আন্টিঃ আমার মেয়ে এবার এইচ এস সি তে জিপিএ ৫ পেয়েছে । আপনার ছেলে কত
পেয়েছে।
মাঃ কি. তোমার মেয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে। আমার ওটা ছেলেতো নয় একটা গাধাঁ ।
টানাটানি করে পাশ করেছে।
আন্টিঃ তবুও তো কত পেয়েছে।
মাঃ না মানে, ৪.০০ পেয়েছে।
আন্টিঃ ওহ! তাতো পাবেই পড়ালেখা বাদ দিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়াই।
মাঃ হু, ওটাকে মানুষ করতে পারলাম না।
আন্টিঃ কেমনে পারবেন সারাদিন তো মেয়েদের পিছনে পড়ে থাকে।
কয়েক মাস পরঃ-
আন্টিঃ তোমার ছেলে কোন বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়েছে।
মাঃ ঢাকা বিশবিদ্যালয় । তোমার মেয়ের খবর কি?
আন্টিঃ এবার তো কোথাও পেল না, দেখি সামনের বছর কোথায় চান্স পায়। আর
তোমার ছেলে কি সাবজেক্ট পেয়েছে।
মাঃ পদার্থ পেয়েছে।
আন্টিঃ ও তোমার ছেলে তো একটা অপদার্থ তাই পদার্থ পেয়েছে।
পরের বছরঃ
মাঃ তোমার মেয়ে কোথায় চান্স পেয়েছে?
আন্টিঃ আমার মেয়ে তো তোমার ছেলের মত অপদার্থ নয়। মেডিকেলে চান্স পেয়েছে।
মাঃ ওহ, আচ্ছা আমি এখন যাই।
বাসায় এসে,
মাঃ তুই কখনো কি মানুষ হবি না সারা জীবন কি অপদার্থই থাকবি।দেখ পাশের বাড়ির
ভাবির মেয়েটা মেডিকেলে চান্স পেয়েছে আর তুই অপদার্থ নিয়ে পড়তেছিস। তোর
জন্য কত মানুষের কত কথা শুনতে হয় তুই কি করে জানবি। তোকে জন্ম দিয়েই
আমি ভূল করেছি। ...তারপর কান্না শুরু...
কয়েক বছর পরঃ
আন্টিঃ তোমার ছেলে কোথায় জব করতেছে।
মাঃ আমার ছেলে তো সোনার হরিণ পেয়েছে।
আন্টিঃ মানে,
মাঃ আমার ছেলে বিসিএস ক্যাডার। কাস্টমহাউজে চাকরি করে । তোমার মেয়ের কোথায়
চাকরি করতেছে।
আন্টিঃ মুখটা অন্ধকার করে , একটা প্রাইভেট মেডিকেলে।
মাঃ খারাপ কি ভাল তো।
এভাবেই চলতে থেকে মা ও আন্টি কথা বার্তা ............
আগে তাদের কথা শুনতে খারাপ লাগলেও এখন শুনতে খুব ভাল লাগে......
আমি এখন বিসিএস ক্যাডার......
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



