somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মি. বিকেল
আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

আধুনিক রাষ্ট্রে বুদ্ধিজীবীদের গুরুত্ব এবং সুস্থ বহুত্ববাদের চ্যালেঞ্জ

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একটি রাষ্ট্রের কিছু মানুষের মতামত ঐ রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। সবার মতামত অনুযায়ী একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব। এই মানুষগুলো হচ্ছে ঐ শ্রেনীর মানুষ যারা সাধারণত রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠীদের সিদ্ধান্ত তৈরির ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকেন (পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে)। বর্তমান জমানায় গতানুগতিক ধারার বুদ্ধিজীবীদের চেয়েও বেশি গুরুত্ব পেতে পারেন যারা অন্তর্জালে শক্ত অবস্থানে আছেন। অধিক সংখ্যক অনুসারী সংখ্যাও হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি।

পুনরায়, শুধুমাত্র অনুসারী সংখ্যা বা জ্ঞানীয় যোগ্যতা থাকলেই যে ঐ রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী আপনার কথা মন দিয়ে শুনবে এবং তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে এমনও নয়। শাসকশ্রেণী তাদের সমর্থিত চিন্তকদের তূলনামূলক বেশি গুরুত্ব দিতে পারেন। কারণ শাসকশ্রেণী যদি তার প্রকৃত চিন্তকদের গুরুত্ব না দেন তাহলে গণতান্ত্রিক মহলে তারা নিজেদের অবস্থান নিয়ে বিপদে পড়বেন। এই চিন্তকদের প্রেসক্রিপশন বারবার প্রয়োজন পড়ে যে কোন রাষ্ট্রের যে কোনো শাসকগোষ্ঠীর। চিন্তকদের কেউ কেউ সরাসরি শাসকগোষ্ঠীর সাথে যুক্ত থাকেন। বর্তমানে উন্নত মানের টেকনোলজি দ্বারা অন্তর্জালে বিস্তৃত নানান মতামতের একটি ‘সিনথেসিস’ গঠন করতেও সক্ষম হতে পারেন।

চিন্তকদের এই প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য ছাড়াও পরোক্ষ চিন্তকদের একটি দল থাকতে পারে। রাষ্ট্রের ভাড়া করা চিন্তকদের চেয়ে স্বার্থের বাইরে গিয়ে যারা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নিজের মতামত রাখেন তারা একইসাথে ঐ রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং বিপজ্জনক। এই চিন্তকরা স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারেন এবং নির্দিষ্ট মতামতের উপর একটি ভীড়ও তৈরি করতে পারেন। মোটাদাগে, কোনো রাষ্ট্রে বিপ্লবের চিন্তাও এঁদের থেকেই আসে এবং প্রয়োজনে এঁরা নির্দিষ্ট ভীড়ের সাথে মাঠেও নামেন।

আন্তোনিও গ্রামশির মতে এঁরাই হলেন প্রকৃত বুদ্ধিজীবী। রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা একটি রাষ্ট্রে থাকতে পারে। কিন্তু মুক্তির জন্য কাউকে না কাউকে পুরো বিষয় নিয়ে সামষ্টিক একটি ‘চিন্তা’ হাজির করা জরুরী যেটা বিপ্লব জন্ম দিতে পারে।

গণতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী, শাসকগোষ্ঠীর পক্ষে সবসময় সঠিক কাজ করা সম্ভব নয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণ যা চাইছেন তার সবটুকু না হলেও কিছু না কিছু করে দেখাতে হয়। জনগণের কাছে নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য। ফলে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল স্বাধীন চিন্তকদের মতামত কে বেশি গুরুত্ব দিতে পারেন। কারণ স্বাধীন চিন্তকদের মধ্যে পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার প্রবণতা কম।

আবার অন্তর্জালের কল্যাণে অধিক গণতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ার্ক কোন বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে দেয় না। এখানে জনগণ বলতে বুঝায়, একেকটি প্রোফাইল বা বিশেষ ব্যক্তি (Individual)।

১৯৮০-৯০ সালের পৃথিবী কল্পনায় গণতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ার্কে শুধুমাত্র হাতেগোনা কিছু মানুষের হাতে তথ্য থাকতো। আর তাঁরাই তথ্যের দ্বাররক্ষী হয়ে তাঁদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করতেন। খবরের পাতায় এবং সাদা-কালো টেলিভিশনের পর্দায় তা ভেসে উঠতো। মানুষ সেটাকেই বিশ্বাস করতো এবং ঐ সিদ্ধান্ত কে মেনে নিয়েই সামনে এগিয়ে যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে অত্যাধুনিক টেকনোলজি এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও দ্রুতগামী ব্যবস্থা থাকায় যে কোন রাজনৈতিক দলকে একই বিষয়ে হাজার ধরণ বা রকমের মতামতের মুখোমুখি হতে হয়। এই মিশ্র প্রতিক্রিয়া একইসাথে আশীর্বাদ ও অভিশাপ হতে পারে।

