অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম একটা আবজাব পোস্ট দেবো, আজকে মাসের পয়লা তারিখেই সুযোগ হয়ে গেলো। ঈদ আর পুজোর টাইমে এরকম পোস্ট অনেকদিন ধরেই আসছে (বিশেষ করে মাছাক্কালি পোস্টগুলো তো ঝাক্কাস!), তাও ভাবলাম দিয়া ফালাই, কি আছে জীবনে! (উদাস হওয়ার ইমো)
দুনিয়ায় খাওয়া যায় এমন অনেক জিনিস আছে, আবার খাওয়া যায় না এমন জিনিসও ম্যালা আছে (তাই নাকি? আমি তো জানতাম মানুষ সর্বভুক প্রাণী!)। তো শাড়ি হচ্ছে এমন একটা জিনিস যেটা খাওয়া যায় না কিন্তু তবু দেখলেই একটা ‘খাবো খাবো’ ভাব হয়, বিশেষ করে যদি সেটা দেখতে সুন্দর হয় তাহলে তো আর কথাই নেই! হাজার হলেও বাঙালির ঘরের মেয়ে, শাড়ি খাবো নাতো খাবো কি! আর আমার কি দোষ, স্বয়ং মান্না দে যেখানে বলে গেছেন
এবার ম’লে সুতো হবো
তাঁতীর ঘরে জন্ম লবো
পাঁচ হাতের ঐ শাড়ি হয়ে দুলবো তোমার কোমরে
তোমরা যে যা বলো আমারে!
১.
বৌদের আজকাল বিয়ের প্রোগ্রামে লাল-রুপালি শিফন/জর্জেট পরাটা একেবারে কমন হয়ে গেছে, দেখতে আর ভালো লাগে না, তবু এই শাড়িটা ভালো লেগে গেলো।
২.
এই শাড়িটার মেঝে খুব সিম্পল হলেও অনেক চওড়া স্ট্রাইপড পাড় আছে, লম্বা মেয়েদেরকে পরলে খুব মানানোর কথা। (হে অবিবাহিত ভাই-বেরাদরগণ, খাটোদের জন্য চিকন পাড় আর লম্বাদের জন্য চওড়া পাড়, মনে থাকবে তো?)
৩.
আহা দক্ষিণ ভারতীয় কাঞ্চিপুরম শাড়ি, সে কি কোনওদিনও আমার হবে না?
আচ্ছা এই শাড়িটার দাম নাকি ভারতীয় টাকায় (রুপিতে) ১৩,১১৩ টাকা, মানে ২৭৯ ডলার! (এই দুঃখ রাখি কোথায়!)
৪.
ব্ল্যাক শাড়িজ আর অলওয়েজ ওয়েলকাম!
৫.
শারাপোভা দেবী... ও থুক্কু থুক্কু কুর্নিকোভা দেবী (কি বলতে কি বলি!) আকাশনীল শাড়িতে আবির্ভূত হবেন আর মানুষজন পাগল হবে না, তাই কি হয়?
৬.
গোলাপি রংটা কেন জানি ঠিক ভালো লাগে না, কিন্তু এই গোলাপিরই কিছু কিছু শেড আছে যেগুলো চাইলেও ইগনোর করা যায় না।
৭.
নাহয় আমি ছোট্টবাবু, তাই বলে কি আমার শাড়ি পরতে ইচ্ছে করে না!
৮.
এমন সুন্দর শাড়ি পরলে আর গয়নার কি প্রয়োজন?
৯.
এই মেয়ের বাড়িতে একদিন চুরি করতে যেতে হবে, না জানি আরও কত ভালো ভালো শাড়ি লুকিয়ে রেখেছে ঘরে!
১০.
ওরে এইটা কি কাতান নাকি রে? কাতান ব্যাপক ভালা পাই... নেক্সট ঈদে তো তাহলে এই শাড়িটা কিনে দেয়ার জন্য হবু জামাইয়ের কাছে ঘ্যানঘ্যান করতে হয় দেখছি!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:১০