একটি ইঁদুরের জীবনের সাথে মানুষের মিল দেখুন৷ জন্ম, খাদ্যগ্রহণ, পরিপাক, বেড়ে উঠা, সেক্স, সন্তান জন্ম, জীবন সংগ্রাম আর মৃত্যু একই রকম কেন? ইঁদুরটি মৃত্যুর পরে কোথায় যাবে? জীবন চলে কোষের সম্মিলিত শক্তিতে৷ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কোষের কাজ বন্ধ মানেই মৃত্যু৷ সেটা মানুষেরও৷ বিজ্ঞান বলছে প্রাণি দেহে আলাদা আত্মার দরকার নেই৷ আত্মা প্রেতাত্মার প্রমাণ করা বিজ্ঞানের কাজ নয়৷ থাকলে সেটা কিভাবে কাজ করে, আসে-যায় তা প্রমাণ করতো বিজ্ঞান৷ ইঁদুরও প্রকৃতির সাথেই মিশে যাবে৷ তার শরীরে রয়েছে কোটি কোটি কোষ৷ পৃথিবীতে থাকা বিভিন্ন অনু-পরমাণু দিয়েই কোষগুলো গঠিত৷ জৈবঅণুগুলো সাধারণত গ্রহণ করে কোন না কোন প্রাণি৷ শরীরে প্রায় তিন চতুর্থাংশই পানি থাকে৷ পানিটুকু বের করে নিলেও মানুষ মারা যাবে, ইঁদুরও মারা যাবে৷ যদি কোন প্রাণি বা জীবাণু আক্রমণ নাও করে তবুও তাপে পানি বের হয়ে শুকিয়ে যাবে শরীর৷ দীর্ঘদিনে অন্য উপাদানগুলোও মাটির সাথে মিশে যাবে৷ তবে জীবাণু আক্রমণ করবেই৷ এজন্যই শরীরে পঁচন ধরে বলে মনে হয়৷ বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মে জন্মান্তর ঘটে৷ মানে হল মৃত্যুর পরে আত্মা অন্য কোন দেহে (গর্ভকালীন) প্রবেশ করে প্রাণ সঞ্চার করে৷ অথচ বিজ্ঞান জানে কিভাবে শুক্রাণু ডিম্বাণুতে প্রবেশ করলে জাইগোট গঠিত হয়, গর্ভে কিভাবে সন্তান খাদ্য গ্রহণ করে, কিভাবে ভূমিষ্ঠ হয়৷ মৃত্যু কি তাও বিজ্ঞান জানে৷ বিজ্ঞান জানে আত্মা লাগে না জীবনের জন্য৷ পুনজন্মের দরকার পরে না৷ যা নাই বা হয় না, তা প্রমাণ করা লাগে না৷ এটা বিজ্ঞান করতে যাবে না৷
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৮