এদেশে যারা রাজনীতি করে তারা নিজেদের কি মনে করে! এলাকার পাতি নেতা হতে শুরু করে শহরের তালিকাভুক্ত নেতা এবং তাদের কিছু কর্মীরা শহরটাকে যেন কিনে নিছে! যেখানেই যায় কেউ না কেউ নিজেকে সরকার দলীয় নেতা বলে জাহির করে! সাধারণ খেটে-খাওয়া কর্মজীবী মানুষগুলো আজ এদের হাতে জিম্মি, অতীষ্ট। আশেপাশের সাধারণ মানুষ গুলোকে থোড়াইকেয়ার করে তারা। দেশের পুলিশ প্রশাসনও আজ এদের কথায় উঠবস করে। কিছু পুচকে পোলাপাইন তোমার আশেপাশে রাখো, সিনিয়র কিছু লিডার এর সাথে তেল মেরে সম্পর্ক করো, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করো, তাহলেই তুমি নেতা! যা ইচ্ছে করতে পারো তুমি! রাজনীতির এক অন্য অর্থ তৈরি করছে আজ এসব নেতারা। যেখানে যাবে সেখানেই অন্যায় ক্ষমতার দাপট না দেখালেই যেনো নয়... ঐ যে সরকার দলীয় নেতা বলে কথা! দেশে যে সরকারই আসুক না কেন, প্রত্যেক সরকারেই এসব নেতা থাকে। ক্ষতিকারক জীবানুর মতো তারা এ সমাজ, দেশেকে কলুষিত করে যাচ্ছে । ঠেন্ডার, চাঁদাবাজি, লুটপাঠ, মারামারি-হানাহানি, এলাকায় প্রভাব বিস্তার, এসব এখন রাজনীতির সিম্বল হিসেবে কাজ করে! আসলেই... এসবই কি রাজনীতি?! তারা কি জানে রাজনীতি কাকে বলে? মনে তো হয় না। গতকাল সন্ধ্যায় একটা কাজে আমি যখন জি, ই, সি গেছিলাম, তো ফিরার জন্য যখন রিকশার জন্য অপেক্ষা করছি তখন এক বন্ধুর সাথে দেখা, সে আবার চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা, নাম প্রকাশ করছি না। আর এসব লেখাও তার দেখার সম্ভাবনা নেই, কারন এসব ব্লগ আবার এসব নগর ভিত্তিক নেতারা দেখে না, পড়ার তো প্রশ্নই আসেনা। তো অনেক দিন পর দেখা হলে যা হয় আর কি; - বন্ধু বললো, দোস্ত কি অবস্থা কেমন আছিস? ইত্যাদি ফর্মালিটি। - ভালো দোস্ত, মোটামুটি আছি আমি। তোর কি অবস্থা রাজনীতি কেমন চলতেছে? দেশের ব্যবসা বানিজ্যের অবস্থা তো তেমন ভালো না। - আর বলিস না, ধান্ধা পান্ধার অবস্থা তেমন ভালো না, টেন্ডার তেন্ডার এর অবস্থাও তেমন ভালো না, প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে গেছে। শালার রাজনীতি আমারে তেমন কিছুই দিলো না! ... চিন্তা করেন, ব্যাটা রাজনীতি করে কিসের জন্য! রাজনীতি তাকে কিছুই দিলো না! যাই হোক দোস্ত আমাকে আমার অনিচ্ছ্বাসত্তেও নিয়ে গেল এক ফাস্টফুডের দোকানে, নাস্তা করাবে বলে। নাস্তা করছি আর টুকটাক আলাপচারিতা সাড়ছি। মূল ব্যাপারটা হলো তখন যখন আমি আগ বাড়িয়ে নাস্তার বিল দিতে গেলাম। দোস্ত বললো বিল কেন দিতেছস! আমি ভাবলাম সে বিল দিতে চাইতেছে তাই আমাকে বারণ করতেছে। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে বিল না দিয়েই সে আমাকে নিয়ে দোকান থেকে বের হয়ে গেল! দোকানদারও দেখি কিছু বললো না! বললাম দোস্ত বিল দেয়া হলো না তো? সে বলে, তুই দেখি আমার মান-সন্মান এ আঘাত করবি! আরে ব্যাটা এরা আমার কাছ থেকে বিল নিবে কোনদিন, আরে ব্যাটা আমার একটা প্রেস্টিজ আছে না! আমি কি তুই জানোস না!! আমি আর কিছু বললাম না, কারন ওরা এখন সম্পূর্ণ বিবেকশূন্য। কোনো নীতি কথায় এদের কাজ হবে না। যাই হোক, বাসায় ফিরার জন্য রিকশা ঠিক করতেছি, সাথে দোস্তও আছে আমি রিকশায় উঠলে সে বিদায় নিবে। এক রিকশাওয়ালাকে জিগ্যেস করলাম ভাই অমুক জায়গায় যাবেন? রিকশা ড্রাইবার বললো যাব চল্লিশ টাকা লাগবে। আমি কিছু বলার আগেই দোস্ত রিকশা ড্রাইবারকে হঠাৎ ঠাশ করে এক থাপ্পর দিয়ে বসলো, বললো ঐ ব্যাটা এখান থেকে এখানে চল্লিশ টাকা ভাড়া?! আমি তো হতভম্ব... বললাম, দোস্ত সে ভাড়া বেশি চাইতেই পারে, আমি তো দরাদরি করিনি এখনো, তুই হঠাৎ বেচারাকে এত জোরে মারতে গেলি কেন? তুই ক্ষমা চা ওনার কাছে, বয়স্ক একটা মানুষকে এভাবে মারতে গেলি কেন? দোস্ত বললো, পাগলের মত কথা বলিস না তো, এসব রিকশাওয়ালা গুলোকে কখনোই পশ্রয় দিবি না, মাথায় উঠে বসে। হুঁহ.. আমি কারে কি বলি! আসলেই এরা কি কখনো মানুষ হবে না? কোনো কোনো বিবেকবোধই এদের ভিতর কাজ করেনা। দেশটাকে আজ তারা দূর্গন্ধময় ডাস্টবিনে রূপান্তরিত করছে। এদের বাঁধা দেয়ার মত ক্ষমতাও আজ নেই সাধারণ মানুষগুলোর। সাধারণ মানুষের ক্ষমতা নেই এদের বিরুদ্ধে টু শব্দটি করার। সরকার এদের, প্রশাসনও এদের কথায় উঠবস করে, দেশটাকে এরা এদের একচ্ছত্র রাজত্ব বানিয়ে রাখছে! এরা যা চাইবে তাই হবে। সাধারণের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা নেই এখানে। কারন এরা যে সরকার দলীয় নেতা! দেশে যে সরকারই আসুক না কেন, প্রত্যেক সরকারেই এসব নেতা বিদ্যমান। পরিবর্তন শুধু, ছাগুলীগ, হাম্বালীগ ইত্যাদি থেকে ছাগুদল, হাম্বাদল ইত্যাদি...। আমরা কি এর বৃত্তের ভিতর থেকে বের হতে পারবো না??!!
সমসাময়িক এলাকাভিত্তিক রাজনীতি ও টুকরো কিছু কথা।
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???
কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???
আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন