আনন্দধাম
কৈলাস ফুটে উঠছে
হিমালয় চিরে ভেসে উঠতেছে
কামুকের মুখ
এসবের মাঝেও যারা এড়া ষাড়
যারা সর্বসময়ের কাপালিকের ভেতর চুপ হয়ে আছে
তাদের জীবনানন্দ
তাদের কামনিরোধক শশি দাশগুপ্ত
ভূষণে বিচ্ছুরিত
ক্রোধবর্শা ছুড়তে ছুড়তে শেষে নারায়নেই ফিরছে
এদিকে বৃন্দাবন ফাঁকা হয়ে গড়ে উঠছে
কোক ফ্যাক্টরি
তবুও গোবর্ধন বেড়ে উঠছে এই দেহতেই
জ্বর আসছে
রসরতির গাভীগণ
তেড়ে আসছে হরগৌরীর দিকে
মহান লেজবিশিষ্ট পৈতাধারী বলছেন – কামাক্ষী ও যমাক্ষীর হৃদস্পনন্দনের মধ্যে
কোন তফাৎ নেই। এদের মন পিঞ্জরে মদ-মাংসের পাহাড়, এরা যোগাসনের তলে
কৃষ্ণরাধিকার লীলানাট্য লুকিয়ে রাখে, এরা নির্দিষ্ট নৈশপালে সবাই মিলিত হয়,
তাদের দেহতেই সহস্রস্ত্রীগণ ভোর হলেই স্নানে যায়...
তারপরেই আমরা দেখতে থাকি
পাথর খোদাইয়ে ভেসে উঠছে বামা মৈথুনই
প্রকৃষ্ট জগৎকারণ
অনেক নারীর শুভ্রতা বেয়ে নেমে আসছেন
বৈকল্য বাহনের চাকা
ইমেজের পাখোয়াজ
বসে আছেন আমাদের যাপিত জীবনের অবতারে
তার কোন রুদ্র করোটির ইশতেহার
নেই
তার আছে প্রকৃতির বৈভব ও উন্মাদনা
আমাদের আদ্যশক্তির পদ্মে জন্মেছিল
যেই নগ্ননদী
যেই পাহাড়ের ঢালের পরিধি
যেখানে শিবানীর অগ্নিকুণ্ডের কাছে সমস্ত নদীমুখ
উপুড় হয়ে আছে
উপলব্ধির সাধন ঘরে আমি মহাসুখ চাই না
আমাকে কালী-তারার কনুয়ে
ছাপ হিসেবে রাখো
শিবশক্তির অন্তরালে আমিও চাই অবিধেয় মোক্ষস্বাদ
এই হচ্ছে তন্ত্র ভোগের সীমানা নির্ধারণীর অস্ত্রাগার
সুখ সহায়ক পাদ্রী উপস্থিত আনন্দ
আর আনন্দধাম হইলো
আমাদের সংসার ধারণ ও ধারণাসমূহ
আমাদের সতেরো গণেশ
এ বসন্তে মুচিপাড়া তারাশুন্য হবে
এই ফাঁকে ন্যায়সূত্রের ভূক্তি বদলে দিচ্ছে
জড়বাদী চৈতন্য
অভিজাত শ্রেণির ধর্মশাস্ত্র ও দর্শনের বিকশিত
বৈঠকখানায় ঢুকে পড়ছে গণ-মানসপ্রসূত
সবুজ মথ
উঁচু মানুষেরা আত্মরক্ষার জন্য খুলে দিয়েছে
ভয়-বাজ্ঞ্ছার সেরেস্তা
কালকে দুই অধ্যাপকের তর্কযুদ্ধে ছিলাম
একজন নাইটশিফটের পক্ষে যুক্তি উপস্থান করছিল
অন্যজন এর বিপক্ষে
রাষ্ট্রশালার নিচুস্তরের মানুষের রীতিসূক্তিতে
এদের কোন ন্থান নেই
ওই নিচুদের যাদু-বিশ্বাসে পরিবর্তন এসেছে
ওদের সিদ্ধির সহায়ক শক্তির শস্যভাণ্ডার ভরে উঠছে
বাজ্ঞ্ছাপুরের কেশকম্বলীর কাছে আমিও গেছি
তিনি বললেন, নারীর হাত থেকে বীজসংরক্ষণের ভার
চলে গেছে কোম্পানীর হাতে
কোম্পানীর প্যাকেটজাত বীজে
নারীর অবদানের কথা লেখা নাই
কোন ইষ্ট-শক্তির আবির্ভাবে নারীর হাত থেকে
খসে যাচ্ছে বীজসংরক্ষণের ভার?
