somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মি. বিকেল
আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

হারানোর গল্প

০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :






৬ই ফেব্রুয়ারি । আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন । ওরিয়েন্টেশন ক্লাস নিয়ে মন্তব্য যদি করতে হয় তাহলে বলবো ’ আমার জীবনে আসা সবচেয়ে ভালো দিনগুলোর মধ্যে একদিন । নতুন নতুন শিক্ষকদের সাথে পরিচয় , নতুন নতুন বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে পরিচয় , নতুন জায়গা এবং নতুন পরিবেশ । সবমিলিয়ে অসাধারণ চমৎকার ছিলো সেই অভিঞতা । আমি এখনো ভুলতে পারিনি আমার এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক জহুরুল ইসলাম এর বলা এই কথাটুকু ,

বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটা ফুলের বাগান ।
মৌমাছি এই ফুলগুলো থেকে মধু আহরণ করে , অপরদিকে মাকড়সা আহরণ করে বিষ ।
আর প্রজাপতি শুধু নেচে গেয়ে ফুলের উপর ঘুরে বেড়িয়ে সময় নষ্ট করে ।
এখন তুমি সিদ্ধান্ত নাও যে , তুমি কি হতে চাও ।
মৌমাছি , মাকড়সা না কি প্রজাপতি ?

এ.এফ.এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্যার আমাদের পড়াশুনা করাতেন শেক্সপিয়র এর ম্যাকবেথ নামক নাটকটি । শেক্সপিয়রের এই ম্যাকবেথ নাটকটি অনেক আগে থেকেই আমার পড়া ছিলো , কিন্তু যখন তিনি উপস্থাপন করতেন তখন নাটকের প্রত্যেকটি চরিত্র যেন আমার চোখের সামনে ভেসে উঠতো । মনে হতো চরিত্রগুলো যেন আমাদের সামনেই খেলা করছে , অভিনয় করছে । তবে মঞ্চে দাঁড়ানো কিছু অভিনেতা এবং অভিনেত্রী নিয়ে এটা কোন নাটক নয় , এটা যেন বাস্তবতা । সব চরিত্রগুলো যেন আমার সাথে কথা বলছে । তাঁর উপস্থাপন ভঙ্গি এবং নাটক পড়ানোর মাঝে যে একটা নাটক আছে সেটা আমাদের মুগ্ধ করতো ।

