জনাব আমিন রহমান (ছদ্মনাম), এল,পি,আর এ আসা সরকারী কর্মকর্তা।দুই কণ্যা সন্তানের পিতা।নিজের বয়স বেড়েছে।স্ত্রীরও বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারিরিক অসুস্থতা বেড়েছে।দুইবার তাঁর শরীরে মেজর দুটি অপারেশন ও হয়েছে।বড় মেয়ে অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ছে।ছোট মেয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ছে।দুজনেরই গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা।লম্বা শরীরের গঠন।ছোট মেয়েটির জন্ম ২০০০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর।২০০৯ সালে চ্যানেল ওয়ান (বর্তমান বন্ধ) আয়োজিত হরলিক্স ফিউচার ফোর্স প্রতিযোগীতার বিজয়ী সদস্য। সেরা তিনের একজন।
ওদের বিভিন্ন প্রয়োজন যেমন এটা ওটা কেনা কাটার জন্য বাইরে যাওয়ার সময় ওর মাকে সঙ্গে যেতে হয়।এছাড়া স্বামী স্ত্রী দুজনেরই বয়স বেড়েছে।তাই এসব সঙ্গত কারণে ওরা বেশ কিছুদিন ধরে বড় মেয়েটিকে পাত্রস্থ করার জন্য একটা মানান সই পাত্র খুঁজছেন।যার হাতে মেয়েটিকে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারেন এবং ছোট মেয়েটির প্রতি যে ছোট বোনের দায়িত্ব টুকুন পালন করে বাবা মায়ের অবর্তমানে।
এখান থেকে সেখান থেকে পাত্র আসে।পছন্দ অপছন্দের কারণে হয়না।গত চারদিন আগে এক পাত্র পক্ষ আসে।পাত্র পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর।সাতক্ষীরায় কর্মরত।নাম বোরহান (সঙ্গে পদবি কি সেটা আমি সঠিক জানিনা) এস,এস,সি-১৯৯৪ সেই হিসাবে পাত্রের বয়স আনুমানিক ৩৩/৩৪ বছর।দেখতে বি-ক্যাটাগরির।অর্থাৎ চলে আর কি।মোটামুটি ভালও বলা যায়না আবার একদম যে বদখাত তাও নয়।পাত্রীর বয়স ২২ বছর।দেখাদেখির এক পর্যায় পাত্র পক্ষকে মনে হয় পজেটিভ সেই বিবেচনায় পাত্রীর বাবা মা আত্নীয় স্বজন সিদ্ধান্ত নেয় ওদের যদি পছন্দ হয় তবে আমরা একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখব যদি পজেটিভ বুঝি তবে বিয়েটা দিয়ে দিব।পাত্রীর কোন ব্যক্তিগত মত নেই।বাবা মার যদি পছন্দ হয় তবে তার বিমত নেই।
পাত্রীর মায়ের ফোন নম্বরের সঙ্গে পাত্রের গ্রামীণ (01712691879) ফোনের একটি নম্বর আদান প্রদান হয়।দুদিন পর ভোর ৬ টায় পাত্র ফোন দেয় পাত্রীর মায়ের নম্বরে।মেয়েদের ঘরে ফোন চার্যে থাকে।ছোট মেয়েটি ফোন ধরে।পরিচয় দেয় আমি অমুক।মেয়েটি বলে ভাইয়া আপনি পরে ফোন দিয়েন আমার আম্মুতো এখন অন্য ঘরে ঘুমানো।আমিও ঘুমাচ্ছি।এই বলে মেয়েটি ফোন কেটে দেয়। এর পর দুপুরের দিকে আবার একটি অপরিচিত বাংলা লিন্ক এর নাম্বার (01920099979) দিয়ে একটি ফোন আসে।ওরা তখন মা মেয়ে তিনজনেই বাইরে।