কারাপক্ষঃ আজ আপনার ফাসিঁ, সেটা কি জানেন?
সাকাঃজানি, এটা কোন ব্যাপার না।
কারাপক্ষঃ কেন যে সেদিন হাসিনাকে বিয়েটা করলেন না। তাহলে আজ আপনার এই ফাঁসি টাসি তো আর কিছু হত না।
সাকাঃ হা হা হা। তুমি কি বুঝনা যে আমি কেন তাকে বিয়ে করি নি? আরে নি*** এর ঘসা মাল দিয়ে আমি কি করতাম। আর ওরে যেদিন বিয়ে করতাম সেদিন ই তো আমার ফাঁসি হয়ে যেত।তবে এখন ফাঁসি হচ্ছে লাল সোনা দেখিয়ে, আর তখন কালা টা এই তো তফাত।
কারাপক্ষঃ হুম সে তো বুঝলাম। আচ্ছা স্যার আমি যার জন্য এসেছি; হাসিনার থেকে আপনার কাছে চিঠি এসেছে, এই যে নেন।
(সাকা চিঠিটি খুলে পড়ছিল)
প্রিয় সাকা,
তুমি আসলেই বোকা frown emoticon তুমি কি বুঝনা আমি আজ ও তোমাকে কত ভালবাসি। তোমার জন্য আজও আমি মাঝ রাতে জেগে জেগে কাঁদি।কিন্তু কি হবে বল আমি তো ইন্ডিয়ান হয়ে গেছি।আর দাদা বাবু বলেছে তোমাকে বাঁচিয়ে রাখলে আর আমাকে ভালবাসবে না। কারন সে তার পথে অন্য কাউকে দেখতে চায় না। তাই তো তোমাকে ফাঁসি দিচ্ছি। তবে হা যদি তুমি আমাকে এই শর্ত দাও যে জেল থেকে বের হলে আমাকে ভালবাসবে তাহলে চিঠির সাথে পাঠানো এই কাগজ টা স্বাক্ষর করে রাষ্টপতির কাছে পাঠিয়ে দাও, আমি তাকে বলে দিচ্ছি।
ইতি, তোমার প্রেয়সীনী।
সাকাঃ হট ননসেন্স, এটা কি জিনিস! আমার মত একজন নেতাকে হাসিনার মত নি**ঘসা মাল প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছে এখনও। এটা আমাকে আপমান ছাড়া কিছুই নয়। আমি এই অপমানের বিচার রাষ্টপতির কাছেই দিব। এই সেন্টি, শোন তোমার স্যারকে পাঠিয়ে দাও, আমি রাষ্টপতির কাছে বিচার দিব। তবে তার আগে মুজাহিদ সাহেবের সাথে ছোট্র একটা পরামর্শ করে নেই।পরামর্শ শেষে কারা সুপার কে জানান হল যেঃ
মুজাহিদঃ আমরা রাষ্টপতির কাছে আবেদন করব যে হাসিনা সাকা সাহেবকে অপমান করেছেন, আর আমি তার স্বাক্ষী। এজন্য আমি ও স্বাক্ষী হিসেবে সেই পেপার পাঠাবো তার কাছে।
এদিকে কারাপক্ষ থেকে জানান হল সাকা আর মুজাহিদ রাষ্টপতির কাছে আবেদন করবেন।(কিসের আবেদন সেটা এখন ও বলেন নি)
সাথে সাথে সারা বাংলায় খবর ছড়িয়ে গেলঃ
"প্রান ভিক্ষা চাইবেন সাকা আর মুজাহিদ"
এটাই আমাদের হলুদ মিডিয়া।
(কথোপকথন কাল্পনিক হলেও বিষয় বাস্তব)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