somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মি. বিকেল
আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

‘The Law of Reverse Effect’ ও ‘Reverse Psychology’ নিয়ে সংক্ষিপ্ত ধারণা

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আপনার কখনো কখনো এমন মনে হতে পারে যে, “আপনি যত তীব্র চেষ্টা করছেন আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য ঠিক তত বেশি আপনার লক্ষ্য আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।” আপনি আপনার জায়গায় বসে বসে ভাবছেন, এমন কি বাদ পড়লো! যার কারণে আপনি আপনার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে অক্ষম হলেন। অথবা, প্রিয়জন কে পেলেন না। কই চেষ্টার তো কমতি ছিলো না তবুও সবকিছু এমনভাবে পিছু হটছে কেন? ক্যারিয়ার, সম্পর্ক, লক্ষ্য বা টার্গেট এই সমস্তই অর্জনে মেধা ও কঠিন পরিশ্রমের বিকল্প নেই। কিন্তু একটি পরিচিত কথা আছে,

“You spared no effort, but you still failed to reach your goal.”

বিষয়টি নিয়ে অনেক ভেবেছি। কিছু কিছু লক্ষ্যই থাকে এমন যা আপনার দ্বারা হয়তো পূরণ হবার নয়। শুনেছি, কিছু কিছু মানুষ জন্মগ্রহণ করেন এমন মেধা নিয়ে, শ্রম শক্তি নিয়ে যারা খুব সহজেই একটি ঐতিহাসিক ফুট প্রিন্ট রাখতে সক্ষম হোন নিজ নিজ জীবনে। জরুরী নয় সেটা আপনার জীবনেও ঘটবে। মনোবিজ্ঞানে একটি বিষয় আছে, ‘The Law of Reverse Effect: The harder you try, the more difficult everything becomes.’, এর মানে হলো, “আপনি যত কঠিন চেষ্টা করবেন আপনার লক্ষ্য অর্জনে, বিষয়টি তত কঠিন হয়ে পড়বে।”

সাধারণত প্রবাদ বাক্যের মত আমাদের জীবন হতে পারতো, কষ্ট করলে নাকি কেষ্ট মিলে। কিন্তু এই রিভার্স ইফেক্টে আপনি পাবেন তার উল্টোদিক। মানে কষ্ট করলেও কেষ্ট মিলবে না। কারণ খুব শুরুতেই মনোবিজ্ঞানের দুনিয়ায় উপস্থিত থাকা এই শব্দটি আপনার ‘চেষ্টা’ বিষয়টিকেই খারিজ করে দেবে। আপনার ‘চেষ্টা/চেষ্টাগুলো’ হয়ে উঠবে অনর্থক এবং পাবে না কোনো পথ পুরো ইউনিভার্সে। বিষয়টি কিন্তু ভারি অদ্ভুত এবং ভয়ানক।

যদিও এই বিষয়টি অত যুক্তিসম্মত নয়! একজন মানুষ তার পুরো জীবনে ‘চেষ্টা’ করবে কিছু পাওয়ার জন্য অথচ দিনশেষে নিজেকে গ্রাউন্ড ফ্লোরে খুঁজে পাবে। অনেকটা লিফটে বাটন প্রেস করেই যাচ্ছেন ক্রমান্বয়ে ৫,৬,৭,৮,৯,১০ এবং উক্ত বিল্ডিংয়ে এই ফ্লোরগুলোর উপস্থিতি থাকলেও আপনাকে গ্রাউন্ডে এনে নেমে দেবে।

আমরা চেষ্টা করতে পারি এবং একটা কসমিক ওয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে সব বুমেরাং হয়ে যেতে পারে এবং যেখানে শুরু করেছিলেন সেখানেই নিজেকে খুঁজে পাবেন। কিন্তু জীবন বা চেষ্টা মানে কমন যে বিষয়টি জানি তাহলো, জীবনে দু’কদম সামনে নিতে হয় তারপর এক কদম পেছনে নিয়ে আরো একবার ভেবেচিন্তে পুনরায় সামনে দু’কদম ফেলতে হয়। সাধারণ যখন কিছুই ওয়ার্ক আউট করে না, ঠিক তখন।

