আমরা এখন আর ছোট নেই, তবুও মার উসিলায় সব কিছু একসাথে করা হয়। প্রতি ছুটিতে একসাথে এখানে সেখানে যাওয়া, রাতের খাবার একসাথে খেয়ে টেবিলে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করা, সপ্তাহে একবার এক সাথে বসে সমস্যা সমাধান করা - সব কিছুর পেছনে মার ভুমিকাই সবচেয়ে বেশি। ছুটির দিনে সকালের নাস্তা একসাথে খাওয়া আবশ্যক, এমন কি, ছুটির দিন ছাড়াও যতটা সম্ভব সেটা করার চেষ্টা করা হয়। তাই পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও সকাল আটটার আগে ঘুম থেকে উঠতে হয়, একসাথে নাস্তা খাওয়ার জন্য। আজকে হয়ত অন্য সবারই একটু তাড়া ছিলো, তাই একসাথে খাওয়া হয় নি। ঘুম থেকে উঠে দেখি পৌনে দশটা বাজে! (আমাদের পরিবারের সকাল যেহেতু অনেক আগে শুরু হয়, সেহেতু পৌনে দশটা মানে প্রায় দুপুর। নাই-কাজ-তাই-খই-ভাজ টাইপের হওয়া অনেক সুবিধা - মাঝে মাঝে প্রায়-দুপুর পর্যন্ত ঘুমানো যায়!)
আজকে আকাশটা হলদেটে মেঘলা। মন ভালো করিয়ে দেওয়ার মতো ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস বইছে। ঘুম ঘুম চোখে গান শুনতে শুনতে লিখছি। কাজটা করতে যে এতো মজা কে জানতো?
আপাতত, আমার দুইজন গায়ককে অসম্ভব ভালো লাগছে - দাউদ ওয়ার্নসবি ও অঞ্জন দত্ত। এ দু'জনের গান আমি কিছুদিন পর পর শোনা বন্ধ করে দেই, কারন বেশি শুনলে তিতা হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। দাউদ ওয়ার্নসবি কে মানুষ হিসেবে আমি খুব পছন্দ করা শুরু করে ফেলেছি। আমার ওনার জীবনযাপনের পদ্ধতি খুবই ভালো লেগেছে। তাই সম্মানের ক্ষেত্রে উনি আমার লিস্টে আপাতত তিন নাম্বারে আছেন। আরও কয়েকটা দাউদ ওয়ার্নসবি জন্ম নেয় না কেন?
অঞ্জন দত্তের 'অসময়' শুনছি। যদিও আমার জীবনে এখনও সে সময় আসে নি, যখন 'বৃষ্টি নামবে বলে বেড়ে যাবে তাড়াহুড়ো', তবুও ভালো লাগছে শুনতে। অঞ্জন ও দাউদ দুজনই খুব স্পেসিফিক ইমেজারি নিয়ে গায়, তাই চোখ বন্ধ না করলেও গানগুলো অনুভব করা যায়। আর ওরা দুজনই বেশির ভাগ গানই শুধু গিটার দিয়ে গেয়েছে, তাই বোঝাই যায় যে গলার খুঁত ঢাকার কোন চেষ্টাই করা হয় না, কারন ওদের গানের গলায় কোনও খুঁতই নেই!
সেই মন প্রান খুলে গল্প করার দিন শেষ,
শুধু তাড়াহুড়ো করে যদি কিছু কথা বলে ফেলা যায়!
সময় যা ছিলো হাতে সবটাই নিঃশেষ;
পড়ে আছে শুধু অজস্র অসময়।
তাই হলদে পাখিরা এই শহরে আর ফিরে আসে না,
শুধু বেড়ে চলে ডিজেলের ধোঁয়া - রাস্তায়,
সেই ল্যাংটা ছেলের দল ফুটপাত ঘিরে আর হাসে না,
বেড়ে গেছে রাতারাতি বয়স অসময়।
তাই বৃষ্টি নামলে পরে মন আর জুড়িয়ে যায় না;
শুধু চাপচাপ কাদা, প্যাচপ্যাচে সংশয়,
কারও মুখে আর কোন মিষ্টি হাসি মানায় না,
তেতো হয়ে গেছে সব হঠাৎ অসময়।
তাই কোনদিন যদি একা একা একা জানলার পাশে
কোন খয়েরী বিকেল বেলা কান্না বেড়ে যায়,
নিয়ে কথার ছলে শ্যাওলা ভেজা গানটা আমার -
ফিরে আসবো তোমার কাছে হঠাৎ অসময়।
আজ বৃষ্টি নামবে বলে বেড়ে গেছে তাড়াহুড়ো সকলের,
ভাসবে না নীল কাগজের নৌকো নালায়,
আজ তাড়াহুড়ো করে গিয়ে ঘরের দরজাটা বন্ধ,
ভেসে যাবে শরীর আবার অসময়।
তাই স্যাঁতস্যাঁতে সকলের ঘরদোড়, চৌকাঠ,
রোদের রঙ শুধু বদলায় আকাশের গায়ে,
মনের ভেতর সব হয়ে গেছে অকারন ফ্যাকাশে,
বিস্বাদে ভরা ছবি এঁকে যায় অসময়!
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।