কালকের দিনটা ভীষণ সুন্দর গেলো!
কালকে আমাদের বাসার ওপরের আকাশটা ছিলো হালকা নীল। আমি আর আপুনি ট্রেনে চড়ে মার্টিন প্লেসে গিয়ে দেখি ওখানেও আকাশটা হালকা নীল! সেখানে এক ফোটা মেঘ ছিলো না, কিন্তু অনেকগুলো পাখি উড়ছিলো। উঁচু বিল্ডিংগুলোর জানালায় সূর্য্যটা নিজেকে মেখে ফেলছিলো, আর মানুষগুলো খুব ব্যস্ত হয়ে হাটছিলো। একটা বুড়ো মহিলা বাসস্টপে বসে বসে আস্তে আস্তে ফোনে কথা বলছিলো। চ্যানেল স্যাভেন এর স্টুডিওর আশেপাশে বেকার ছেলেমেয়েরা হাটাহাটি করছিলো আর কাঁচের জানালায় মুখ রেখে ভেতরের কর্মকান্ড দেখছিলো। ভেতর থেকে ক্রিস বাথ হাসিমুখে হাত নাড়ছিলো।
তারপর আমরা খুব মুগ্ধ হয়ে হাঁটতে হাঁটতে আর্ট গ্যালারিতে গেলাম। যাওয়ার পথে আপুনি বললো ওর জন্য ড্যানডিলায়ন তুলতে। ড্যানডিলায়ন হচ্ছে হলুদ ঘাসফুলগুলো, যেগুলো দেখতে খুব সুন্দর, কিন্তু যেখানে সেখানে জন্ম নেয়। আমি সাতটা ফুল ছিঁড়ে আর্ট গ্যালারিতে ঢুকলাম। বিশাল বিশাল ক্যানভাসে তিন-চার বছর ধরে করা ছবিগুলো দেখতে দেখতে ফুলগুলো মরে গেলো, খেয়ালই করলাম না! বের হয়ে আমার খুব একটা খারাপ লাগছিলো না, কারন ফুলগুলোর ছবি আগেই তুলে রেখেছিলাম! আর এগুলো প্রায় ডিসপোসেবল, সবখানেই ফ্রি পাওয়া যায়।
তারপর আরোও অনেকক্ষন হাঁটতে হাঁটতে, এখানে সেখানে প্রশ্ন করতে করতে ও সাইনবোর্ড পড়তে পড়তে বোটানিক্যাল গার্ডেনে এসে পৌঁছালাম। এখানে আগে বেশ কয়েকবার আসা হয়েছে, কিন্তু ভালো লাগেনি। কিন্তু সিডনির বোটানিক্যাল গার্ডেনটা বিশাল বড়, আর আপুনি আমাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেলো যেখানে আগে কখনও যাই নি। বিরাট সবুজ মাঠ, চারপাশে গাছ, গাছের নিচে শীতল ছায়া, সামনে গাড় নীল রঙের পানি, ওপরে হালকা নীল রঙের আকাশ (ওখানেও!)। আমাদের পাশের গাছের নিচে একজন গান শুনতে শুনতে মাথা নাড়াচ্ছিলো। একটু দূরে লাল জামা পরা একটা মেয়ে ঘুমিয়ে ছিলো। বুড়ো লোকগুলো বিরাট বিরাট ক্যামেরা নিয়ে পাখির ছবি তুলছিলো আর বুড়িগুলো আশেপাশের সবাইকে খুব ভালোভাবে দেখে নিচ্ছিলো। লান্ঞ্চটাইমের দিকে অফিসের পোষাক পরা রাশভারী লোকগুলো এসে উদাস চোখে পানি দেখছিলো, বা আকাশ দেখছিলো, আর আরাম করে খাচ্ছিলো। পুরো ব্যাপারটার মধ্যে কেমন যেন ধীর স্থিরতার ছাপ। শহরের হাজার ব্যস্ততার মধ্যে এমন জায়গাগুলোই একা মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে!
আমরাও চোখ বন্ধ করে শুয়ে ছিলাম অনেকক্ষন। বিকেলের রোদ এসে গাছগুলোকে সবুজ থেকে সোনালী বানিয়ে ফেললো। আমি ভাবছিলাম, অর্নব রোদকে রুপালি বললো কেন? যে বস্তু যাকে ধরে তাকেই সোনার মত রুপ দেয়, সে সোনার চেয়ে আরও অনেক দামি। তারপর গাছের পাতার মাঝখানে মাঝখানে একটু একটু আলো এসে ঝিলিক দিচ্ছিলো, আর আমার মনে হচ্ছিলো, পৃথিবীটা আসলেই অনেক রঙিন!
আলোচিত ব্লগ
তোমাকে লিখলাম প্রিয়
আবার ফিরে আসি তোমাতে
আমার প্রকৃতি তুমি,
যার ভাঁজে আমার বসবাস,
প্রতিটি খাঁজে আমার নিশ্বাস,
আমার কবিতা তুমি,
যাকে বারবার পড়ি,
বারবার লিখি,
বারবার সাজাই নতুন ছন্দে,
অমিল গদ্যে, হাজার... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ
গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।
... ...বাকিটুকু পড়ুন