যখন আমরা চেষ্টা করি তখন সে চেষ্টাতে আমাদের মানসিক শক্তিও ব্যয় করি সেটাকে সফল করবার জন্য, সেটাতে কামিয়াব হবার জন্য, সে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য। কিন্তু কিছু বিষয়ে আপনার মানসিক শক্তির ব্যয় অনেক বেশি থাকে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একজন স্মোকার এবং আপনি আপনার এই বাজে অভ্যাস ছাড়তে চান। খুব সম্ভবত জীবনের কোনো না কোনো সময়ে সকল স্মোকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নিচ্ছেন।

কিন্তু যেদিন থেকে আপনি সিগারেট জ্বালানো বন্ধ করলেন ঠিক সেদিন থেকে সিগারেটের প্রতি আপনার নেশা এবং টান আরো বেশি হয়ে যেতে পারে। হয়তো ছোটখাটো অ্যাক্সিডেন্ট ঘটেছে এরপর সিগারেটের পুরো প্যাকেট নিয়ে পুনরায় বসে গেছেন। কিন্তু মন থেকে আপনি সিগারেট ছাড়তে চান, অথচ যত বেশি ছাড়তে চাইছেন তত বেশি কোনো এক অদৃশ্য শক্তি সেটি হতে তো দিচ্ছে তো না-ই উল্টো একসময় সিগারেট ছাড়া আর চলছেই না।

কারণ হিসেবে ধরা হয়, ঐ ব্যক্তি/বিষয়/বস্তু/লক্ষ্য এর প্রতি আপনার মোট মানসিক শক্তি আপনার সিদ্ধান্তের মানসিক শক্তির তুলনায় অনেক বেশি। আর এটা যে শুধু সিগারেট পানে-ই শুধু হতে পারে এমন জরুরী কোনো শর্ত নেই। হতে পারে আপনার ফাস্ট ফুডের নেশা আছে, কোনো মাদক দ্রব্যের নেশা আছে। এমনকি কোথাও ঘুরতে গিয়ে সময় নষ্ট করা, ডায়েট কন্ট্রোল করতে দীর্ঘসূত্রতা... এ সবকিছুই জলে যেতে পারে যদি এসব ব্যাপারে আপনার সিদ্ধান্তের মানসিক শক্তি বেশি না হয় এসব কনজিউম বা ভোগ করার চেয়ে।

এটা এক ধরণের বৈশ্বিক এনার্জি যা আপনার পথ রুখে দেয়। এই রিভার্স ইফেক্ট ইউনিভার্সাল এনার্জি প্রিন্সিপল নিয়েই কাজ করে; যেমন গ্রাভিটি। উল্লেখ্য, “আমি করতে চাই” এবং “আমি চেষ্টা করবো” – এই দুটোর মধ্যে কোনটা আপনার কাছে বেশি এনার্জি তৈরি করতে পারে? অথবা, “আমার করা উচিত কিন্তু আমি আসলে এসবে খুব বেশি আগ্রহ রাখি না।” সাধারণত এসব ক্ষেত্রে আপনি হেরে যান। কারণ “আপনার করা উচিত” এমন যুক্তি আপনি আপনার মনকে দিতে সক্ষম হোন নি। তাই ইউনিভার্স আপনাকে সাহায্য করছে না, না ইউনিভার্সের কোনো মোশন/গতি সেটাকে চালিত করবে না।

যেটা করেছেন, সফল হয়েছে – সেখানে ইউনিভার্স একটি মোমেন্টাম সেট্যাপ করে দিতে পারে। যে মোশনে আপনার অবস্থান, আপনার বর্তমান ভাবমূর্তি একটি সুনির্দিষ্ট মোশনে চলতে পারে। বেশিরভাগ মোটিভেশনাল বই তে ২১ দিনে নতুন অভ্যেস গড়ে তোলার কথা বলে, সেটাও সম্ভব কিন্তু তবুও সেখানে এই রিভার্স ইফেক্টের এনার্জির প্রয়োজন পড়বে।

কোনো কিছুকে সাফল্যমণ্ডিত করতে একটি বার্নিং ডিজায়ার প্রয়োজন পড়ে। হোক সেটা কারো সাথে মিট করতে যাচ্ছেন, কোনো ইভেন্টে জয়েন করতে যাচ্ছেন, রোজ রোজ কোনো নিয়ম মেনে যেকোনো কর্মস্থলে যাচ্ছেন; যদি সেটা স্পেশ্যাল অনুভব না করেন তবে সেটি প্রথমেই নাকোচ করে দেওয়া জরুরী। যদি সেটা আপনাকে স্পেশ্যাল অনুভব না করায়, একটা ডিজায়ার জন্ম না নেয় মনে, তবে প্রথমেই তা ছাড়ুন। কারণ, আপনি ভুল পথে হাঁটছেন, এ পথে স্বস্তি থাকলেও শান্তি পাবেন না। অনেকক্ষেত্রে তো সেটাও হবে না।

