somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জোসনা লোভী

১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শেষ পর্ব
সকাল এগারোটা থানার ঘড়িতে। আ: বাতেন সাহেবের বিরল, আজব আর রোমান্টিক শাস্তির প্রথম পর্ব চলছে। তিনি তিন ঘন্টা থেকে টয়লেটে বসে আছেন। আশফাক বলেছিল ওনাকে যেন দুইটা জামাল গোটা গুড়া করে খাওয়ানো হয়। পাঠান সাহেব ওনাকে তিনটা জামাল গোটা খাইয়ে দিয়েছেন। দুইটার সাথে একটা ফ্রী। ওটা খাওয়ানোর দুই মিনিটের মাথায় আ: বাতেন সাহেবের মারাত্মক রকমের পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছে। শাস্তি শুরু হবার প্রথম দিকে দুইবার তিনি টয়লেট থেকে বেরিয়ে ছিলেন। তখন প্রতিবার ওনার একটা করে প্যান্ট নষ্ট হয়েছে। সমস্যাটা জটিল আকার ধারন করেছে এখন। প্রকৃতি তাকে সময় দিচ্ছে না একেবারেই। এজন্যই তিনি টয়লেটেই বাস করছেন গত তিন ঘন্টা থেকে। অবস্থা মারাত্মক। পাঠান সাহেব রাস্তার পাশ থেকে ওনার জন্য ডাব কিনে এনেছেন। সেই ডাবের পানি গ্লাসে করে টয়লেটে পোঁছে দেয়া হয়েছে কিছুক্ষন আগে। তিনি ডাবের পানি একদিক থেকে পান করছেন আর অন্য দিক থেকে তা বের হয়ে যাচ্ছে। অসম্ভব রকমের বাজে শাস্তি এটা। এর চেয়ে রোড ডলা অনেক ভাল ছিল। একটা সাধারণ ছেলের মাথায় এমন একটা অসাধারণ শাস্তির ভাবনা আসতে পারে তা- তিনি কল্পনাই করতে পারেন না। বিশ বছরের পুলিশি চাকরী জীবনে তার মাথায় এমনতর মারাত্মক শাস্তির কথা কোনদিনই আসেনি। তিনি ভাবছেন- এরপর থেকে দাগী আসামীদেরকে রোড ডলা না দিয়ে জামাল গোটা কিনে খাইয়ে দিয়ে টয়লেটে বসিয়ে দেবেন। এর থেকে ভয়ংকর কোন শাস্তি হতে পারে না।
অনেক করেছো তুমি চুরি/ এইবার কমবে তোমার ভুড়ি- সারোয়ার সাহেব নিজের চেয়ারে বসে আনমনে গুন গুন করে ছন্দ আউড়াচ্ছেন আর হাসছেন। তিনি আজ মহা খুশি। শ্লীলতাহানীর মামলার সব কয়টা জানোয়ারকে তিনি ধরতে পেরেছেন। সব কয়টা কালপ্রিটকে একসাথে এক সেলে বন্দি করে সকাল বেলা সুঁই থেরাপি দিয়েছেন নিজের হাতে। থেরাপি যে পরিমান দিয়েছেন তাতে বাকী জীবনে কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস করবে বলে মনে হয় না। প্রত্যেকের চার আঙ্গুলের মাথায় একটি করে দশ নম্বরের সুঁই ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল। ব্যাপারটা যদিও অমানবিক তবুও সারোয়ার সাহেবের খারাপ লাগেনি। জানোয়াদের শাস্তি দিতে ওনার মোটেও খারাপ লাগে না বরং আনন্দ হয়। তিনি চেয়ারে দুলতে দুলতে গুরু গম্ভীর নাদে হাঁকলেন- পাঠান সাহেব......।
- ইয়েস স্যার....। পাঠান সাহেব কাছেই কোথাও ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে রুমে ঢুকলেন।
- আ: বাতেন সাহেবের কি অবস্থা এখন?
- ছ্যাড়াব্যাড়া অবস্থা স্যার...। ওনি এখনো টয়লেট থেকে বের হতে পারছেন না। মশা নাকি খুব জালাতন করতাছে ওনাকে। আমি একটা দশ টাকা দামের মশার কয়েল জালিয়ে টয়লেটে পোঁছে দিয়েছি স্যার। ভাল করিনি স্যার...?
