ছেলেটির বাড়ি মিশরে। কায়রো শহরের ছেলে। মেয়েটি তুরস্কের এস্কিশেহীর শহরের বাসিন্দা। দুজন Middle East Technical University এর শিক্ষার্থী। ৩ বর্ষে পড়ে ছেলে আর মেয়ে ১ম বর্ষে। পরিচয় হয়েছিল ইস্তানবুলে। আজ মেয়ের শহর এস্কিশেহীরে তাদের বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছেলের বয়স ২৪ আর মেয়ের ২৫।
আজ বন্ধের দিন। অফিসে খুব একটা কাজ নেই। তাই ভাবলাম এটা কিভাবে নিউজ করা যায়। ফোনে যোগাযোগ করে চলে গেলাম। ইউনিয়ন পরিষদের বিবাহ সেন্টারে বিবাহ। চলে গেলাম।
মিশর থেকে ছেলের বাবা আর মা এসেছে। তুরস্কে থাকা বন্ধুরা আর মেয়ে পক্ষের লোকেরা। সব মিলে ১০০ মানুষ।
বিবাহ সেন্টারের ভাড়া ৩০ হাজার টাকা। আর অনান্য হিসেব করে মিলিয়ে দেখলাম মোট ৫০ হাজার। মোট ৮০ থেকে ১ লাখ টাকার অনেক জমকালো একটি বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে।
নিকাহ হতে মোট সময় লেগেছে আমার ক্যামেরার হিসেবে ৩ মিনিট।
পরের ২ ঘন্টা আত্মীয় স্বজনরা তাদের গলায় তার্কিশ কালচার অনুযায়ী টাকা আর স্বর্ন টানাল। এক লাখ এর খরচে ৩ লাখ উঠে এলো। সবার জন্য একটি তার্কিশ বাকলাবা (মিষ্টি) আর উপহার হিসেবে একটি করে গাছ দেয়া হল সবাইকে।
তারা সূখি হোক। আর হবেও কারন তাদের লোক দেখাতে অনেক টাকা দেনা করে আয়োজন করতে হয় নাই। সব কিছুর পরে কেউ দোষ ধরে না। আরো কত কি!
বিবাহ কত সহজ। তবে আমরা পারলাম না আমাদের লক্ষ টাকা খরচ আর দোষ ধরার কালচার থেকে বের হতে।।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৭