somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি বাস্তব সত্যঃ আমি কিছু বলবোনা আপনারাই বলুন।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জনাব আমিন রহমান (ছদ্মনাম), এল,পি,আর এ আসা সরকারী কর্মকর্তা।দুই কণ্যা সন্তানের পিতা।নিজের বয়স বেড়েছে।স্ত্রীরও বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারিরিক অসুস্থতা বেড়েছে।দুইবার তাঁর শরীরে মেজর দুটি অপারেশন ও হয়েছে।বড় মেয়ে অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ছে।ছোট মেয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ছে।দুজনেরই গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা।লম্বা শরীরের গঠন।ছোট মেয়েটির জন্ম ২০০০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর।২০০৯ সালে চ্যানেল ওয়ান (বর্তমান বন্ধ) আয়োজিত হরলিক্স ফিউচার ফোর্স প্রতিযোগীতার বিজয়ী সদস্য। সেরা তিনের একজন।



ওদের বিভিন্ন প্রয়োজন যেমন এটা ওটা কেনা কাটার জন্য বাইরে যাওয়ার সময় ওর মাকে সঙ্গে যেতে হয়।এছাড়া স্বামী স্ত্রী দুজনেরই বয়স বেড়েছে।তাই এসব সঙ্গত কারণে ওরা বেশ কিছুদিন ধরে বড় মেয়েটিকে পাত্রস্থ করার জন্য একটা মানান সই পাত্র খুঁজছেন।যার হাতে মেয়েটিকে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারেন এবং ছোট মেয়েটির প্রতি যে ছোট বোনের দায়িত্ব টুকুন পালন করে বাবা মায়ের অবর্তমানে।



এখান থেকে সেখান থেকে পাত্র আসে।পছন্দ অপছন্দের কারণে হয়না।গত চারদিন আগে এক পাত্র পক্ষ আসে।পাত্র পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর।সাতক্ষীরায় কর্মরত।নাম বোরহান (সঙ্গে পদবি কি সেটা আমি সঠিক জানিনা) এস,এস,সি-১৯৯৪ সেই হিসাবে পাত্রের বয়স আনুমানিক ৩৩/৩৪ বছর।দেখতে বি-ক্যাটাগরির।অর্থাৎ চলে আর কি।মোটামুটি ভালও বলা যায়না আবার একদম যে বদখাত তাও নয়।পাত্রীর বয়স ২২ বছর।দেখাদেখির এক পর্যায় পাত্র পক্ষকে মনে হয় পজেটিভ সেই বিবেচনায় পাত্রীর বাবা মা আত্নীয় স্বজন সিদ্ধান্ত নেয় ওদের যদি পছন্দ হয় তবে আমরা একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখব যদি পজেটিভ বুঝি তবে বিয়েটা দিয়ে দিব।পাত্রীর কোন ব্যক্তিগত মত নেই।বাবা মার যদি পছন্দ হয় তবে তার বিমত নেই।