ওই অরি-শক্তির দমন ও ইষ্ট-শক্তির আবাহন প্রয়াস
তৈরি করছে গণ-বিশ্বাস
শাকসবজির উৎপাদন বৃদ্ধি
অজ্ঞাত অমূর্ত বাসনার শিলাখণ্ডে সিন্দুর মাখা
আমাদের গণেশ
তিনিই আমাদের গণপতি
আমাদের সতেরো গণেশ মৈথুনরত আছে
মায়াদেশের গণপতি ধনেশ্বর
মায়াদেশের গণপতি ধনেশ্বর
বিত্তশালী বিশ্বাসের কাঁসায় আজো দেখা যায়
বদনার তলপেটেও একে দেখেছি
সে আদিতে চামড়ার কারবারীদের দেবতা ছিলেন
কেউ কেউ তাকে বিঘ্নরাজ হিসেবেও চিনতেন
ইনিই আমাদের কেলো চাঁদ
ধাঙর ও মুণ্ডারা এ চাঁদের পূজো করে
বাঁশির ফুটোগুলোর ফাঁকা স্থানে
চাঁদ কেলোর বসতখানা বলে মনে করে
সূর্যপূজারী সেবকরাও
এ চাঁদেই নাকি আনন্দগিরির সুড়ঙ্গ আছে
ভ্রমণপথ
No space for black cat
He is walking on the slow motion mirror
Some stings are talking with their own blades
Clouds are passing the road
এবার মস্তিষ্কের মুগ্ধ প্রান্তরে উড়ে যাবে পাখি
কোকের ঠান্ডা গ্লাসে আমরা হাত রাখবো
আমরা দেখতে থাকবো অধ্যাপক পত্নীর হাটু পর্যন্ত মেঘ
ভাঙা ব্লেডে ভেসে থাকা সমুদ্র
পিঠের উপর ছড়িয়া থাকা মথুরাপুর কিভাবে
উলুশিল্পের বেণীবনে যায়
কিভাবে রাস্তা পার হয় একটা বেড়াল
এরকম সময়ের ভেতর তলিয়ে যাওয়া খাদের কিনারে
দাঁড়িয়ে থাকে আমার মহিষ
পাখি অন্তরে নৌপথের স্মৃতিশাস্ত্র ঘুমিয়ে আছে
আলো নিভে যাওয়া বাড়ির দেয়ালগুলোতে
আমাদের জংলাপনা ছড়িয়ে আছে
কাশবাগানের পাশে যে কোন দিন গড়ে উঠতে পারে
ত্বকশিল্পের ফুলেশ্বরী হোম লিমিটেড
খড়ের গাদার রোদ পর্যন্ত গড়ে উঠেছে ভ্রমণ পথ
মহিষের জন্মদিন
সন্দেহ বাড়ছে সেই সাথে সংশয়ও
বাজার ব্যবস্থাপনার ভেতর ঢুকে পড়ছে মরিচ চাষি
কীটনাশক কোম্পানীর ডানায় তৈরি হচ্ছে
মৌচাক
কৃষকরা বাজারে পণ্য নিয়ে গেলে পাহারাদারের
ছায়া সার্বক্ষণ সঙ্গ দিবে
আমরা সোফার পাশে সরিয়ে রাখবো হলদে দাঁত
দুমড়ানো টাই
পাদুকার পাশে আমরা ফেলে রাখবো
চুইংগাম
মাছের কাঁটায় লেগে থাকা কনিষ্ঠ আঙুলের ব্যথা
এরপর বাদামের খোসায়
ছেড়ে দিবো নিজেদের পোষা সাপগুলো
দড়ি বেয়ে যারা উপর থেকে এখনও নামেনি
তাদের দেহগুলো আমরা পাহারা দেয়া শুরু করবো
সামনের বসন্তে
আজ মহিষের জন্মদিন
রাইটিং কালচার
পদ্ম কুর্নিশ করি
হরপ্পায় আবিষ্কৃত সীলে নগ্ন ব্রিজ তার দু পা দুদিকে ছড়ানো
মাঝখানে নদী
নদীর পাড়ে স্তনের ক্ষেত
দুধের নহরে নদী ভেসে যায়
দেবতা কেলোর হাতে
ডালিম আভা
তাই তিনি কেলোর সাথে সিন্দুর পাড়া যান
তরমুজ চাষির সাথে কথা বলেন,
শেষে প্রসবিনীর পাশে উমা রাণীকে বসিয়ে রেখে চলে আসেন
মরিচ ক্ষেতে।
উৎপাদনী ভূমির প্রজননক্রিয়ায় কেলোর কোন হাত নেই
- এ কথা কেউ বিশ্বাস করে নাই
- একমাত্র যৌন শাস্ত্রের জনক - কালো ঝুঁটি কিছুটা জানেন
মৈথুন-প্রজনন পার হলে প্রসব-উৎপাদনের ক্ষেত্র
আনন্দপূর্ণ গোলাঘর
পিতৃপ্রাধান্যর কারণে বীজ সংগ্রহের পর তার অধিকার
চলে গেছে কেলোর চেলাচামুন্ডাদের হাতে
মাতৃপ্রাধান্যে এখনো ক্ষেত্র
যে কারণে তরমুজ ক্ষেতে যাই মরিচবনে গিয়ে বসি
পিঠের উপর ভেসে ওঠে গৌতম সমাধি
অগ্নিশিখার হা করা মুখের ভেতর উড়ে গিয়ে চুপ করে থাকি
স্ফুলিঙ্গে কার যেন গর্ভ ভরে উঠছে...