‘সুস্থ বহুত্ববাদ (Healthy Pluralism)’ হচ্ছে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বা ফ্রেমওয়ার্কে সবার মতামত জানানোর অধিকার থাকতে হবে। মানে হলো, ‘বাক-স্বাধীনতা’। এক্ষুণি রাষ্ট্রের একপ্রান্তে কিছু হলে আরেক প্রান্তের মানুষজন সেটা নিয়ে নিজের মতামত দিতে পারবে। এবং, এই মতামত জানানোর ক্ষেত্রে তাকে কোনো আইনী জটিলতায় ফেলা হবে না। বরং তাকে তার মতামত জানানোর ক্ষেত্রে উৎসাহিত করা হতে পারে। এই ধরণের রাষ্ট্রে শুধু চিন্তকদের মতামত নয়, সাধারণ জনগণের মতামতেরও গুরুত্ব থাকবে। এতে করে সবাই নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতে সক্ষম হতে পারে।

রাষ্ট্রের নানান গোষ্ঠী বা কমিউনিটি বা নির্দিষ্ট আদর্শের ভীড় নিজ নিজ মতামত জানাবে। সুস্থ বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ার্কে ‘আমি’ গুরুত্বপূর্ণ, ‘আমার’ মতামত গুরুত্বপূর্ণ। শাসকগোষ্ঠী যদি সমস্ত প্রাসঙ্গিক মতামতকে ধারণ করতে পারে, স্বাগত জানাতে পারে তবেই ঐ ‘গণতন্ত্র’ কিছুটা হলেও স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রুপ নিতে পারবে। এখানে ‘প্রাসঙ্গিক’ শব্দ বলতে রাষ্ট্রদোহী বা দেশদ্রোহী ব্যতীত যে কোনো মতামত কে বুঝায়। এবং কোন ধরণের মতামত বা আদর্শ বা ধর্ম ধারন করার জন্য তার উপর ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না।

কিন্তু এখানেই শাসকগোষ্ঠী একধরণের বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হোন। কারণ এতে করে তিল মানের ঘটনাকে তাল বানানোর যথেষ্ট ক্ষমতা জনগণের হাতে চলে যায়। আর এর ফলে সার্বক্ষণিক অস্থিরতা রাষ্ট্রে বিরাজ করতে পারে। নানান মতামত কে গ্রহণ করে ফয়সালা করতে হিমশিম খেতে পারেন শাসকগোষ্ঠী। অন্যদিকে, ‘The Dictator’ সিনেমার কর্তৃত্ববাদী সরকারের মত এমনটিও হওয়া উচিত নয়, “Do you want Aladdin News or Aladdin News?”

ফলে দেখা যায়, আমরা ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় কোন নির্দিষ্ট ভীড়ের চিন্তকে পরিণত হতে পারি। এর কারণ হলো, অধিক মতামত একসময় শব্দ দূষণে পরিণত হয়ে পড়তে পারে। ফলে শাসকগোষ্ঠী কোনটা কে ধরে সামনে এগোতে চাইবে তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এখানেই একরকম বাধ্য হয়ে নির্দিষ্ট শাসকগোষ্ঠী কিছু স্বাধীন চিন্তকদের চিহ্নিত করে রাখতে পারেন। এই চিন্তকদের প্রোফাইলিং পর্যন্ত করতে পারেন। এছাড়াও অত্যাধুনিক টেকনোলজি যেমন ‘পেগাসাস’ দিয়ে একটি ‘কমন’ এবং মোটামুটি সর্বসম্মতিক্রমে একটি মতামত তারা গ্রহণ করে থাকেন।

‘Saturated’ বা মাত্রাতিরিক্ত মতামত সামনে এলে কোনো স্বাধীন চিন্তকের পক্ষে সেটাকে ব্যবচ্ছেদ করা আর সম্ভব হয় না। কিছুটা ঝিমিয়ে পড়তে পারেন বা ঐ বিষয়ে একেবারে চুপ থাকেন অথবা অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চলে যান। এখানে স্বাধীন চিন্তকদের কাজ হলো, তার সমর্থিত ভীড় কে সমর্থন করে একটি ন্যারেটিভ তৈরি করা যেটা একইসাথে জনগণ এবং শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থা বজায় থাকে। রাষ্ট্রে অস্থিরতা কমে যায় এবং সহনশীলতা বাড়ে।