যেটাই করুন এজন্য আপনার নিশ্চয় একধরনের বার্নিং ডিজায়ার থাকা জরুরী এবং এই ডিজায়ার থাকবে আপনার আত্মার সাথে সম্পৃক্ত। যদি তাই হয়, তাহলে ইউনিভার্স বা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আপনাকে সাহায্য করতে নেমে পড়বে। এখন যত আপনার ডিজায়ার আপনার আত্মার সাথে যুক্ত থাকবে তত বেশি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আপনাকে সাহায্য করবে, মোশন দেবে। কম হলে, কম।

কারণ আপনার মনের এই বার্নিং ডিজায়ার অনেকটা শার্প নাইফের মতন। এতে রিভার্স ইফেক্ট কে কেটে বিনাশ করে দেবে। আর না হলে আপনার চেষ্টায় কোনো মাত্রা/গতি পাবেন না। রিভার্স ইফেক্টে আপনি রেজিস্ট্যান্স অনেক পাবেন। কিন্তু আপনাকে তারচেয়েও বেশি স্মার্ট ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে হবে। তাহলে মুক্তি মিলতে পারে। হতে পারে আপনি সেটা আপনার ডেইলি রুটিনে প্রয়োগ করতে পারেন, প্রিয়জন কে পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু এই ‘চেষ্টা’ শুরুর আগ মূহুর্তে নিজেকে বলুন, “আমি কি শতভাগ প্রস্তুত?” উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে নিশ্চয় এগিয়ে যেতে পারেন।

এবার আসা যাক, ‘Reverse Psychology’ দিয়ে অন্যকে কীভাবে প্রভাবিত করবেন?

১. প্রথমত উক্ত ব্যক্তি কে পরোক্ষভাবে নিরুৎসাহিত করুন (বলুন, “আমি হয়তো কখনো এমন কাজ করতাম না।”)
২. দ্বিতীয়ত, এই কাজটা পাপ (বলুন, “আমি জানি, আপনি এটা কখনোই করতে পারতেন না।”)
৩. তৃতীয়ত, এটা আবার কোনো কাজ হলো (বলুন, “আমি হয়তো এমন পেশা কখনোই বেছে নিতাম না।”)
৪. চতুর্থত, তার ডিজায়ার আচরণ অনুযায়ী একটি তুলনা দিন (বলুন, “আপনি যা করছেন তা এটার চেয়ে ভালো।”)

যদি উক্ত ব্যক্তি নিকটতম কেউ হোন মানে ক্লোজ হোন তাহলে সরাসরি বলাটাই ভালো। কিন্তু ম্যানিপুলেট করা তুলনামূলক বেশি সহজ। আবার সংস্কার বাদী ব্যক্তি কে এসব বলে কাজের কাজ কিছুই নাও হতে পারে।

‘Reverse Psychology’ এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে,

(ক) কিছু মানুষ শক্ত ব্যক্তিত্বের হয় এবং তারা এই সিদ্ধান্ত পেয়ে গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু বারবার একই টেকনিক ব্যবহারে তারা সজাগ হয়েও পড়তে পারেন এবং নিজেকে আপনার দ্বারা ব্যবহৃত মনে করতে পারেন তাছাড়া বিশ্বাস তো ফ্রি-তেই নষ্ট হবে।
(খ) দূর্বল ব্যক্তিদের জন্য সেল্ফ-জাজমেন্ট নেওয়া অনেক কঠিন হয়। সুতরাং তাকে দিয়ে যা করিয়ে নিতে চাইছেন তা তো হবেই না উল্টো আপনি যা বলছেন তা নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করে নিতে পারে।

আবার আপনার উপর নিক্ষিপ্ত এমন ট্রিক/টেকনিক কে বুঝার জন্য ‘Reasoning’ এর ব্যবহার করুন। অথবা, কেন তিনি এসব সাজেস্ট করছেন সে বিষয়ে তার কাছে থেকেই ব্যাখ্যা চেয়ে নিন। সর্বশেষ, এমন ব্যক্তির থেকে দুরত্ব বজায় রাখুন। নতুবা আপনি অন্যের চিন্তার দ্বারা পরিচালিত হবেন।

ফটো: Flickr
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১২
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×