somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল্লাহ ও জাহান্নাম সত্য হলে মুসলিমরাই জাহান্নামে যাবে

১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা যদি তর্কের খাতিরে ধরে নিই যে, পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহ আছেন এবং জাহান্নামেরও অস্তিত্ব আছে। এটা যদি হয়, তাহলে মুসলিমরা জাহান্নামে যাবে। এখানে আমি তার কারণগুলো ব্যাখ্যা করব।

ইসলাম ধর্ম মতে, আল্লাহ ইচ্ছা করলে যেকোনো পাপ ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু তিনি কখনো একটি পাপের ক্ষমা করবেন না। আর সেই পাপ টি হল শিরক। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ইবাদত করা বা তার সমতুল্য মনে করা হল শিরক। শিরক করলে আল্লাহ সবচেয়ে বেশি রাগান্বিত হন। প্রশ্ন হল, কেন? আল্লাহ কি খুবই ঈর্ষান্বিত একটি সত্তা? একজন অত্যন্ত কল্যাণময় ও দয়ালু ঈর্ষাপরায়ণ হতে পারেন না। সুতরাং অত্যন্ত ঈর্ষাপরায়ণ হিসেবে তাকে তুলে ধরা মানে, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তার মানহানি করা। স্বাভাবিকভাবে যদি একজন দয়ালু ও সহৃদয় ব্যক্তিকে ঈর্ষান্বিত বলে অভিহিত করা হয়, তবে অবশ্যই তিনি রেগে যাবেন। সহৃদয় ও ক্ষমাশীল হওয়া সত্ত্বেও যারা আল্লাহকে ঈর্ষা পরায়ণ বলেন, তাঁদের প্রতি তিনি রুষ্ট হবেন এবং এর জন্য তিনি এই সমস্ত মানুষদের জাহান্নামে ছুঁড়ে ফেলে সাজা দেবেন।

মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ অবিশ্বাসী, মূর্তিপূজাকারী ও বহুত্ববাদীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করে সাজা দেন। কুরআনের ২২ নং সূরা আল-হজ্জ এর ১৯-২২ নং আয়াতে আছে- “ইহারা দুইটি বিবদমান পক্ষ, তাহারা তাহাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে; যাহারা কুফরী করে তাহাদের জন্য প্রস্তুত করা হইয়াছে আগুনের পোশাক,তাহাদের মাথার উপর ঢালিয়া দেওয়া হইবে ফুটন্ত পানি, যাহা দ্বারা উহাদের উদরে যাহা আছে তাহা এবং উহাদের চর্ম বিগলিত করা হইবে। এবং উহাদের জন্য থাকিবে লৌহমুদ্গর। যখনই উহারা যন্ত্রণাকাতর হইয়া জাহান্নাম হইতে বাহির হইতে চাহিবে তখনই তাহাদেরকে ফিরাইয়া দেওয়া হইবে উহাতে; উহাদেরকে বলা হইবে, “আস্বাদন কর দহন-যন্ত্রণা।” অবশ্যই কোন আল্লাহ এত নিষ্ঠুর হতে পারেন না। সুতরাং কুরআনের এই আয়াতগুলি আল্লাহর কথা নয়, এটি মুহাম্মদের কথা, যিনি চেয়েছিলেন যাতে সকলে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তাঁকে বিশ্বাস করতে বাধ্য হন এবং তাঁর উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়। এখন, এরপরেও যদি মানুষ দাবি করেন যে আল্লাহ উপরোক্ত আয়াতগুলি রচনা করেছেন, তবে আল্লাহ্‌ তাদের প্রতি অত্যন্ত রুষ্ট হবেন এবং বলবেন যে, “তুমি বিশ্বাস কর যে, আমি এতটাই নিষ্ঠুর, নির্দয় ও স্বৈরাচারী, যে আমি সামান্য কারণেই ঈর্ষান্বিত হয়ে মানুষকে জাহান্নামে ছুঁড়ে ফেল দেব? তুমি আমাকে নিষ্ঠুর, নির্দয় ও খুনি বলেছ। তুমি এর জন্য অবশ্যই শাস্তি পাবে।“

কুরআনে অনেক সন্ত্রাসবাদী আয়াত আছে। যেমন ৮ নম্বর সূরা আল-আনফাল এর ২ নাম্বার আয়াতে আছে- “যাহারা কুফরী করে আমি তাহাদের হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার করিব; সুতরাং তোমরা আঘাত কর তাহাদের স্কন্ধে ও আঘাত কর তাহাদের প্রত্যেক আঙ্গুলের অগ্রভাগে।” স্বাভাবিকভাবেই কোন আল্লাহ্‌ সন্ত্রাসবাদী হতে পারেন না। কিন্তু এখানে মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ্‌ একজন সন্ত্রাসবাদী এবং তিনি অবিশ্বাসীদের এরকম নির্মমভাবে ভীত- সন্ত্রস্ত করবেন। যে কোন দয়ালু ও করুণাময় আল্লাহও যদি দেখেন যে কেউ তাঁকে এইসব দোষে দুষ্ট করছে, তবে তিনি অবশ্যই তাদের শান্তি দেবেন।

ধরুন মৃত্যুর পরে এক অবিশ্বাসীর সাথে আল্লাহর দেখা হল। আল্লাহ কি তাকে শাস্তি দিবেন? মোটেই না। বরং আল্লাহ তার প্রশংসা করবেন এবং বলবেন,” তুমি প্রমাণ ছাড়া কোন কিছুতে বিশ্বাস করনি, তুমি তোমার বুদ্ধির ব্যবহার করেছ এবং নিজের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছ। তুমি নিজের বুদ্ধি ব্যবহারের জন্য ও “আমি ঈর্ষাপরায়ণ”- এরকম মিথ্যা বিশ্বাসের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য পুরস্কৃত হবে। আমি, সর্বশক্তিমান আল্লাহ, আমি সকল মানুষকে যুক্তিপূর্ণভাবে, স্বাধীনভাবে চিন্তা করার এবং নিজ নিজ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য মস্তিষ্ক দিয়েছি। যারা আমাকে বিবেকহীন ও নিষ্ঠুর প্রতিপন্ন করেছে এবং কেবল জাহান্নামে যাওয়ার এই মিথ্যা কুরআনের দাবিগুলোকে মেনে চলেছে, তাদের আমি শাস্তি দেব”।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৯
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×