- হ্যা, ভাল করেছেন, তবে আরো একটা গোটা বেশি খাওয়ানো উচিত ছিল। এক হালির মিল হতো তবে।
- ভিতরে আসবো জনাব? রুমের বাহিরে দাঁড়িয়ে ভিতরে আসার অনুমতি চাইল আশফাক। তার সাথে তন্দ্রাও কন্ঠ মিলিয়ে লম্বা করে বলল- আসতে পারি স্যাররর...।
- হু, অবশ্যই, আসুন, আসুন। চেয়ার ছেড়ে ওঠে দাড়ালেন সারোয়ার সাহেব।
তন্দ্রা আর আশফাক চেয়ারে বসলো। পাঠান সাহেব ততক্ষনে বের হয়ে গেছেন রুম থেকে। সারোয়ার সাহেব বেল টিপে চায়ের কথা বললেন। সবই তৈরী ছিল সম্ভবত। অল্প সময়ের মধ্যে চা, বিস্কিট চলে এল। থানায় সাধারণ মানুষকে চা খাওয়ানো হয় তা আশফাকের জানা ছিল না। ওসি সাহেবের ব্যবহারে আশফাক মুগ্ধ হলো। ওসি সাহেব আবারো বজ্র কণ্ঠে হাঁক দিলেন- পাঠান সাহেব.......। পাঠান সাহেব দরজার কাছেই ছিলেন, তিনি সাড়া দিলেন ততোধিক সুন্দর করে- ইয়েস স্যাররর.......।
- আ: বাতেন সাহেবকে ডাকুন, বলুন আশফাক সাহেব এসেছেন। পাঠান সাহেব চলে গেলেন। সারোয়ার সাহেব হাসতে হাসতে আশফাকের দিকে তাকিয়ে বললেন- আপনার মাথায় এমন একটা ভয়ানক রকমের রোমান্টিক শাস্তির চিন্তা এলো কি করে?
- হাহাহা, আমি নিজেই একবার জামাল গোটা খেয়ে ছিলাম- অভিজ্ঞতা লওয়ার জন্য। সেদিনের কথা আজও ভুলিনি। আপনি একদিন খেয়ে দেখবেন। মাত্র একটা জামাল গোটা যে, একজন মানুষকে কতটা অসহায় করে ফেলতে পারে তা আপনি নিজে না খেলে ভাবতেও পারবেন না। সেদিনই ভেবেছিলাম কেউ আমার সাথে মারাত্মক রকমের অন্যায় করলে তাকে এ শাস্তি দিব। হাসতে হাসতে বলল আশফাক। তার সাথে তন্দ্রাও হাসতে ছিল।
- স্যার, ওনি টয়লেট থেকে বের হতে পারছেন না। বলল পাঠান সাহেব।
- তুমি ওনাকে তিনটা জামাল গোটা খাইয়েছো, বের হতে পারার কথাও নয়।
- তি..ন..টা..!! বলেন কি! চলুন একবার দেখে আসি ওনার কি অবস্থা। চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে বলল আশফাক।
- হ্যা চলুন তবে।
তিনজন রুম থেকে বের হয়ে থানার স্টাফ টয়লেটের সামনে এসে দাঁড়ালেন। পাঠান সাহেব দুবার ডাকার পর ভেতর থেকে ক্ষীণ কণ্ঠে সাড়া দিলেন আ: বাতেন সাহেব। ওনি কিছুতেই বাইরে আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। টয়লেটের ভিতরে বসে তিনি বিরবির করে আরো যা বললেন, তার মূল কথা হলো যে, তিনি তার বাপের জন্মেও এরকম ভয়ংকর শাস্তি কাউকে দিতে দেখেননি। বেঁচে থাকলে সে জীবনে আর কখনো কোন অবৈধ কাজ করবেন না। ওনাকে যে শাস্তি দেয়া হয়েছে তার থেকে ভাল ছিল- যদি তাকে বাচ্চাদের এক চামিচ গু খাইয়ে দেয়া হতো। মাত্র দুই মিনিটেই শাস্তি শেষ হয়ে যেত। তিনি প্রায় পাঁচ ঘন্টা থেকে টয়লেটে অবস্থান করছেন। পাতলা পায়খানা কিছুতেই কমছে না। এভাবে আর কতক্ষন বেঁচে থাকবেন তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। সব শুনে আশফাকের মনটা খারাপ হয়ে গেল। সে পাঠান সাহেবের হাতে পাঁচশো টাকা দিয়ে বাজার থেকে ডাব, খাবার স্যালাইন আর ফল মূল এনে টয়লেটে আ: বাতেন সাহেবের নিকট পৌছে দিতে বলল। অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে তাতে তিনি আরো ঘন্টা চারেক বাইরে আসতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে না। তাই শরীরে শক্তির যোগান দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
-এবার তাহলে আমরা আসি স্যার। ও হ্যা, আমি আ: বাতেন সাহেবকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আশফাক বলল।
- আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করার ছিল।
- জ্বি, অবশ্যই করবেন।
- তন্দ্রা দেবী বলেছিল ওনাকে ছাড়াও আরো প্রায় দুই শতের অধিক মেয়ে আপনাকে ভালবাসে- কথাটা কতটুকু সত্যি?
