somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল)
নিজেকে বোঝার আগেই মনের মধ্যে একটা চেতনা তাড়া করে ফিরতো। এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলাতে হবে, একটা বিপ্লব দরকার। কিন্তু কিভাবে?বিপ্লবের হাতিয়ার কি? অনেক ভেবেছি। একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার 'কলম'।

জীবিত অথবা মৃত প্রাণীর শরীর মাত্রই প্রাণীর আহার।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীবিত অথবা মৃত প্রাণীর শরীর মাত্রই কোননা কোন প্রাণীর আহার।জীবিত মানুষের মাংস অনেক মাংসাশী প্রাণীর প্রিয় আহার হলেও তারা মানুষের মাংস ভক্ষণ থেকে বঞ্চিত হয়, কারণ মানুষ বুদ্ধির কারণে অন্য প্রাণী থেকে আলাদা, ফলে আকৃতিতে ছোট হলেও অনেক বৃহৎ, হিংস্র ও শক্তিশালী প্রাণীর আক্রমণ থেকে সে নিজের শরীর ও প্রাণকে রক্ষা করতে ।হিংস্র মাংসাশী প্রাণীকে বঞ্চিত করে মানুষ জীবিত অবস্থায় অন্য প্রাণীর মাংস ভক্ষণ করলেও মৃত্যুর পর তাহার গলিত ও পচা শরীরকে পোকা মাকড়কে খাদ্য হিসেবে সপে দিতে বাধ্য হয়। অর্থাৎ, মানুষ অন্য প্রাণীর মাংস খেয়ে বেঁচে থাকার ঋণের শোধ জীবিত অবস্থায় করতে না পারলেও প্রাকৃতিক নিয়মে তার মৃত্যুর পর মৃত দেহ পোকা মাকড় ও কীট পতঙ্গকে খাবার সুযোগ দিয়ে শোধ করে।আবার জীবিত মানুষের শরীরের উপর ভর করে কৃমি তার প্রাণের স্বাদ গ্রহণ করে থাকে।মানুষ শুধু অন্য প্রাণীকে খায়ই না উকুন ও মশার মতো ক্ষুদ্র প্রাণীদেরকে তার রক্ত খাইয়ে বাঁচিয়েও রাখে।সৃষ্টি প্রকৃতির নিয়ম খাও এবং নিজেকেও খাওয়াও। আমি নিজে না চাইলেও সৃষ্টি প্রকৃতি এই ভাবেই চলছে এবং চলবে।অর্থাৎ এককে খেয়ে অন্যের জীবনের সুখ উপভোগ।এই নিয়ম এক দৃষ্টিকোন থেকে নিষ্ঠুর হলেও অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে অপার অনিন্দ্য সুন্দর।

উপরোক্ত আলোচনাটুকু করার কারণ আজ মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কোরবানির ঈদ।এই দিনে সারা পৃথিবীতে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে প্রচুর চতুষ্পদ প্রাণী জবেহ করা হয় এবং এই জবেহ করা মাংসের আবার ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী সুন্দর একটি বণ্টন ব্যবস্থা রয়েছে।
নিয়ম হচ্ছে কোরবানির মাংস বানানোর পর সব মাংস সমান তিনভাগে ভাগ করতে হবে। মাংস সমান তিন ভাগ করার পর এক ভাগ সমাজের নিম্ন বৃত্ত মানুষের জন্য , এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে এবং এক ভাগ নিজে খাওয়ার জন্য রাখা হয়।
কোরবানির গরুর আরেকটি অংশ হচ্ছে চামড়ার টাকা। যা সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদেরকে প্রদান করা হয়ে থাকে।

এই কোরবানির ফলে সমাজের যে শ্রেণীর মানুষের ম্যাকডোনাল্ড, কে এফ সি খাওয়ার সামর্থ নেই,এমন কি সারা বছরে একদিনেও মাংস কিনে খাওয়া হয়না তাদের ন্যূনতম মাংসের স্বাদ নেবার সুযোগ ঘটে।
কিন্তু প্রতি বছর কোরবানি ঈদ আসলেই কোরবানির এই মুসলিম রীতিকে কেন্দ্র করে কিছু ম্যাকডোনাল্ড,কে এফ সি , শুকুরের মাংস খাওয়া এবং পায়ে পশুর চামড়ার জুতা পরা উদারপন্থী মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোরবানির পশুর জবেহ হওয়ার কষ্টে কাতর হয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রূপে সরব হয়ে ওঠেন।অনেক উদারপন্থী বিদ্বান রয়েছে যারা কোরবানির মাংস দিয়ে ভূড়ীভোজ করার পর কোরবানির পশুর গলায় ছুরি চালানোর ব্যথায় ব্যথিত হয়ে ফেচবুকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে এই রীতির তুখোড় সমালোচনার ঝড় তোলেন।

এমন উদারপন্থীদের প্রতি পরামর্শ, এ ধরনের সমালোচনার পূর্বে প্রতিজ্ঞা করুণ আজ থেকে কোন প্রাণের থেকে নিজের প্রাণের উপকরণ সংগ্রহ করবো না (উদ্ভিদ এবং প্রাণী) । দরকার হলে নিজের শরীর কৃমি, উকুন,মশা, ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য উপকরণ বানাবো কিন্তু নিজে পানি এবং বাতাস খেয়ে পৃথিবীর এই খাওয়া খাওয়ি নিয়মের প্রতিবাদ করে পোকা মাকড়কে এই রক্ত মাংসের দেহকে দান করে দেবো ……।
সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ……
শ্লোগান হোক… নিজে খাই এবং অন্যেকেও মনের আনন্দে খাওয়াই ...।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×