আজকাল ফেসবুক এর জনপ্রিয়তা সারা বিশ্ব জুড়ে। বাংলাদেশ ও এর বাইরে নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর মধ্যে ফেসবুক শীর্ষে। হবে না ই বা কেন!!!! স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, অফিস, এলাকার বন্ধু, ভাই বোন আত্মীয় স্বজন সবার সাথে যোগাযোগের একটা অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক। ফেসবুক আর অনলাইন ভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো যে কতটা শক্তিশালী হতে পারে তার উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে- শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর। দেশের বর্তমান পরিস্থিতে জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যাপারে মানুষের মতামত যাচাইয়ের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম এখন ফেসবুক। তরুণ প্রজন্মের কাছে ফেসবুক তো যেন নিত্য সঙ্গী। হাসি, কান্না, আনন্দ,বেদনা, সুখ,দুঃখ সব কিছু যেন জড়িয়ে আছে ফেসবুকের সাথে।
বর্তমান সময়ে ফেসবুকের ব্যবহার শুধু মানুষের আবেগ ভালোবাসার সাথেই জড়িয়ে নেয়। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রছারেও ফেসবুক দখল করেছে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। প্রচারেই যখন প্রসার তখন ফেসবুকের ব্যাপারটি অত্যন্ত স্বাভাবিক।কাজেই নতুন পণ্য, নতুন অফার, নতুন চমক ইত্যাদি সব খবর তাই পেপার পত্রিকার চেয়ে আগে ফেসবুকেই পাওয়া যায়। একটা উদাহরণ দিলে আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে হয়ত। কিছুদিন আগে ক্লোজআপ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এ ঢুকলাম এক ফ্রেন্ড এর রিকুয়েস্ট এ। ঢুকেই তো চোখ ছানা বড়া!!!! দেখি পেজ এ মোট লাইক ৫৬,২৭১!!! এখন তো আরও বেড়েছে হয়ত। বিশ্বাস না হলে দেখে আসতে পারেন এই লিঙ্কে https://www.facebook.com/CloseUpBangladesh। আগে ধারণা ছিল শুধু হয়ত কোন পণ্যের বিজ্ঞাপনে ফেসবুক এগিয়ে, এখন তো দেখি সবকিছুতেই ফেসবুক এগিয়ে!!!!! জয় ফেসবুকের!!! জয় জুকারবার্গের!!
যাই হোক, মুদ্রার যেমন ২ পিঠ, ফেসবুকের ভালো দিকগুলর পাশাপাশি খারাপ দিকটাও রয়েছে। নানা মতের মানুষের মাঝে এটাও অবশ্য খুব অস্বাভাবিক নয়। তারপরও আমাদের সবার ই উচিত ভালোটাকে বেছে নেয়া। খারাপ-ভালো, মানুষ তার নিজের বুদ্ধি বিবেচনা দিয়েই যাচাই করে নিবে। সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে আমার এটাই চাওয়া যেন ফেসবুক হয় আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ফেসবুক যে কতটা জনপ্রিয় তার সত্যতা পেলাম নিচের এই ছবি দেখলে আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। বাংলাদেশের শীর্ষ ৫০০ ওয়েবসাইটের মধ্যে ফেসবুক আছে শীর্ষে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