পাত্রীর মায়ের ফোন নম্বরের সঙ্গে পাত্রের গ্রামীণ (01712691879) ফোনের একটি নম্বর আদান প্রদান হয়।দুদিন পর ভোর ৬ টায় পাত্র ফোন দেয় পাত্রীর মায়ের নম্বরে।মেয়েদের ঘরে ফোন চার্যে থাকে।ছোট মেয়েটি ফোন ধরে।পরিচয় দেয় আমি অমুক।মেয়েটি বলে ভাইয়া আপনি পরে ফোন দিয়েন আমার আম্মুতো এখন অন্য ঘরে ঘুমানো।আমিও ঘুমাচ্ছি।এই বলে মেয়েটি ফোন কেটে দেয়। এর পর দুপুরের দিকে আবার একটি অপরিচিত বাংলা লিন্ক এর নাম্বার (01920099979) দিয়ে একটি ফোন আসে।ওরা তখন মা মেয়ে তিনজনেই বাইরে।কারণ ওদের এক চাচাত বোনের এর বাচ্চা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছে ওরা সেখানে গেছে।ফোনটি ওর আম্মু বড় মেয়েকে দেয়। দেখতো কে ফোন করছে।এত শব্দতে আমি কিছু শুনতে পারছিনা।বড় মেয়েটি সালাম জানিয়ে এটা ওটা জিগায়।পরিচয় জিজ্ঞেস করে।এক সময় পরিচয় দেয় আমি বোরহান।মেয়েটি তখন ভদ্রতা/ফরমালিটি রক্ষর্থে জিজ্ঞেস করে আপনি কেমন আছেন? আপনার এ্যকসিডেন্ট হয়েছিল তা কি অবস্থা এখন? আপনার বাবা মা কেমন আছেন এই ইত্যাদি।পাত্র জিজ্ঞেস করে তোমার আসে পাশে কি কেউ আছে? পাত্রী বলে না আমার পাশে কেউ নেই।কেন কি হয়েছে বলুন।এ কথা জিজ্ঞেস করছেন কেন! পাত্র জবাব দেয় না এমনি।তা তোমার আপু কথায়? মেয়েটি জবাব দেয় সরি আপনার বোধ হয় ভুল হচ্ছে আমিই রুবা (ছদ্মনাম) ।পাত্র কিছুটা হচকচিয়ে যায় আনইজি ফিল করে এবং বলে তোমার ছোট বোন কোথায়?ওকে একটু দাও যদি পাশে থাকে।রুবা ছোটবোনকে ফোন দেয়।পাত্র বলে তোমার পাশেতো তোমার আপু তা তুমিকি একটু সরে যেতে পার ঐখান থেকে।মেয়েটি বলে হ্যা বলুন আপু শুনবেনা।পাত্র তখন ১৫ বছরের মেয়েটিকে বলেঃ জান তোমাদের বাসা থেকে আসার পর আমি একটুও ঘুমাতে পারছিনা।আমার দু’চোখে শুধু তোমার ছবি ভাসছে।আমার কিছুই ভাললাগছেনা।তাই শুধু তোমার সঙ্গে কথা বলার জন্য এতবার ফোন করছি।তোমাকে না পেলে আমার জীবন ব্যর্থ হয়ে যাবে।আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।এবং আরও কয়েকটি কথা যা মেয়েটি তার নিজের বোনের কাছেও বলতে লজজাবোধ করছে।এবং সে ঐ পুলিশ ইন্সপেক্টরের বলা দু একটি এই ধরনের কথার অর্থও বোঝেনি।তার বোনকে বলেছে।তার বোন বলছে এগুলো আম্মুর সামনে বলিস না।ঐ পাত্রের সঙ্গে বিয়ের চিন্তা ভাবনা পাত্রীপক্ষ নাকচ করেছে।কারণ পাত্রির মায়ের ভাষ্য এই ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দয়ে কি আমি আমার মান সন্মান নষ্ট করবো!ওর কাছে আমার ছোট মেয়েটি একটি নিরাপদ সম্পর্কে থাকবে বা আমার বড় মেয়েও যে সুখী হবে তা আমি কি করে ভাবি!



পাঠক বন্ধুরা বলুন এই হারামির বাচ্চার কি প্রাপ্য।এর মাঝের কুকুরটাকে ও এত বেশি পোষ মানিয়েছে যে ও ওর মেয়ের বয়সী একটা অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে (যার বড় বোনের সাথে ওর বিয়ের কথা বার্তা চলছে) পর্যন্ত ঐ কুকুরটা কামড়াতে চায়।এই সব কুকুরদের কাছে কিভাবে আপনার আমার কণ্যা,বোন নিরাপদে থাকবে!!!



অনেকেই বলবে ধর্মীও অনুশাসন থাকলে এমন হতোনা। তাদের বলছিঃ ধর্মীও অনুশাসনে কি ঐ কুকুরটার ভিতরে বসত করা কুকুরটি মরে যেত?? নিশ্চয় না।যার পশু সে নিজে মারেনা তার পশু কিছুতেই মরেনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×