এই পর্ব থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ঠিক আগমুহুর্তে পাকিস্তানের অসহায় অবস্থা এবং প্রধানতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের পিছুটানের ব্যাপারটি পরিস্কার হতে শুরু করবে ।
(পূর্বে প্রকাশের পর)
স্বাধীনতা যুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাসের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষন করলে দেখা যায় ১৯৭১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি পাল্টে যেতে থাকে। মুক্তিবাহিনীর ক্রমাগত চোরাগোপ্তা ও গেরিলা হামলার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ফ্রণ্টে সংঘটিত আকারে যুদ্ধ শুরু হয়। দিশেহারা পাক বাহিনী তাদের অত্যাচার ও নির্যাতনের মাত্রা বাড়ালেও বেশ কয়েকটি স্থান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সক্রিয় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা তৈরী হয় এবং শেষ পর্যন্ত ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে ভারত মুক্তিবাহিনীর সাথে মিলে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।
এই সময়কালে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিম পাকিস্তানের তথা ইয়াহিয়ার পক্ষে ব্যাপক তত্পরতা লক্ষ্য করা যায় যার কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরী কিসিন্জার। এই সময়ে নিক্সন প্রশাসন ভারতের উপর ব্যাপক কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার জন্য। ভারত তখনকার অন্যতম প্রধান পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের সরাসরি সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের সেই চাপ অগ্রাহ্য করতে সক্ষম হয়। তবে ভারত কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি বিরুদ্ধাচারণ করে নাই। আমি এখানে ১৯৭১ এর নভেম্বর-ডিসেম্বরে দৃষ্টির আড়ালে ঘটে যাওয়া কিছু ঐতিহাসিক ঘটনার লিংক দিচ্ছি, আগ্রহী পাঠককে অনুরোধ করছি মুল লিংকে যেয়ে অনেক অজানা তথ্যকে জানার জন্য।
১৫। ৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ : গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে মার্কিন উপলদ্ধি মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় সুনিশ্চিত । নিক্সন প্রশাসনের পশ্চিম পাকিস্তানকে রক্ষার দিকে গুরুত্বারোপ
১৬ । ডিসেম্বর ১১ ১৯৭১ : পাকিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভূট্টো, রাষ্ট্রদুত মোহাম্মদ রাজা এবং কিসিন্জারের মধ্যে কথোপকথন । ভূট্টো কর্তৃক মার্কিন প্রশাসনকে প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে রাজী করতে জোর প্রচেষ্টা
১৭। ১২ ডিসেম্বর ১৯৭১ : মার্কিন মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অবস্থান জানতে চেয়ে পাকস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে টেলিগ্রাম
তথ্যসূত্র :
Foreign Relations, 1969-1976, Documents on South Asia, 1969-1972
Released by the Office of the Historian

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


