somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল)
নিজেকে বোঝার আগেই মনের মধ্যে একটা চেতনা তাড়া করে ফিরতো। এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলাতে হবে, একটা বিপ্লব দরকার। কিন্তু কিভাবে?বিপ্লবের হাতিয়ার কি? অনেক ভেবেছি। একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার 'কলম'।

প্রসঙ্গ বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে ধর্ষণ এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা। পর্ব -৩

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ মূলত জন্মগত ভাবে সাধু হয়ে জন্মায় না, আবার অপরাধী হয়েও জন্মায় না। অন্যান্য প্রাণীর মতই একটি জীবন নিয়ে দেহসর্বস্ব অতি সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে জন্মায়। জন্মের পর থেকে তার মস্তিক ধীরে বিকাশ লাভ করতে থাকে তার বেড়ে ওঠার পরিবেশ ও শিক্ষার মাধ্যমে। সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রের মধ্যে চলমান রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে একজন মানুষের নীতি নৈতিকতার বিকাশ লাভের ক্ষেত্রে।মানুষ মাত্রই প্রত্যেকের মধ্যে কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য এই রিপুগুলো বিদ্যমান। আবার এই মানুষই দেবত্ব গুনের অধিকারী।একজন মানুষ অতি সহজেই ভেতরের পশুত্বকে বর্জন করে দেবত্ব গুনের অধিকারী হতে পারে না।তাকে সাধনা করতে হয়। তবে পৃথিবীতে কিছু মানুষ প্রবল মানবিক গুনের অধিকারী হয়।রাষ্ট্রীয় আইন কানুনের বাধ্যবাধকতা,নীতি নৈতিকরা ও ধর্মীয় বিধিবিধান অনুসরণ ছাড়াই এমন বিশেষ গুণসম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রখর কাণ্ডজ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টির অধিকারী ছাড়া এমন মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। সমাজের অধিকাংশই মানুষই স্বাভাবিক প্রবৃত্তি সম্পন্ন হয়ে থাকে। অর্থাৎ তার সামনে কাম বাসনা বা কোন নিষিদ্ধ আনন্দ পূরণের সুযোগ আসলে বা পরিবেশ অনুকূলে থাকলে সে বৈধ অবৈধ নীতি নৈতিকতার বোধ হারিয়ে তার প্রবৃত্তি পূরণের জন্য লালায়িত হয়ে ওঠে।হোক সে নারী অথবা পুরুষ। উদাহরণ স্বরূপ, যখন কোথায়ও যুদ্ধবস্থা বিরাজ করে তখন সেই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশী অনিরাপদ হয়ে পড়ে। আমরা দেখেছি ইরাক যুদ্ধে আমেরিকার পুরুষ সৈনিকদের দ্বারা নারী ধর্ষণের ঘটনা এবং নারী সৈনিক দ্বারা নিরীহ পুরুষ ধর্ষণের দৃশ্য।সৈনিকদের মূলত যুদ্ধ করার কথা ছিল প্রতিপক্ষ সৈনিকদের সঙ্গে, আঘাত আনার কথা ছিল প্রতিপক্ষ ঘাঁটিতে। নিরীহ নারী পুরুষদের ধর্ষণের দায়িত্ব নিয়ে তারা রণাঙ্গনে আসেনি। অথচ তারা উন্নত দেশের সুশিক্ষিত সৈনিক।তাহলে কেন এমন কর্ম তারা করলো? একটি দেশ যখন যুদ্ধাবস্থায় থাকে তখন দেশের আইন শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ে। জনগণের প্রতিরক্ষার প্রতিটি সংস্থা কার্যকারিতা হারায়।অর্থাৎ নিরীহ মানুষের পাশে এমন কেউ থাকে না যারা তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে সশস্ত্র সৈনিকের সামনে নিরীহ মানুষের জান এবং মাল অধীন হয়ে যায়।অনেক সৈনিক হারিয়ে ফেলে তার নীতি নৈতিকতার বোধ ও মানবিকতা।তার ভেতর জেগে ওঠে আদিমতা, তাই হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে নিরীহ নারী,পুরুষ এবং শিশু হয়ে ওঠে আদিম কামনা বাসনা পূরণের খেলনা। পৃথিবীর কোন যুদ্ধাঞ্চল এই বিশৃঙ্খলার বাইরে নয়।
আমরা জানি ধর্মীয় গুরুরা মানুষের নীতি নৈতিকতার পথ দেখায়, শান্তির কথা বলে অথচ অনেক পাদ্রী,পুরোহিত,সন্ন্যাসী, মোল্লা দ্বারা নারী ধর্ষণ ও শিশু কিশোর বলৎকার হওয়ার ঘটনা যুগে যুগে কম হয়নি।যা এখনো বিদ্যমান।