দুই
শাকাম্ভরী মশলাবনে গেলে আমাদের কলাগাছের তলে
বৃষ্টির প্রতিক্ষা করে ভূমিরূপা যজ্ঞীয় অগ্নি
মানকচুর পাতায় নিজদেহ লাফিয়ে ওঠে
শস্যের উদগম যেখান থেকে মুখ বের করে তাকায়
সেখানে প্রাণধারকের সাথে দেখা
তাকে জিজ্ঞেস করি – শস্যবধূর নগ্নমূর্তি কোন দিকে?
বসুমাথা আড় চোখে আমাকে দেখে
হেসে ফেলে
‘মিথুন থেকে সন্তান জন্ম হয়’ এই কথা বলে
তিনি সেলাই কাজে মনযোগ দেন
আমি মুণ্ডা পাড়ার বাজ্ঞ্ছাধারীর কাছে গিয়ে দাঁড়াই
অশোকের পোড়ামাটি থেকে বের হয়ে আসে
জগাই মাধব
তারা দুই ভাই তারা গলাগলি ধরে নদীর ঘাটে যায়
দোহাইঃ শোক শাস্ত্রের পাদটীকা
গোপীভাবে পুরুষ ও প্রকৃতির সঙ্গমস্থলই পৃথিবী
এজন্য প্রকৃতি কেলো ঠাকুরকে মোহিত করেছিল এর ফলেই
নারীর বশালয়ে ঠাকুরের পদছাপে নারীরই আরেক রূপ
মোহিনীর জন্ম হয়
প্রকৃতির সক্রিয় বাহুর নদীতে ভেসে এসেছিল
যেই আতাফল
যেই সুপ্ত শক্তির প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে
আজকের শপিংমল
হলুদ মরিচের ক্ষুদ্র কারখানা
পাতি বুর্জোয়ার দোঁহা কোষে ব্রক্ষ্মাণ্ড ঘুমিয়ে থাকে
সেলাইমেশিনের শব্দে শহর ভরে উঠেছে
প্রকৃত ঢেউয়ের আড়ালে
দেহভাণ্ড মেঘমালায় আমাদের কালিপদ ঘুমিয়ে আছে
নারীর লাস্য ও হাস্যে ফুটে উঠছে মনীষা প্রান্তর
শহরে অপরাজিত গিটার
অপরাজিত গিটার একটা মহাকাল সুরে বেধে, তারে বলো সকল তারা হারিয়ে গেছে পাহাড় ঘেরা জলাশয়ে, সন্ধ্যার বনভূমি তাকে শাদা ঘুমের দেশে নিয়ে যেতে চেয়ে এখনও মজে আছে বৃন্দাবনে, ঋতুবদলের ক্ষণ পেরিয়ে যায়, রক্তপাতায় নদীরচিত ঢেউ দূরে কার হাতে নাচে? তাকেই বাক্যের ভেতর দেহদানের উৎসবে নিয়ে যাবো বলে বসে আছি বসে আছি, জুয়াড়ীর আস্তাবলে বসে আছে বিহঙ্গে যুক্ত মেঘের কিনার, শোনাও তুমি পতঙ্গের সন্ধ্যাস্নানের গান...
Evil lives own floor
it is kissing the ground
But self does not know
When Leaves cry on the time mirror
Body makes thousands of floors
সেখানে বিন্দু বিন্দু পানির ফোটা ওর ভেতর প্রাণ, বৃক্ষ দেখতে গিয়ে যারা ফেরে নাই মর্মব্যথার স্বরে, তাদের কাছে ওই বিন্দু বিন্দু পানির ফোটা দৈবজননীর স্তন নিঃসৃত অমৃত, যে দিকে হেঁটে যাই সেদিকেই পাখিশিকারির ফাঁদ, সময়ের ভাঙা আয়নায় যতরকম নৈশদেবতা দেখি, তাদের পূর্বেকার ভোলানাথ ভাসতেছে কার রামধনুতে...কোন দিকে বইছে হাওয়া, কার কাছে মেঘেদের গোপন ষোড়শী...
