আমি কারো মুরিদ না। আমি আহলে হাদীস নেতা মতিউর রহমান এবং চরমোনাই দুই জনের কথা শুনেছি। যাকে আমার দৃষ্টিতে ভাল মনে হয়েছে তাঁর পক্ষ নিয়েছি।
মতির আলোচনা অনেক শুনেছি, তাতে যে বিষয়ের উপর আলোচনা শুনব বলে বসেছি সে বিষয়ের চেয়ে মানুষের নিন্দা বেশি থাকে।
যা আমি একদম পছন্দ করিনা। বাংলাদেশের এই আলেম কি করছে ঐ আলেম কি করছে এটাই তাঁর আলোচনার বিষয়। শুনতে চাই সহীহ মাসয়ালা মাসায়েল। কে কি করছে সেটা শুনতে চাইনা।
তাই এখন তার মুখটা দেখলেও মনে এই বুঝি কাউকে তিরস্কার করতেছে।সে মানুষকে তিরস্কার করার কে? তিরস্কার তো আল্লাহ করবে তার হুকুম আহকাম ঠিকমত না মানলে। মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে সঠিক আমল কিভাবে করবে সেটা মানুষের কাছে পৌছে দেয়া। কবরে যেন বদ আমল নিয়া যেতে না হয়।
.
আর চরমোনাইর ওয়াজ আগে কিছু শুনেছিলাম, যখন তেমন কোন আমল করতামনা। তার পরও মনে কবরের আযাবের ভয়
কিছুটা কাজ করত।আর এখন আমি তাঁর অনেক বয়ান শুনতেছি।আর যতই শুনছি ততই ফেলে আসা দিন গুলোর জন্য আফসোস হচ্ছে।শুধু মনে হচ্ছে অনেক কিছু করেছি দুনিয়ার জন্য কবরের জন্য কিছুই করি নাই। কবরে যেতে হবে মাস্ট এটা এখন বুঝে গেছি।আর খালি হাতে কবরে যাওয়া যাবেনা সেটাও বুঝে গেছি।যার মুখে কোরআন হাদিসের কথা শুনে আমি এখন নামায কাযা করতে ভয় পাই,পরপুরুষের সামনে যেতে ভয় পাই,অন্যের নিন্দা করতে ভয় পাই।সবশেষে যত ধরনের পাপ আছে সেগুলা করতে সাহস পাইনা। কারন মৃত্যু এবং মৃত্যুর পরের জীবন সমপর্কে আমার অন্তরে ভয় এসে গেছে। যার কথা শুনে আমার এই পরিবর্তন আপনাদের
মতে সে যদি শয়তান হয় তাহলে ভাল মানুষ কে? পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গীবতকার ঐ মতি আর তার সাগরেদরা।
.
ইমপসিবল..... চরমোনাই যদি শয়তান হয় এমন শয়তানের সাথে থাকলে বরং আললাহ খুশিই হবে।আল্লাহর দরকার তাঁর রাজি খুশির জন্য বান্দার বেশি বেশি আমল।এই উৎসাহ কোথা থেকে পাচ্ছে এটা আল্লাহ দেখবেন...... আর আপনাকে আমি কি বুঝাব? আল্লাহ যাকে বুঝ দিবেন সেই একমাত্র পাবন সঠিক পথের সন্ধান।তবে আমার একটা অনুরোধ মানুষকে তিরস্কার করা, গালাগালি করা বাদ দেন আর খাটি মুমিন মোসলমানের কাতারে নাম লেখান।কারণ, একজন মোমিন ব্যাক্তি অনেক বেশি বিনয়ী হয়।
কোন প্রকার ঘাপলা থাকা যাবেনা।কারণ দুধের মধ্যে এক ফোটা প্রশ্রাবই নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।