সমাজে রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করতে গিয়ে পাশাপাশি যে বন্ধুর হাতে হাত রেখে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত পথ হাঁটা হয়েছে মাইলের পর মাইল, সেই বন্ধুর দ্বারাই ধর্ষণের স্বীকার হওয়ার নজিরও রয়েছে।

অর্থাৎ সাধুর লেভাজ দেখলেই একজন মানুষকে সাধু ভাবা অযৌক্তিক।কারণ লেভাজেের ভেতরে মানুষ আকৃতির দেহে বসবাস করা পশু কতটা জাগ্রত আর কতটা সুপ্ত সেটা অন্যের বোঝার কোন পরিমাপ যন্ত্র নেই।একজন মানুষের ভেতরে প্রকৃতই কি খেলা করে তা শুধু সেই মানুষই জানে।তার চেহারা বা লেভাজ দেখে কিছু বোঝা সম্ভব নয়।

দেশে বাস্তব জীবনে এমন বেশ কিছু বাস্তবতা দেখার সুযোগ হয়েছে।একবার এক বন্ধুর কাছে একটি গল্প শুনেছিলাম, বাস্তব গল্প ।
একবার একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির অফিসে সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা যোগদান করলেন।বিশেষ একটি রুমে আধুনিক চেয়ার টেবিল কম্পিউটার দিয়ে তার কার্যালয় সাজানো হল।দুই তিনজন সিনিয়র কর্মকর্তা ব্যতীত ঐ অফিসের অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী সদ্য শিক্ষা জীবন শেষ করা বয়সে তরুণ। এতো বড় কর্মকর্তার আগমনে অফিসের তরুণ কর্মীরা বেশ খুশী।সরকারের এত বড় কর্মকর্তা যে সরকারি চেয়ারে থাকা অবস্থায় সাধারণত এমন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করা সাধারণ মানুষের জন্য দুরূহ ব্যাপার।অফিসের তরুণ কর্মীরা এমন একজন মানুষের সংস্পর্শে কাজ করতে পেরে বেশ উজ্জীবিত।তিনিও তরুণদের সঙ্গে বেশ বন্ধুসুলভ আচরণ করেন।মাঝে মাঝে অনেককের সঙ্গে খোলামেলা গল্পও করেন,চাকুরী জীবনের অনেক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।অনেক সময় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হলে সবাইকে তার রুমে ডেকে এক সাথে খেলা দেখেন।এমন বন্ধুসুলভ আচরণে অফিসের তরুণ কর্মীরা তাকে ফেরেশতার মত শ্রদ্ধা করে।তার বিগত চাকুরী জীবনে সততার খুব সুনাম রয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির অফিসে তার মূলত নির্দিষ্ট কোন কাজ নেই।তিনি অফিসে আছেন এটা জেনে সবাই যার যার টেবিলে বসে মনোযোগ দিয়ে কাজ করে, আর সরকারি অফিসে কোন সমস্যা হলে তিনি সেই অফিসের কর্তাব্যক্তিকে ফোন করে বলেন আমি অবসর প্রাপ্ত …,... এই কোম্পানির …......পদে আছি, আমাদের কোম্পানির ফাইলটা আটকে আছে যদি একটু দেখতেন। তবে নিজ অফিসের প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের কোন ফাইল বা বিল ম্যানেজিং ডিরেক্টরের টেবিলে যাওয়ার পূর্বে তাকে দেখানোর নির্দেশ রয়েছে।অফিস টাইমে বেশির ভাগ সময় সে তার রুম বন্ধ করে অবস্থান করেন।অভ্যর্থনায় কর্মরত মেয়েদের মাঝে মাঝেই তার রুমে ডেকে দীর্ঘ সময় অফিস পরিচালনার নিয়ম কানুন,শৃঙ্খলা সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।অভ্যর্থনার মেয়ে কর্মীরাও তার খুব ভক্ত।তার অতি ভালোবাসায় অনেক সময় অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের কোন প্রয়োজন অভ্যর্থনা কর্মীদের কাছে গুরুত্ব পায় না।বড় কর্তার বাসা অফিসের পাশেই, অফিস টাইমে হঠাৎ হঠাৎ তিনি তার রুমে থাকেন না।বাসায় চলে যান।ইঞ্জিয়ারিং, মার্কেটিং,প্রকিউরমেন্ট,হিসাব বিভাগের সব কর্মকর্তারই বিভিন্ন প্রয়োজনে মাঝে মাঝে তার রুমে যেতে হয়।একদিন একটি প্রোজেক্টের ডিজাইন দেখানোর জন্য এক তরুণ ইঞ্জিনিয়ার তার রুমের দরজায় টোকা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো,ভেতরে ডুকে দেখল তিনি তার চেয়ারে নেই।