- অবজেকশন.....। আমি দেবী নই, মানবী। তন্দ্রা হাসল, সারোয়ার সাহেবও সে হাসিতে অংশ নিলেন।
- তন্দ্রা আমাকে ভালবাসে? কই, কখনো বলেনিতো! তন্দ্রা..., যা শুনছি তা কি সত্যি?
- আরে নাহ, এমনি বলেছি। চল, দেরি হয়ে যাচ্ছে।
- এত তাড়া কিসের, আপনাদেরতো সন্ধার পর জোসনা দেখতে বনে যাওয়ার কথা রয়েছে। এখন মাত্র দেড়টা বাজে।
- আর বলবেন নাহ, রাতে আপনার সাথে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ও বলল.....।
- আটানব্বইটি জোসনা উপভোগ করেছি গাজীপুরের জঙ্গলে বসে। নিরানব্বই তম এবং গুরুপূর্ণিমা উপভোগ করার জন্য এবার সাগর পাড়ে যেতে চাই। তন্দ্রার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বলল আশফাক।
সারোয়ার সাহেব কপাল কুঞ্চিত করে বললেন- তার মানে..., আপনারা এখন কক্সবাজার যাচ্ছেন?
-জ্বি জনাব, গত রাতেই মোবাইলে প্লেনের টিকিট চূড়ান্ত করেছি। বিকেল পাঁচটায় ওকে নিয়ে আকাশে উড়বো আশা করছি।
আশফাক মৃদু হাসলো। সারোয়ার সাহেব তাদের মঙ্গল কামনা করে হাত নেড়ে বিদায় জানালেন।

রাত দশটা বাজে। তন্দ্রা এবং আশফাক হোটেল সী গাল এর বিলাসবহুল একটি রুমে বসে টিভি দেখতেছিল। এমন সময় রুমবয় এস জানালো তাদের কে খাকি পোশাক পড়া কেউ একজন খোঁজ করছেন। পুলিশ এখানেও তাদেরকে জ্বালাতন করতে আসবে আশফাক তা কল্পনাই করতে পারেনি। দুজনেই বেরিয়ে এল রুম থেকে। ওয়েটিং রুমের সোফায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা বসে রয়েছেন। তাদেরকে দেখে তিনি খুশি খুশি চোখে এগিয়ে এসে আশফাকের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন হ্যান্ডসেক করার জন্য।
-আমি লোকাল থানার সাব ইন্সপেক্টর আবিদ । সারোয়ার সাহেব আমার নেংটা কালের বন্ধু। তিনি আমাকে আপনাদের কথা ফোনে বলেছেন। তাই দেখা করতে এলাম। আগন্তুক একটা ভিজিটিং কার্ড দিয়ে বললেন, এটা রাখুন, প্রয়োজন হলে আমাকে কল করবেন। শোনেছি আপনারা গভীর রাত পর্যন্ত সৈকতে জোসনা দেখবেন। যদিও গভীর রাত পর্যন্ত সৈকতে থাকার নিয়ম নাই। তবুও আপনাদের সমস্যা নাই। আমি দুজন ট্যুরিস্ট পুলিশকে বলে দেব। ওরা আপনাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে খেয়াল রাখবে।
আবিদ সাহেব এখনো আশফাকের হাতটা ছাড়েনি। আশফাক ঠোঁটে হাসি মেখে বলল-
-এত্ত লম্বা সময় নিয়ে কাউকে হ্যান্ডসেক করতে আমি কখনো দেখিনি।
আবিদ সাহেব কিছুটা লজ্জা পেয়ে হাতটা ছেড়ে দিয়ে বললেন- না মানে, আপনাকে কেন জানি আপন মনে হলো তাই ছাড়তে ইচ্ছে করছিল না। আচ্ছা আমি আজ আসছি। কাল আমার থানায় একবার এক কাপ চা খেতে এলে খুশি হবো।
-জ্বি, অবশ্যই একবার আপনার আতিথেয়তা গ্রহন করতে যাবো আমরা। আপনি এত করে বলছেন, না গিয়ে পারব না হয়ত। ও হ্যা, আপনার ট্যুরিস্ট পুলিশ ভাইদেরকে আমাদের পিছনে গোয়েন্দাগিরি করার জন্য না পাঠালে খুশি হবো। সহাস্যে বলল তন্দ্রা।
- না না ভাববেন না। ওরা কোন ভাবেই আপনাদেরকে বিরক্ত করবে না। আজ তবে আমি আসি।
