"রক্ষিতা" বেশ ভদ্র একটি শব্দ। এটাকে আরো বেশি কমপ্রেসড্ করে এখন বলা হয়, "কম্প্রোমাইজেশন"। মানে ভদ্রতার একটি চরম সীমায় অবস্থান করছি আমরা। "জোর যার মুল্লুক তার" - তত্ত্ব দিয়ে আপেক্ষিকভাবে কম শক্তিধর মানুষকে, সম্প্রাদায়কে, জাতিকে আমরা নিয়মিতভাবে জোরে চাপ দেবো এবং নিচে নামাবো। প্রয়োজনে বিশ্বের কাছে একটি বিভৎস দৃষ্টান্ত স্থাপন করবো। যাতে করে টার্গেট তার অপরাধের চেয়ে সমালোচনার ধৃষ্টতার অপরাধবোধে বেশি ভোগে। আর আপেক্ষিকতার ভার যাদের উপর বেশি তাদের সাথে গড়পড়তা বা গা এড়িয়ে যাবার স্বভাব দেখাবো। কেউ চাকুরী হারানোর ভয়ে, কেউ শক্তি হারানোর ভয়ে আর কেউ-বা বিভিন্ন ধরনের আক্রমণের ভয়ে। আমরা লেস-ইভিল এবং বেশ-ইভিল ডিডস্ সমূহ পৃথক দৃষ্টিতে দেখবো না। একটু উঁচু মঞ্চে উঠলেই নায়ক মান্নার ডায়ালগের বাস্তবতা ফুটাবো। দ্বি-পাক্ষীক/ত্রিপাক্ষিক যুক্তিতর্ক সামনে এনে আমরা সবাই নিজেদের সঠিক জায়গায় আছি বলে দাবী করবো। সুগার ড্যাডিদের নর্তকীদের জন্য সিনেমায় মন কাঁদলেও বাস্তবে আমাদের হৃদয় কাঁপবে না। কমবেশি আমরা সবাই তো কোনো না কোনো ড্যাডি; ফাস্টফুড ড্যাডি, চা-ড্যাডি, কফি-ড্যাডি, হালকা-চিনি ড্যাডি, শরবত ড্যাডি, রমজানে সহী-ড্যাডি ইত্যাদি।
আবার দিনশেষে, আমরা সবাই ভদ্র হয়ে সভ্য সমাজ গড়েছি বলে দাবী করবো। শুধু বাকপটুতায় মঞ্চ কাঁপানোর ধৃষ্টতা ও দৃষ্টতা দেখাতে ভুলবো না।
- অসুস্থ কারাগার থেকে
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৩৩