জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণকে কেন্দ্র করে চলতি সাপ্তাহের রাজনীতি বেশ সরগরম ছিল।
দেশের বৃহত্তম ইসলামী সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই সরকারকে সিগনাল বেধে দিয়ে ভাস্কর্যের নামে মরহুম শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি তৈরির উদ্যোগ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
https://www.youtube.com/watch?v=G78FmxlBA18 [ফয়জুল করিমের আহ্বান]
তিনি তার সমাবেশে এও দাবী করেন যে, সরকারের উচিত এমন কাজ করা যাতে মানুষ আজীবন শেখ সাহেবকে মনে রাখে, তার জন্য দুয়া করে।
মূর্তি বা ভাস্কর্য তৈরীর নেতীবাচক দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন শেখ সাহেবের ভাস্কর্যের উপর পাখি মল মূত্র ত্যাগ করবে তাতে শেখ সাহেবের মর্যাদা বাড়বে না বরং কমবে।
স্মরণকালের মাঠ ও মঞ্চ কাঁপানো কালজয়ী উক্ত বক্তৃতাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং পতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে চট্টগ্রামের একজন উদীয়মান রাজনৈতিক জনাব নওফেল সাহেব সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পীর সাহেবের ঘাড় মটকে দেয়ার হুমকি দেন। জনাব নওফেল সাহেবকে কিছুদিন আগেও কেউ চিনতেন না। পিতৃবিয়েগের পরে মোটামুটি চট্টগ্রামের রাজনীতিতে ইনি সক্রিয় হতে শুরু করেন।
শায়েখে চরমোনাইকে ধমক দিয়ে তিনি বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। দেখা যাক কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়।
ইসলাম ধর্মে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি তৈরী হারাম যেমনটি মূর্তিপূজার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কোন ব্যক্তি যদি মুসলমান দাবী করে তবে তার মূর্তিপ্রীতি থাকতে পারনা। তবে নিজেকে মুসলিম দাবী না করলে সেটা ভিন্ন কথা। তারপরে কথা থেকে যায়, সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে প্রকাশ্যে মূর্তিস্থাপন করে ফায়দা বা লাভ কি? ভাস্কর্য
তৈরি ও প্রদর্শনীতে কোন বিশেষ সংস্কৃতির কি প্রমাণ বহন করে না? এতে অর্থনৈতিক সুবিধা কি? দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ভাস্কর্য তৈরীর নামে অবচয়ের কোন মানে কি হয়? মনে হয় না এই কাজের কোন মানে আছে।
যা হোক, আমরা সবসময় দেখে এসেছি যে কোন সরকার তার নীতিতে সবসময়ই অটল ছিল। সরকার হয়তো ভাস্কর্যের বিষয়েও তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করতে পারে । সেটা সময় বলে দেবে। তবে মুসলমান হিসাবে সকলের উচিত ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে জনমত তৈরীতে এক থাকা।