আপনার দেশের লেখা পড়াতে- খিচুরী রান্নায় কি পরিমান চাল, ডাল, তেল, ঘি, মসলা দিবেন সারাজীবন সেটি মুখস্থ করিয়েছেন। পরিক্ষার খাতায়ও সেই মুখস্থ বিদ্যা লেখা ছাত্রদের পাশ করিয়েছেন। মাঝে মাঝে গাইড বইয়ের রেসিপি থেকে বের হয়ে কেউ লংকা মরিচ দিতে চাইলেও তাকে বাঁধা দিয়েছেন। কোন দিনও ছাত্রদের রান্না ঘরে নিয়ে আসলে কিভাবে বাস্তবে রান্নাটা করতে হয়, রান্নার শেষে কিভাবে পরিবেশন করতে হয় সেটা দেখান নাই।
তাহলে বাস্তব জীবনে এসে এগুলো শিক্ষা নিতে কর্মকর্তারা বিদেশে কেন যাবে না? দোষ তো যারা যাচ্ছে তাদের না, যারা প্রকৃত শিক্ষার সময়ে এদের শিখাতে পারেন নাই তাদের। সেই সব গাইড ওয়ালাদের।
আর একটি কথা- সারা জীবন মুখস্থ করিয়েছেন হুনুলুলুর রাজধানী কোথায় সেটা। উগান্ডার সব থেকে ছোট শহর নাগা পিড়ি পড়ির নাম। তাহলে এদের থেকে খিচুড়ির আবদার করাও তো ভুল।
কিন্তু একটা প্রশ্ন এখানে থেকে যায়- চাকরী নিয়েই যদি পুকুর খনন কিংবা বালিশ উত্তোলন শিখতে বিদেশ যেতে হয়, তাহলে সেই চাকরী তো সবাই করতে পারে। কিসের ভিত্তিতে চাকরী দেয়া হচ্ছে তাহলে? নাগা পিড়ি পিড়ির নাম বলতে পেরেছে বলে?
জনগনের টাকা এভাবে নষ্ট করা বন্ধ করুন। পারলে প্রকৃত শিক্ষা দিয়ে একটি বাস্তবলব্ধ জাতী গড়ে তুলুন।।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১