অনেক স্বপ্ন নিয়ে সুদূর ময়মনসিংহ থেকে দিনাজপুরে এসেছিল ছোট সেই ছেলেটি।ভর্তি হয়েছিল হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সাইন্স অনুষদে । লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এর একজন মেধাবী শিক্ষার্থী সে, বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার শম্ভুগঞ্জ থানার নিলুখিয়ার চর গ্রামে। গ্রীষ্মকালীন ছুটির অপেক্ষার প্রহর শেষ হতেই মনে স্বপ্নের জাল বুনছিল তার পরিবারের কাছে যাওয়ার জন্য। বাহারূল গেল কিন্তু এমন এক অজানা দেশে যেখান থেকে আর কোন দিনই ফিরবে না।গত শুক্রবার টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে মৃত্যুবরণ করে। হয়তোবা কিছুদিন সবাই শোকাভিভুত তারপর সবাই ভুলে যাবে সেই বাহারূলকে আবার অপেক্ষা বাহারূলের মত অন্য আর এক জনের। এভাবেই কি চিরকাল সব প্রতিভা ঝরে যাবে, যেভাবে আমরা হারালাম তারেক মাসুদ এবং মিশুক মুনিরদের মত প্রতিভা। এর কি কোন প্রতিকারই নেই।
একসিডেন্ট রির্সাস সেন্টার অফ বুয়েটের দেয়া তথ্য মতে সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক গড় ১২০০০ জীবন ঝড়ে পরে প্রায় ৩৫০০০ আহত হয়। অন্যদিকে বিশ্ব ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বার্ষিক প্রতি ১০০০০ যানবাহনে ফ্যাটালিটির সংখ্যা ৮৫.৬। সড়কপথে প্রতি ১০০ জন যাএীর মধ্যে ৯৯ জনই তাদের জীবনকে নিরাপদ মনে করেন না।এথেকেই বোঋা যায় বাংলাদেশের সড়ক গুলো এখন মৃত্যুর ফাঁদ। তাহলে আমাদের মুল সমস্যা কোথায় দেশের সড়কগুলোতে, গাড়ির চালকদের দক্ষতা ও মানসিকতায় না যথাযথ ট্রাফিক আইনের ব্যবহারে। আমরা কেনইবা উন্নতদেশগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করছি না। তাদের সিষ্টেমের সাথে আমাদের পার্থক্যটা কোথায়। আমাদের মত হত দরিদ্র্য দেশের এসব সমস্যা হয়তোবা একসাথে সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু ছোট ছোট যে সব সমস্যার কারনে বড় দূর্ঘটনার সৃষ্টি হয় তার অনুসন্ধান আমাদের কাছে কোন গুরূত্বই পায় না। এ কথা কোন ক্ষোভের নয়, একথা এখন তারেক মাসুদ, মিশুক মুনির এবং বাহারূলদের মৃত্যুর প্রত্যক্ষ স্বাক্ষর।হয়তোবা না জানি কাল আমাদের কারো একজনের এই পরিনতি আসবে।