ভাবল ফাইলটা তার টেবিলে রেখে আসলে তিনি যখন অফিসে ফিরবেন তখন ডিজাইনটা দেখতে পাবেন।ডিজাইনের ফাইলটি টেবিলে রাখতে গিয়ে তরুণ ইঞ্জিনিয়ার যা দেখলেন তা অবিশ্বাস্য।বড়কর্তার ডেস্কটপে ভেসে আছে পর্ণ ওয়েবসাইটের রগরগে দৃশ্য।এই দৃশ্য দেখে তরুণ ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বাস করেনি এই কাজটি বড় কর্মকর্তার।বয়সে প্রবীণ, তাছাড়া তিনি ইন্টারনেট, কম্পিউটার ব্যাবহারেও পারদর্শী নয়।তাছাড়া তার কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংক্রান্ত কাজে সাহায্যের জন্য মাঝে মাঝেই অফিসের তরুণ কর্মীদের তার রুমে ডেকে নেন।অফিসে দুইটি গ্রুপ রয়েছে।এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের প্রতিপক্ষ। তরুণ ইঞ্জিনিয়ার তার নিজের গ্রুপের বিশ্বস্ত এক কর্মকর্তার সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলো। তার ধারণা, বড়কর্তা যখন তার অফিস রুম ছেড়ে বাসায় যায় তখন অন্যগ্রুপের বিশেষ একজন তরুণ কর্মকর্তা তার রুমে ডুকে নিয়মিত পর্ণ সাইট দেখে। তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের সন্দেহ খুব গাঢ় অন্যগ্রুপের নির্দিষ্ট ঐ তরুণ কর্মকর্তার প্রতি।সে ভাবছে, এমন একজন সম্মানিত ব্যক্তির অফিস কক্ষে ডুকে এমন কাজ গর্হিত অপরাধ, ঐ দিন স্যার যদি কক্ষে প্রবেশ করে এই অবস্থা দেখত তাহলে অফিসের সবাইকে কি ভাবতো! অফিসের তরুণদের প্রতি তার যে ভালো ধারণা সেই বিশ্বাস ও ভালোবাসায় ফাটল ধরত। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। তরুণ ইঞ্জিনিয়ার অন্যগ্রুপের স্থির বুদ্ধিসম্পন্ন এক তরুণ মার্কেটিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালো সত্যতা উন্মোচনের জন্য। মার্কেটিং কর্মকর্তা নিজ গ্রুপের সন্দেহভাজন কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি খুলে বলল,এবং জানতে চাইলো সে এই কাজ করে কিনা। বিষয়টি জেনে সন্দেহভাজন তরুণ উল্টো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এই ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনের চাপ সৃষ্টি করলো। কারণ, তাকে সন্দেহ করায় সে অপমানবোধ করেছে। সত্য উদঘাটনের জন্য দুই গ্রুপের মধ্যে সমযথা হল।দুইগ্রুপের দুই জন প্রতিনিধি নির্বাচন করে দায়িত্ব দেয়া হল প্রকৃত সত্য উন্মোচনের জন্য।এদের দুজনই আইটি জ্ঞানে পারদর্শী।বড়কর্তা তার রুম ছেড়ে গেলে কখনো রুম লক করে যায় না। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় দুপুর এক টার পর তিনি বাসায় মধ্যাহ্ন আহারে যান। ফেরেন এক দের ঘণ্টা পরে। একদিন বড়কর্তার এই বিরতি সময়ে দুই গ্রুপের দুই প্রতিনিধি প্রবেশ করলো তার রুমে।তার কম্পিউটারের ওয়েব ব্রাউজারে প্রবেশ করে তারা ব্রাউজিং হিস্টরি চেক করে দেখলো যে এই ব্রাউজার থেকে কোন কোন ওয়েব সাইটে প্রবেশ করা হয়। ফলাফল, ব্রাউজিং হিস্টরিতে প্রচুর পর্ণ ওয়েবসাইটে প্রবেশের রেকর্ড। পরীক্ষা করে দেখা গেলো এই সাইটগুলোতে প্রবেশের যে সময়ের রেকর্ড রয়েছে সেই সময়গুলোতে বড়কর্তা তার অফিস কক্ষেই অবস্থান করেন।বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও এটাই প্রমাণ হল যে বড়কর্তা অফিস চলাকালীন সময়ে বদ্ধ কক্ষে বসে পর্ণ সাইট দেখেন।ঐ দিন হয়তো মনের ভুলে সাইটটি খোলা অবস্থায় রেখে চলে গেছেন। কিন্তু আইটি জ্ঞানের অভাবে তিনি জানেনই না যে কোন ব্রাউজার দিয়ে কোন সাইটে প্রবেশ করলে ঐ সাইটের রেকর্ড ব্রাউজার হিস্টোরিতে থেকে যায়। তাই রেকর্ডগুলো মোছেননি।তাই এই অজ্ঞতাই সত্য উদঘাটনের নিয়ামক হিসেবে কাজে লেগেছিল।তা নাহলে একটি ভুল সন্দেহ সত্য রূপে প্রতিষ্ঠা পেতো।