আবার প্রতিটি স্বাধীন চিন্তক-ই সমাধান কেন্দ্রিক নন, কেউ কেউ তো রীতিমতো নৈরাজ্যবাদী (Anarchist)। সুতরাং এদের মধ্যে এক ধরণের স্নায়ুযুদ্ধ সবসময় লেগেই থাকে।

আর এই নৈরাজ্যবাদী ও নৈরাশ্যবাদী চিন্তকদের জন্য সমাধান কেন্দ্রিক চিন্তকেরা রাষ্ট্রে আরো সৃজনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মনোযোগ দিতে পারেন না। রামকৃষ্ণ বর্তমানে বেঁচে থাকলে হয়তো বলতেন, “যত মত, তত পথ নয়”। সব বিষয়ে আমরা সবাই মতামত জানাতে পারি না। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে মনে হয় জরুরী নয় যে, ঐ নির্দিষ্ট বিষয়ে আমরা কতটুকু জ্ঞান রাখি বা ঐ মতামত প্রদর্শনে তার ফলাফল ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক হতে পারে সে সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।

ধরে নিলাম শাসকগোষ্ঠী জনগণের স্বার্থ বজায় রেখে রাজনীতি করতে চাইছেন। কিন্তু যখন তাদের স্বাধীন ও নির্দিষ্ট চিন্তকেরাও মিশ্র মতামত জানান তখন তারা সন্দিহান হয়ে পড়েন। সিদ্ধান্তহীনতা চলে আসে। আর এর ফলে নেতা কে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে যা কারো স্বার্থের সাথেই যাচ্ছে না। আর আমি এটাকে বলি, নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা।

আমার মনে হয়, মতামত জানানোর জন্য আমাদের কাছে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। খুব সম্ভবত সে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের মধ্যে ঐক্য তো অনেক দূরের বিষয় কখনো আলোচনাও হয় নাই। এই ধরণের রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ ভিত্তিগুলো দুর্বল হয়ে পড়তে বাধ্য।


Also Read It On: গণতন্ত্রে চিন্তকদের ভূমিকা: স্বাধীন মতামত বনাম শাসকগোষ্ঠীর প্রভাব
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের টাকা দিয়ে ইসলামি ব্যাংকগুলো কি জুয়া খেলে?

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৫



ইসলামি শরিয়া ভিত্তিক দেশের পাঁচ পাঁচটি ইসলামি ব্যাংকের আজ বেহাল দশা, তারা গ্রাহকের টাকা ফেরৎ দিতে পারছে না। সবগুলো ব্যাংকই এখন দেউলিয়ার পথে, বাধ্য হয়ে সরকার এই পাঁচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বি ডি আর বিদ্রোহ ও পিলখান হত্যাকান্ডের কিছু অপ্রাকাশিত সত্যঃ (পর্ব ০২)

লিখেছেন মেহেদী আনোয়ার, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭

বিডিআর এর ডিজি নিহত হয় সকাল সাড়ে দশটায়। ভারতীয় টিভি চ্যানেল 'চব্বিশ ঘন্টা' বিস্ময়করভাবে অতি অল্পসময়ের মধ্যে বিডিআর ডিজি ও তার স্ত্রী নিহত হবার সংবাদপ্রচার করে সকাল এগারটায়। ভারতের আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মানুষ মানুষকে কীভাবে এত অপদস্ত করে এই ব্লগে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

আমি তো কারও সাতেও নাই পাঁচেও নাই। এত সময়ও নাই মানুষকে ঘাঁটার। ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কেও তেমন কিছু জানি না। তবে পোস্ট পড়ে কিছুটা আন্দাজ করা যায় -কে কী রকম। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগ কি শিখিয়েছে?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৬






অপমান, অপদস্থ থেকে বাঁচার উপায় শিখাইনি? ওস্তাদ মগা শ্যামী পাহাড়ে বসেও এসবের সমাধান করতে পারে, আপনি সামান্য অসুস্থতার জন্যও ব্লগে মিলাদ দেননি, দোয়া করেছেন কার জন্য? খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

অন্তর্জাল থেকে নেওয়া সূর্যোদয়ের ছবিটি এআই দ্বারা উন্নত করা হয়েছে।

ইসলামের পবিত্র আলো ওদের চোখে যেন চিরন্তন গাত্রদাহের কারণ। এই মাটি আর মানুষের উন্নয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×