকার হওয়া ছাত্রটি জানায়, তাকে তার শিক্ষক (হুজুর) পড়া না পারায়, শাস্তির নামে বুধবার সকাল ৮ টার ডিকে ডেকে নেন। এরপরই তাকে বলাৎকারের চেষ্টা করা হয়। এরপরই ছেলেটি কোনোক্রমে পালিয়ে রাস্তায় নেমে কান্নাকাটি শুরু করে। স্থানীয়রা সন্দেহজনক মনে করে শিশুটির থেকে সব জেনে নিয়ে, মাদ্রাসার পরিচালক এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে ফেলে। স্থানীয়রা জানায়, মনিরুল কুরআন নূরানী হাফেজী ও কওমী মাদ্রাসাটিতে ইতিপূর্বে ছাত্রদের বলাৎকার, নির্যাতন সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে পরিচালক এবং শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
৫। ২৩ আগষ্ট ২০১৭ তে দীঘিনালায়; মেরুং আল ইকরা হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীকে (১০) বলাৎকার এর অভিযোগ উঠেছে দুই ধর্মীয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। আটক শিক্ষকরা হলেন উপজেলার ছোট মেরুং আল ইকরা হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক, হাফেজ মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম (৩৬) এবং নুরানী বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মো. নোমান (২২)। অভিযোগ হচ্ছে; রমজান মাসে রাতের বেলা হাফেজ আল নোমানের শয়নকক্ষে নিয়ে ওই ছাত্রকে দিয়ে হাত, পা এবং শরীর মেসেজ করানোর এক পর্যায়ে মাদ্রাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ছাত্রকে তারা জোরপূর্বক বলাৎকার করে। পরে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো।
৬। ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ফয়জুল উলুম ইন্টার ন্যাশনাল মাদ্রাসার অফিস কক্ষে দুই ছাত্রকে ধর্ষণ করেন শিক্ষক। তার নাম আলী আকবর শেখ। তিনি ১৩ ও ১৪ বছর বয়সের দুই ছাত্রকে ভয়ভীতি দেখিয়ে শুক্রবার রাতে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে পর্যায়ক্রমে দুই ছাত্রকে ধর্ষণ করে। এরপর আবার ধর্ষণের চেষ্টা করলে দুই ছাত্র জানালার কাচ ভেঙে বাইরে বেরিয়ে মাছ বাজারে গিয়ে চিৎকার দেয়। পরে লোকজন পুলিশকে খবর দিলে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
৭। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বাজার মসজিদের ইমাম ও বাজার মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ওসমান বিন মাঈনুদ্দিনের (৪৮) বিরুদ্ধে শিশু ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। তিনি রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) নিজের বাসায় তার ওই মাদরাসারই উর্দু বিভাগের প্রথমস্তরের এক শিশু ছাত্রকে বলাৎকার করে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি ধনবাড়ী উপজেলার; জামিয়া আরাবিয়া ধনবাড়ী বাজার মাদ্রাসার উর্দু খানার প্রথম বিভাগের শিক্ষার্থী।
৮। ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ডেমরায় ১১ বছরের এক শিশু ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ফয়সালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভুক্তভোগী ওই ছাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিল বলে ডেমরা থানার অপারেশন অফিসার স্নেহাশীষ রায় জানিয়েছেন।
৯। ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুরে মোহাম্মদিয়া আরাবিয়া নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার আট বছরের শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। একজন শিক্ষক ফোরকান আহমেদকে (২৪) পুলিশ গ্রেফতার কর‍তে পারলেও অপরজন পলাতক আছেন
