পাখিদের মত
একদিন উড়বার সাধ আমার মিটে যাবে
মাটির ধূলিতে আমার যতটুকু ছুঁয়ে যাবে পা
তারচেয়ে বেশী ছুঁয়ে যাবে
আমার বুক, ঠোঁট, নাসিকার ঘ্রাণ।
আমার সাধ নেই তবু আমি উড়ে যাবো ধূসর আকাশে
পাখিদের মতো করে, পাখি হয়ে,
পাখিদের মতো...।
সবাই যায়, যার যেতে হবে সেতো যাবেই
মর্মর পাথরের স্মৃতিফলক
কিংবা প্রার্থনালয়ের সুউচ্চ মিনার
আমাকে ছায়া দেবে সে আশা নেই।
সারি সারি বৃক্ষের পথ ধরে
সবুজ ঘাস কিংবা ধূলির আস্তরণ পায়ে মেখে
আমি সোজাসুজি হেঁটে যাব;
একটি দোয়েল তড়িৎ অথচ নির্ভার চলে যাবে
গুল্মের আড়ালে,
সন্ধ্যে নেমে আসবে পাশের জলাশয়ে
একটি মাছরাঙা তখনও ধ্যানমগ্ন ঋষির মতো
বসে থাকবে জলের দিকে মুখ রেখে খাবারের আশায়।
আমি আশা কিংবা উদ্বেগহীন মৃদু বাতাসে
বৃক্ষের পাতা ঝরা দেখে যাবো।
আমার উপরে ঝরে পরবে পাতা, লতানো গাছের ফুলের পাপড়ি,
ফাগুনের ঝিঝিপোঁকার গান শুনাবে নিঝুম বনানী।
চোখের তারায় ভেসে বেড়াবে স্বপ্ন, স্মৃতি, শৈশব, কৈশোর
আমার উড়বার সাধ নেই
তবু আমি উড়ে যাবো, পাখি হয়ে,
পাখিদের মতো...।
৪ঠা মার্চ ২০২২
যুক্তরাজ্য।