এবার আসি ম্যাকবেথ নাটকটিতে । জয়ের আনন্দ নিয়ে ফোরেসের রাজপ্রাসাদে ফিরছিলেন রাজা ডানকান আর তাঁর দুই সেনাপতি ম্যাকবেথ আর ব্যাঙ্কো । স্কটল্যান্ডের এই দয়ালু রাজার বিরুদ্ধে একটা বড় ধরনের বিদ্রোহ দমন করেছেন তাঁরা । কেবল তাই নয় , বিদ্রোহের সুযোগ নিয়ে স্কটল্যান্ড আক্রমণ নরওয়ের এক সৈন্যবাহিনী আর তাদেরকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে ছিলো ডানকানের অধিনস্থ কডোরের অধিপতি । কিন্তু ম্যাকবেথের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বে সমস্ত বিপত্তি দূর হয়েছে । কিন্তু ম্যাকবেথের উচ্চাকাঙ্খা এবং ভীরু দুর্বল ব্যক্তিত্ব কে ঠকানোর একটা সুযোগ পেয়েছিলো তিন ডাইনী । তাই তারা মিথ্যে এক ভবিষ্যৎ বাণী দাঁড় করান ম্যাকবেথের সামনে । ডাইনীদের দেখে যতটা চমকে ছিলেন তাদের কথা শুনে তার চাইতে বেশী চমকালেন ম্যাকবেথ । গ্লামিসের অধিপতি তিনি হতে যাচ্ছেন তা তিনি জানেন কিন্তু কডোরের অধিপতি থাকতে তিনি কেমন করে গ্লামিসের অধিপতি হবেন ! আর স্কটল্যান্ডের রাজা , সে তো স্বপ্ন ! অপরদিকে ম্যাকবেথের ঘোর না কাটতেই রাজার দুই দূত এসে হাজির ।  
তারা জানান দিলো যে , নরওয়ের বাহিনীকে সহায়তা দেওয়ার জন্য কডোরের অধিপতির প্রানদন্ড হয়েছে এবং রাজার আদেশে সেই সম্মান দেয়া হয়েছে ম্যাকবেথকে । ম্যাকবেথের বীরত্বের জন্য তাঁর এই সম্মান । এতে করে ডাইনীদের কথার মিল পাওয়ায় তার ভীতরের আকাঙ্খাটি মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো । যদিও ব্যাঙ্ক তাকে ডাইনীদের কথায় প্রশ্রয় না দেবার জন্য অনুরোধ করলেন। ম্যাকবেথ তাঁর স্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে সমস্ত কিছু বিস্তারিত ভাবে জানালেন । চিঠিতে তিনি এও জানালেন লেডী ম্যাকবেথ একদিন রাজমহিষী হতে চলেছেন । লেডী ম্যাকবেথ ভালো করেই জানতেন তাঁর স্বামী ভালো , অনেক ভালো এবং তাঁকে দিয়ে কোন ধরনের অন্যায় এবং নীতিহীন কাজ করানো অনেক কঠিন হয়ে উঠবে । এমন সময় দূত এসে জানাল যে , মহারাজ আজ রাতে তাঁদের অতিথী হবেন । লেডী ম্যাকবেথ তখনই সিদ্ধান্ত নিলেন যে এই সুযোগ হাতছাড়া হতে দেওয়া যাবেনা । এবং তার সাথে তিনি এও সিদ্ধান্ত নিলেন যে নীতিবোধ যেন তার স্বামীকে এই সম্মান থেকে দূরে ঠেলে দিতে না পারে । তাই তিনি ম্যাকবেথকে কড়া কথা শুনালেন । এদিকে ম্যাকবেথের মনে ঝড় উঠেছে । তিনি ভাবছেন তাঁদের পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে ! ন্যায়ের বিধানে যে বিষপাত্র আমরা অন্যর হাতে তুলে দেই তা কি শেষ পর্যন্ত নিজেদের কাছেই ফিরে আসেনা ! কিন্তু লেডী ম্যাকবেথ স্বামীকে তীব্র কটু ভাবে কড়া কথা শোনান , তিনি প্রশ্ন করে উঠেন , তোমার আকাঙ্খা মনে জন্ম দেওয়ার সময় যে সাহসিকতা দেখিয়েছিলে এখন সেই সাহস গেল কোথায় ? সততার জন্য তুমি সারাজীবন কাপুরুষতাকে বয়ে বেড়াবে । স্ত্রীর প্ররোচনায় ম্যাকবেথের মনের পরিবর্তন হয় , বলেন দয়া করে চুপ কর । সত্যিকারের পুরুষ মানুষের যা করা উচিত আমি তাই করবো , যার সাহস নেই সে পুরুষ মানুষ নয়। ইনভার্নেসে ম্যাকবেথের দূর্গ । তাঁর স্ত্রীর অতিথেয়তায় রাজা ম্যাকবেথকে একটি হীরের খন্ড উপহার দেন। আর অপরদিকে ম্যাকবেথ সেই রাতেই খুন করে রাজা ডানকান কে । অন্যদিকে ব্যাঙ্কো ভাবেন , ম্যাকবেথের জীবনে ডাইনিদের বলা প্রত্যেকটা কথা সত্য হয়েছে তাহলে আমার সম্পর্কে যা বলেছে তা সত্য হবে না কেন ?


ফোরেসের রাজপ্রাসাদে তাই ব্যাঙ্কো ভোজসভায় উপস্থিত হলেন । ব্যাঙ্কো বললেন সেদিন তাঁর অন্যত্র যাওয়ার আছে তবুও ম্যাকবেথের রাজা হওয়ার সুবাদে তিনি সেই ভোজসভায় যোগ দিবেন । ব্যাঙ্কোকে দেখে ম্যাকবেথ ভয় পেয়ে গেলেও ভোজসভায় তাঁকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করলেন । আর ম্যাকবেথ ভাবতে থাকেন যে , তিনি নন ব্যাঙ্কোই হবে এই রাজবংশের স্রষ্ঠা । তাহলে কি ব্যাঙ্কোর সন্তাদের জন্যই কি তিনি মহান রাজা ডানকানকে হত্যা করেছেন ? – এই প্রশ্নই যেন বারবার ম্যাকবেথের মাথায় বড় হয়ে দেখা দিলো । এরপর যখন ব্যাঙ্কো এবং তাঁর ছেলে ফ্লিয়ান্স প্রসাদ ছেড়ে অন্যত্র যাত্রা করেন তখন ম্যাকবেথ দুই ঘাতককে ডাকলেন এবং ব্যাঙ্কো এবং তাঁর ছেলে ফ্লিয়ান্স কে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন । কিন্তু ঘটনাক্রমে তাঁর ছেলে ফ্লিয়ান্স বেঁচে যায় । ফ্লিয়ান্স বেঁচে যাওয়ায় মাকবেথের দুশ্চিন্তা আরো বেড়ে যায় । তাঁর নীতিহীনতা তাকে প্রতিনিয়ত কুড়ে কুড়ে খেতে আরম্ভ করে । তাই সময় সময় তিনি ব্যাঙ্কোর প্রতাত্মা দেখতে পান । অবশ্য অন্য কারো চোখে পড়েনা সেই প্রেতাত্মা । ম্যাকবেথ তাই প্রচন্ড বিচলিত হয়ে পড়েন এবং নিজের মুখে কি সব বলা শুরু করে দেন আমন্ত্রিতদের উদ্দেশ্যে । তিনি বলতে থাকেন , অনুগ্রহ করে আমাকে রক্তচক্ষু দেখাবেন না বিশ্বাস করুন আমি এই কাজটি করিনি । অনেকটা ঠাকুর ঘরে কে রে ? আমি তো কলা খাইনি – এই প্রবাদটির মত। 


আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক যখন ম্যাকবেথ নাটকটির এই অংশটি পড়াচ্ছিলেন তখন আমি তাঁর ক্লাসে ছিলাম । আর খুব মজা পেতাম যখন স্যার তাঁর নাটকীয় ভঙ্গীতে বলতেন – ঠাকুর ঘরে কে রে ? আমি তো কলা খাইনি । তখন সবাই হাসিতে ফেটে পড়তো । এবং ম্যাকবেথ যখন ভোজসভায় নিজের আসনে ব্যাঙ্কোর প্রেতাত্মা দেখতে পেতেন তখন তিনি ভয়ে জমে যেতেন এবং ম্যাকবেথের স্ত্রী লেডী ম্যাকবেথের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি তাঁর আসন গ্রহনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়তেন । যা একই সাথে ছিলো হাস্যকর এবং অপরদিকে নীতিহীনতার কুফল আমরা অন্তর দিয়ে অনুভব করতাম । স্যার আমাদের শুধু এই নাটকটি নয় বরং মাত্র কয়েকদিনে জীবনবোধ নিয়ে অনেক অনেক আলোচনা করেছেন আমাদের সাথে । উল্লেখ করেছেন সত্যজিৎ রায়ের সেই অবিস্বরণীয় চলচ্চচিত্র পথের পাঁচালী । এর পাশাপাশি তিনি তুলে ধরেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র এবং বড় বড় চলচ্চিত্র পরিচালকদের কথা যা আমরা কখনো শুনিনি এমন মনে হত । এসব আমরা শুধু জেনেছি আমাদের হারিয়ে যাওয়া এই মানুষটির কাছ থেকে । আমরা যখন পাশ্চাত্য চলচ্চিত্র এবং তাদের সাংস্কৃতি আয়ত্ত্ব করায় ব্যস্ত তখন তিনি যেন শেখাতে আরম্ভ করেছিলেন বাঙালীত্ব কি ? আমরা বাঙালীরা কি পারি আর কি পারিনা ? যা ছিলো সত্যিই মনমুগ্ধকর একটি বিষয় আমাদের জন্য । কারণ আমরা বাঙালীরা কোথায় জানি নিজের পরিচয় দিতে আমাদের নিজেদেরই বাঁধে । কিন্তু বাঙালীত্ব কে নিয়ে যে একটা গর্ব করার ব্যাপার আছে তার সন্ধান হয়তো কখনো পেতাম না ।