জ্বি, আসুন তবে। দুজনেই একসাথে কণ্ঠ মিলিয়ে আবিদ সাহেবকে বিদায় জানাল। আবিদ সাহেব মুখে বিখ্যাত হাসি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন হোটেল থেকে।

আজ রাতের জোসনার সব আলো সী বীচে ভিড় করেছে। জোসনার শত সহস্র রূপালী আলোকরশ্মি একটি বিশেষ কোণে মিলিত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সমুদ্রের পানিতে। তাতে যে দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে -তা যে চোখ জোড়া দেখেনি সে চোখ জোড়া পৃথিবীর সৌন্দর্যের বিষয়ে কোন ধারনা করতে পারবে না। সাগরের বিশাল ঢেউয়ের সাথে জোসনার রূপালী আলো যেন নৃত্যে মেতেছে। সাগরের পানি জোসনার ছোঁয়া পেয়ে যেন মাতাল হতে চাচ্ছে। এ এক নৈস্বর্গিক দৃশ্য।
লাবণী বীচে একটি তাবুর নিচে বসে আছে আশফাক আর তন্দ্রা। আশফাক একমনে সাগরের পানির দিকে তাকিয়ে জোসনা দেখছে। তন্দ্রা আশফাকের কুলে মাথা রেখে শুয়ে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। তার মনে হচ্ছে আজকের জোসনার সব আলো আশফাকের মুখে জমাট বেঁধেছে। এলোমেলো চুলগুলোতেও চাঁদের আলো খেলা করছে। চোখের পলক পরছে না আশফাকের। আশফাকের চোখের তারায় চাঁদ দেখছে তন্দ্রা। মাঝে মাঝে আশফাকের ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াতে ভীষণ রকম ইচ্ছে করছে তার। কিন্তু এটা করা যাবে না। এমন করলে হয়ত এখন সে যেটুকু পাচ্ছে তা থেকেও বঞ্চিত হবে। এইটুকু পাওয়া থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চায় না সে। কিন্তু অবাধ্য মন কিছুতেই মানছে না। সে কুল ছেড়ে ওঠে আশফাকের সামনে চোখে চোখ রেখে বসলো। আশফাক তার দুই ঠোঁট সামান্য ফাঁক করে ভূবন ভুলানো হাসি হাসলো। তারপর তন্দ্রার হাত ছুঁয়ে ওর চোখে চোখ রাখলো। আশফাকের ছোঁয়ায় তন্দ্রার ভিতরে সমুদ্রের ঢেউ খেলে গেল। আশাফাক বলল-
- তোর চুলগুলো যখন বাতাসে উড়ে তখন আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে।
- একি কথা! মরতে ইচ্ছে করবে কেন? কপাল কুঁচকে বলল তন্দ্রা।
- তোর চোখে আমি দুটি চাঁদ দেখছি, যেমনটি তুই কিছুক্ষন আগে দেখছিলি আমার চোখে।
- আমি যখন দেখছিলাম, তুই তখন সাগরের পানিতে জোসনার খেলা দেখছিলি।
- না, আমি তখন ভাবছিলাম। সারোয়ার সাহেবকে তুই বলেছিস ঐ কথা কিন্তু আমার কাছে অস্বীকার করেছিস।
- আমি তোকে ভালবাসি, কথাটা বলতে আমার ভয় লাগে।
- চল, গোল্লাছোট খেলি। দৌড়ে তুই যদি আমাকে ধরতে পারিস তবে ঈশ্বর তোর মনোবাসনা পূরণ করবেন।
- মানে? আমি তো তোর ঠোটেঁ.....।
- হ্যা, আমিও সেটাই বলছি।
- তাহলে চল। আমি নিশ্চয় পারবো, আমাকে পারতেই হবে। ছোট বেলায় স্কুলে দৌড় খেলায় প্রথম হয়েছিলাম।
আশফাক হঠাৎই তন্দ্রার হাত ছেড়ে বীচের ছোপ ছোপ পানি মাড়িয়ে দৌড়াতে শুরু করলো। তন্দ্রাও তার পেছনে প্রাণপণ দৌড়াতে লাগলো। আকাশের রূপালী জোসনাও তাদের পিছু নিল।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×