আমরা অনেক সময় মানুষের জীবনযাপন,ধর্মীয় জীবনাচার, চালচলন, পোশাক আসাক,আচার ব্যবহার, সামাজিক অবস্থান দেখে নিজের মধ্যে কারো নৈতিক চরিত্রের একটি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করি করি।বাহ্যিক অবয়ক ও অবস্থান দেখে কারো সম্পর্কে আমাদের যে ধারণা বা বিশ্বাস স্থাপন করি তা অধিকাংশই ক্ষেত্রেই ভুল। যা উল্লেখিত একটি বাস্তব গল্পের মধ্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হল। যার চালচলন সন্দেহের উদ্বেগ ঘটিয়েছিল সে সত্যিকার্থে ধারণার নোংরা মানুষ নয়।অথচ যাকে অফিসের সবাই সাধু হিসেবে গ্রহণ করেছিল সে যে এমন নোংরা মনের অধিকারী একজন মানুষ তা কেইবা জানতো ।এই সত্য উদঘাটন না হলে সবার কাছে সাধু হিসেবেই অবস্থান করতো। এমন গোপন ঘাতক চরিত্রের অধিকারী বসের অধীনস্থ একজন মহিলা কর্মী কতটা নিরাপদ তা একটু গভীর ভাবে অনুধাবন করলেই বোঝা যায়।অথচ এই মানুষটাই সরকারের যে ধরণের কর্মকর্তা ছিলেন এমন কর্মকর্তারাই কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। এমন সাধুর সুরতে হাজারো নোংরা মনে মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আমাদের দেশের অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ প্রত্যন্ত জায়গায়।যাদের দ্বারা অনেক নারী নিভৃতে নির্যাতনের স্বীকার হয় যা আমরা জানিনা। জামালপুর জেলার সাবেক ডিসি আহমেদ কবির কর্তৃক অধনস্থ নারী কর্মীর সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, এছাড়া ফেনী জেলার সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা কর্তৃক ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ন এবং পরবর্তীতে প্রতিবাদ করায় তাকে আগুনে পুড়িয়ে নির্মম ভাবে হত্যা ঘটনা যেন তারই জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত।
প্রসঙ্গ বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে ধর্ষণ এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা। পর্ব -১
প্রসঙ্গ বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে ধর্ষণ এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা। পর্ব -২
প্রসঙ্গ বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে ধর্ষণ এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা।




সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×