এইচ এস সি পরীক্ষার আগে মাথায় ব্রিলিয়ান্ট সব আইডিয়া এসে ভীড় করতে লাগলো। যেমন: বাসা থেকে পরীক্ষার ঠিক আগে পালিয়ে যাওয়া যায় কিনা, কবিতা লিখে জীবন পার করে দিতে পারবো কিনা, "আমি তো মেয়ে, আমার পড়াশুনা করার দরকার কি?" বললে ফেমিনিস্টরা আমাকে মেরে ফেলবে কিনা ইটিসি ইটিসি। এসব আকাশ ছোঁয়া আইডিয়ার মধ্যে একদিন এরকম একটা ব্যাপার ভেবে ফেললাম, যেটা বাস্তবায়ীত করতে হলে মরতে হবে না - আমি ঠিক করলাম, একটা গল্প লিখবো!
আমার আশেপাশের অনেকগুলো মানুষকে মিশিয়ে এক একটা চরিত্র বানিয়েছি। দশজনের কাছ থেকে এক টুকরো করে নিয়ে, তারপর সেটাতে কিছু মশলা মাখিয়েছি। তাই গল্পের মাঝে রিয়েলিটির ক্লু খুঁজতে গেলে নিরাশ হবেন। ভালো লাগলে অবশ্যই জানাবেন, খারাপ লাগলেও জানাতে দ্বিধা করবেন না। আমি গল্পকার নই, কিন্তু চেষ্টা করতে অসুবিধা কি?
যখন আইডিয়াটা মাথায় এসেছিলো, তখন ভেবেছিলাম সতেরোকে নিয়ে বেশি মানুষ মাথা ঘামায় না। ষোড়শীদের নিয়ে হাজার কবিতা আর আঠারোকে কেন্দ্র করে এ্যাডাল্টহুড। ভেবেছিলাম এ দুটোর মাঝে পড়ে বেচারার অবস্হা খারাপ, কিন্তু তারপর সব কিছুতে আমি শুধু সতেরোই দেখছি! কিন্তু উপায় নেই - ষোলোর নিচে ম্যাচুরিটি খুব কম থাকে, আর বাঙালিরা কুড়িতেই বুড়ি। উনিশ বছরে এখনও পা দেই নি, তাই বুঝতে পারছি না সেটা কি রকম। তাই সতেরোই সই!
যদিও আমি সতেরো ছেড়েছি প্রায় সাত মাস আগে, এখনও মনে হয় সতেরো বছর বয়সটা আমার জন্য বিরাট ছিলো। কারন সে সময় আমার আশেপাশের মানুষগুলো একটু একটু করে বদলে গিয়েছিলো, তাতে আমিও একটু একটু করে বদলেছি, আর এ পরিবর্তনটার পুরোটা সময় ব্লগে, খাতায়, এখানে সেখানে লিখে যাওয়ার জন্য আমি বুঝতে পেরেছি ঠিক কতটুকু বদলেছি। তাই আমার মনে হয় সতেরো মোটেই মাঝামাঝির বয়স না। এটা খুব জরুরি একটা বয়স - এটাতে পা না দিলে আঠারো হওয়াই যায় না!
আর একটা ব্যাপার হলো, আমাদের বয়সীরা এ বয়স নিয়ে লেখে না; যারা লেখেন, তারা এ বয়স ছেড়ে গেছেন বহুদিন হলো! তাই আমি আমার বয়সী বাঙালি প্রবাসীদের মধ্যে যা দেখছি, তা একটু খানি হলেও তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
আমার এখন এইচ এস সি শেষ! তাই লেখার অজস্র কারনের মধ্যে একটা কারন হলো - নিজের ভালো লাগা। কেউ যদি পছন্দ না করেন, লেখা অবশ্যই থামাবো না, কিন্তু হয়তো পরবর্তী পর্বে কিছু বদলে নেবার চেষ্টা করবো। আর দয়া করে বানান ভুল ধরিয়ে দিন!
বি.দ্র.: নেগেটিভ ওয়ান দেওয়ার কারন হলো আমি এই 'সূচনা' লেখার কথা চিন্তা অনেক পরে করেছি। পর্ব এক ভাবার পর মনে হলো, এর আগে কিছু আসা দরকার, তাই পর্ব শুন্য এলো। তারপর মনে হলো, এরও আগে কিছু জানানো উচিৎ!
আলোচিত ব্লগ
হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।
ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন
বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...
বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।