কারণ ওদের এক চাচাত বোনের এর বাচ্চা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছে ওরা সেখানে গেছে।ফোনটি ওর আম্মু বড় মেয়েকে দেয়। দেখতো কে ফোন করছে।এত শব্দতে আমি কিছু শুনতে পারছিনা।বড় মেয়েটি সালাম জানিয়ে এটা ওটা জিগায়।পরিচয় জিজ্ঞেস করে।এক সময় পরিচয় দেয় আমি বোরহান।মেয়েটি তখন ভদ্রতা/ফরমালিটি রক্ষর্থে জিজ্ঞেস করে আপনি কেমন আছেন? আপনার এ্যকসিডেন্ট হয়েছিল তা কি অবস্থা এখন? আপনার বাবা মা কেমন আছেন এই ইত্যাদি।পাত্র জিজ্ঞেস করে তোমার আসে পাশে কি কেউ আছে? পাত্রী বলে না আমার পাশে কেউ নেই।কেন কি হয়েছে বলুন।এ কথা জিজ্ঞেস করছেন কেন! পাত্র জবাব দেয় না এমনি।তা তোমার আপু কথায়? মেয়েটি জবাব দেয় সরি আপনার বোধ হয় ভুল হচ্ছে আমিই রুবা (ছদ্মনাম) ।পাত্র কিছুটা হচকচিয়ে যায় আনইজি ফিল করে এবং বলে তোমার ছোট বোন কোথায়?ওকে একটু দাও যদি পাশে থাকে।রুবা ছোটবোনকে ফোন দেয়।পাত্র বলে তোমার পাশেতো তোমার আপু তা তুমিকি একটু সরে যেতে পার ঐখান থেকে।মেয়েটি বলে হ্যা বলুন আপু শুনবেনা।পাত্র তখন ১৫ বছরের মেয়েটিকে বলেঃ জান তোমাদের বাসা থেকে আসার পর আমি একটুও ঘুমাতে পারছিনা।আমার দু’চোখে শুধু তোমার ছবি ভাসছে।আমার কিছুই ভাললাগছেনা।তাই শুধু তোমার সঙ্গে কথা বলার জন্য এতবার ফোন করছি।তোমাকে না পেলে আমার জীবন ব্যর্থ হয়ে যাবে।আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।এবং আরও কয়েকটি কথা যা মেয়েটি তার নিজের বোনের কাছেও বলতে লজজাবোধ করছে।এবং সে ঐ পুলিশ ইন্সপেক্টরের বলা দু একটি এই ধরনের কথার অর্থও বোঝেনি।তার বোনকে বলেছে।তার বোন বলছে এগুলো আম্মুর সামনে বলিস না।ঐ পাত্রের সঙ্গে বিয়ের চিন্তা ভাবনা পাত্রীপক্ষ নাকচ করেছে।কারণ পাত্রির মায়ের ভাষ্য এই ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দয়ে কি আমি আমার মান সন্মান নষ্ট করবো!ওর কাছে আমার ছোট মেয়েটি একটি নিরাপদ সম্পর্কে থাকবে বা আমার বড় মেয়েও যে সুখী হবে তা আমি কি করে ভাবি!
পাঠক বন্ধুরা বলুন এই হারামির বাচ্চার কি প্রাপ্য।এর মাঝের কুকুরটাকে ও এত বেশি পোষ মানিয়েছে যে ও ওর মেয়ের বয়সী একটা অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে (যার বড় বোনের সাথে ওর বিয়ের কথা বার্তা চলছে) পর্যন্ত ঐ কুকুরটা কামড়াতে চায়।এই সব কুকুরদের কাছে কিভাবে আপনার আমার কণ্যা,বোন নিরাপদে থাকবে!!!
অনেকেই বলবে ধর্মীও অনুশাসন থাকলে এমন হতোনা। তাদের বলছিঃ ধর্মীও অনুশাসনে কি ঐ কুকুরটার ভিতরে বসত করা কুকুরটি মরে যেত?? নিশ্চয় না।যার পশু সে নিজে মারেনা তার পশু কিছুতেই মরেনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