১০। ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক মাদ্রাসার ছাত্র জাসিমুর রহমান জসিমকে (১৩) প্রথমে বলাৎকার করার চেষ্টা এবং তাতে ব্যর্থ হয়ে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত দুইজন হচ্ছেন সেই মাদ্রাসার শিক্ষক ও ইমাম এবং তার সহযোগী। এই দুজনের মধ্যে আবার বিকৃত যৌন সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশ জানায়। আদালতে দেওয়া জববানবন্দী অনুসারে ২১ সেপ্টেম্বর ইমাম মুছা তাঁর চট্টগ্রামের বাসায় ভৈরবের মাদ্রাসাছাত্র জাসিমকে কয়েকবার বলাৎকার করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন মুছা। পরে ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে জাসিমের লাশ বস্তাবন্দি করে ব্রিজ থেকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেন। তিনি চট্টগ্রাম খুলশী থানাধীন লালখান বাজারের আমীন সেন্টার এবাদতখানার ইমাম ছিলেন। তিনি একই সঙ্গে লালখান এলাকার সাতকানিয়া কলোনি মাদ্রাসার শিক্ষক। সেই ইমাম এর আগেও এমন কাজ করেছে বলে জানা যায়। ছেলে শিশু যোগাড় করে দিতে তার রয়েছে একাধিক সরবরাহকারী। জসিম কমলপুর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার হেফ্জ বিভাগে পড়তেন।
১১। ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর ছাত্রলীগ নেতা লাল্টুর(৩৮) বিরুদ্ধে মাদ্রসা শিক্ষার্থীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠে।
১২। ১৪ অক্টোবর ২০১৭ তে ভোলায় মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে এক নয় বছরের ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষকের নাম মো. সাইফুল। শনিবার সকালে শহরের মহাজনপট্টি বাইতুল মুয়াজ্জাম ক্যাডেট মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিভাবকরা জানান, এখানকার আরো কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠেছে।
১২। ১৭ অক্টোবর ২০১৭ তে শেরপুর সদর উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রকে (৮) বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষক উমর ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে।
১৩। ২০ অক্টোবর শুক্রবার ২০১৭ তে আবদুল জব্বার মাহমুদ জিহাদী নামক এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে সে মাদ্রাসারই ১৪ বছরের ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠে। সুপার হেফাজতে ইসলামের রাজশাহী শাখার অর্থ সম্পাদক ও কওমি মাদ্রাসা স্বীকৃতি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য বলে জানা যায়। ছাত্রের ভাষ্যমতে তাকে সুপার বাথরুমে কাপড় ধুতে বলেন। তারপর কাপড় ধোয়ার এক পর্যায়ে বলাৎকার করেন। সেই সুপার এর আগেও অনেকের সাথে এমনটা করেছেন বলে জানা যায়। সুপারের স্ত্রী, সুপারের এ হেন কাজের কথা পুর্ব থেকে অবগত ছিলেন, তিনি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সুপার তাকেও নির্যাতন করেন বলে জানা যায়। ২৬ অক্টোবর মাদ্রাসা সুপারকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন।
১৪। ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার মদিনাতুল হাফেজ মাদ্রাসার ছাত্র আবদুর রহমান জিদানের (১৪) লাশ উদ্ধার করা হয় সেই মাদ্রাসা থেকে। এজন্য সেই মাদ্রাসারই সিনিয়র ছাত্র মোঃ আবু বক্কর(১৬) কে গ্রেফতার করা হয়। র‍্যাবের ভাষ্যমতে অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় এ কাজ করা হয়।[৮৩]
১৫। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর ঢাকার মধ্য বাড্ডায় জামিয়াতুল বালাগ আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ইসমাঈলকে ছাত্র ধর্ষণের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে।
১৬। ৭ ডিসেম্বর ২০১৭ তে ফেনী শহরের পশ্চিম ডাক্তার পাড়ায় দারুল উলুম মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রকে (১১) বলাৎকারের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৭। ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ তে, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুর মহিউস সুন্নাহ হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার ছয় ছাত্রকে দিনের পর দিন বলাৎকার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ; অভিযুক্ত শিক্ষক আতাউর রহমান ফকির (২৩) এবং বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করায় মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল গণি হাওলাদারকে (৬০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।)



এম এম মেহেরুল
লেখক ও চেয়ারম্যান
আলোর প্রদীপ।
E-mail:- [email protected]


সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×