একজন মানুষ হিসেবেও তিনি ছিলেন আমাদের আদর্শ । তার আচরণ , চলাফেরার ধরণ ছিলো সহজ-সরল এবং ক্রুটিমুক্ত । সাধারণ একটা প্যান্ট আর একটা শার্ট পড়ে স্যার ক্লাসে আসতেন । খুব বেশি একটা মনে করতে পারিনা তবে তার ব্যাপারে দুটো জিনিস আমি জেনেছি যা আমায় মুগ্ধ করেছে । তারমধ্যে এক – তিনি ক্লাসে হাজিরা খাতা আনতেন না । তার কারণ হলো তিনি চাইতেন আমরা যেন শুধু উপস্থিতির জন্য ক্লাস না করি বরং আগ্রহভরে তার ক্লাসে উপস্থিত থাকি । আর দুই – তিনি যখন ক্লাসে আসতেন তখন সব ফ্যান অফ করে দিতে বলতেন । যাতে করে তার বলা কথাগুলো শেষের বেঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছায় । একদিন অনেক গরম পড়েছিলো । ফ্যান অফ করার কারণে আমরা অনেকে ঘামা শুরু করে দিয়েছিলাম । তিনি পুরো ব্যাপারটা লক্ষ্য করা মাত্রই বললেন যে , আজ অনেক গরম পড়েছে তাই তোমরা কিছু ফ্যান অন করে দাও । আমার মনে আছে আমি সেদিন নিজের হাতেই ফ্যান অফ করেছিলাম । আবার স্যারের নির্দেশে আমি নিজের হাতেই ফ্যান গুলো অন করে দিয়েছিলাম । আমার প্রশ্ন পাঠকদের কাছে , একটা মানুষকে চিনতে হলে কত সময় লাগে ? এক বছর ? এক যুগ না কি সারাটাজীবন ? ভাবছেন অযুক্তিক প্রশ্ন তাহলে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন উত্তর পেয়ে যাবেন ।
এমন ছিলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এ.এফ.এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী । কিন্তু সেই ক্লাস যে আমার স্যারের শেষ ক্লাস হবে সেটা কে বা জানতো ? কে জানতো ম্যাকবেথ এরপর কি করবে তা হয়তো আর স্যারের মুখ থেকে শোনা হবেনা ? কে জানতো এই ক্লাসই স্যারের শেষ ক্লাস আর কখনো কোনদিন স্যারের সাথে আর দেখা হবেনা ? 


২৩ই এপ্রিল , দিনটা ছিলো শনিবার যেন এক ঘূর্নিঝড় হয়ে দেখা দিলো । এলোমেলো করে দিয়ে গেল আমাদের এই সাজানো গোছানো বাগানটিকে । হারিয়ে ফেললাম আমাদের এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এ.এফ.এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী কে । সন্ত্রাসীদের কালো থাবায় হারিয়ে ফেললাম । হারিয়ে ফেললাম আমাদের পিতৃতুল্য শিক্ষককে । বিভৎস ভাবে পড়ে থাকা ঐ লাশের সাথে কোনভাবেই মেলাতে পারছিলাম না আমাদের ম্যাকবেথ পড়ানো সেই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক কে । কেউ এরকম ভাবে একজন মানুষকে কিভাবে হত্যা করতে পারে ? একজন মানুষ একজন মানুষ কে কিভাবে এমন নৃশংস এবং নির্মমভাবে হত্যা করতে পারে ? তা ভাবতেও কষ্ট হয় এবং দম বন্ধ হয়ে আসে । সেদিন খুব সকালে এক বন্ধু এসে জানান দিলো যে , আমাদের স্যার আর নেই । তখন শুধু আমি অবাকই হইনি এর সাথে সাথে আশ্চর্যও হয়েছি এইটা ভেবে যে , আমাদের সিদ্দিকী স্যার কি করে কারো টার্গেট হতে পারেন ? কি করে কারো হিটলিস্টে তিনি থাকতে পারেন ? মূলত টার্গেট , হিটলিস্ট এই সকল শব্দগুলো আমাদের স্যারের সাথে কি অদৌ যায় ? জেনেছি স্যার সেতারা বাজাতেন , জেনেছি ক্যামেরার প্রতি তাঁর অনেক টান । একটা অতি সাধারণ জীবন ছিলো তাঁর । আমি তখন আর কিছুই মিলাতে পারছিলাম না । ক্যাম্পাসে ফিরতেই দেখলাম সেই বাগানটি আর হাস্যজ্বল নেই । সব ফুলগুলো যেন নেতিয়ে পড়েছে আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে । ভেতরটায় একটা আচানক ধাক্কা খেলাম । আমার যেন তখনো বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো যে , তিনি আর এই পৃথিবীতে নেই ।


আমরা আজ খুনিদের বিচার চাইনা , আমরা আমাদের স্যারকে চাই । আমাদের ম্যাকবেথ পড়ানো ঐ নীতিবান মানুষটিকে চাই । ঐ অতি সাধারণ এবং হাস্যজ্বল মুখটিকে আবারো আমরা একবার দেখতে চাই । যিনি হাসতে হাসতে আমাদের আরো একবার ম্যাকবেথের নীতিহীনতায় প্রশ্ন তুলে বলবেন – ঠাকুর ঘরে কে রে ? আমি তো কলা খাইনি !
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×