নদী পথে ভেসে যায়
ব্যক্তির অচেতন পাতায় ফুটে উঠা ইশারা
মনে হয় হাতের ভেতর আয়নার প্রতিচ্ছবিসমূহ ভেঙে পড়ছে
ভেসে আসছে
কুসুমের ছিন্ন হওয়া রাত নোলক
পাতাঝরা শব্দের মধ্যে লুকিয়ে আছে সত্য
কতটুকু সত্য মানুষ জেনে গেলে নিজের সাথে প্রতারণা
করতে পারে? যে সত্য উপাসক
আজো জানে নাই প্রেরণা কুঠারে দ্বিখণ্ডিত পদ্মের
সীমানা কতদূর
সে কি কখনও
কালো পেশির শ্যামসুন্দর বন্দরে পৌছাতে পারবে?
বৃত্তভাঙার পর ওই তো আমাদের পরাজিত মুখের মতো
বন্দরে
আগেই পৌঁছে গেছে বসন্ত বোঝাই নৌকার সারি
এর পরেই সত্যবাদীর ঘরে
গিয়ে আমরা দেখি একজোড়া কাঠের বন্দুক
দেওয়ালে হরিণীর শিঙ
এইসব দেখে ডুবন্ত জাহাজের তলে আমাদের দেহ কাঁপে
আমরা ঘড়ির কাঁটা খুলে পাখির ডানা লাগিয়েছি
কাঁটাহীন ঘড়িগাছে
এখন অনেক পাখির আওয়াজ শোনা যায়
অনেক পায়ের শব্দও
তাদের ডানায় সবুজ পাতার সঙ্গীত
বসন্ত হাওয়া
আমরা আবার ফিরে যাবো হলুদ ঘাসের ডাকঘরে
আমাদের বিলি হয়ে যাওয়া আঙুল
সহস্র রাধাচূড়ার চোরা চাহনি আমরা ফিরিয়ে নেবো
দেহ বেয়ে উঠবে লতার মতো এক
একটা জীবন
রক্তমাংসের ভেতর কেঁদে উঠবে পরিত্যত্ত শহর
##
বাতাস যেদিক দিয়ে আসলো সেদিকেই তো পরাস্ত বেলুন, লাল ঘোড়া। আর যে দিকে মাদি কুকুর ও জানালা, সেদিক দিয়ে কে আসছে? তার রাগি চোখের আলো এসে ঠিকরে পড়ছে পায়ের কাছে, এতে পায়ের দিকে তাকাই দেখি রঙমহলের দাগ ওঠে নাই, তবু ধূধূ বায়ু বয়ে এসেছে সে আমার ঘরে...
ষাড়ের লড়াই
বলি উৎসবে কুয়াশার ভেতর ঝুলেছিল বধির মাশরুম
এ দৃশ্যের জনক যেই মশলা ক্রেতা
তার পিছনে কোন সমুদ্র নেই হাসুলির কোন বাঁক নেই
মিছে আশায় বসিয়ে রেখে
সেও মাঝে মাঝে ঘনশ্যামের সাথে বাইরে যায়
ঋতুস্বপ্নের অচেনা প্রতারণা নিয়ে
ফিরে আসে যখন তখন তাকে দেখে মনে হয় এতো
মাশরুম চাষির জমজ ভাই
রক্তমাংসে দুঃখি তারারাও ফেরে
পাতার ধ্রপদে একাকী যে বনভালুক কাঁদে
তার কাছেই
ফেলে আসা আমাদের পাপবোধ আমাদের পরমানন্দ
মাথা নিচু করে থাকে
আমরা বৈঠামুকরে মৎস্য আঁশের অভ্যন্তরে
বশ্যতার জানালা কাচ
যারা বসে আছে ফাঁদ পেতে আমরা তাদের জন্য
প্রতীক্ষা করি
তাদের দেহ শুকানো শেষ হলে শুরু হয় ষাড়ের লড়াই
##
অনেক হলুদ অনেক রাত অনেক পাহাড়ের দিকে অনেক তারার মতোন কেউ নেই যাকে মনে হবে গভীর সেতার জলের ভেতর কাঁধ ডুবিয়ে আবার ভেসে ওঠা আবার ডুবে যাওয়া সেই কালো রাতের মতোই যার কাছে রেখে এসেছি সীমানা নন্দন...
##
বৈশ্যদের ট্রাক ড্রাইভার প্রতিদিন তাড়ি খায়
তার বংশের বড় সন্তান সম্প্রতি হাইব্রিড
মূলা চাষের খামার স্থাপন করেছে
সারা বছরই অনেক জাতের মূলা গজাচ্ছে খামারে
তাদের কচি কচি পাতা
এই হাইব্রিড মূলার পাতাও সত্যি সত্যি সবুজ
এই মূলার পাতা শহরের লোকেরা শাক হিসেবে খায়
আমাদের গ্রাম দেশে এই পাতাই চাষার গরু ছাগলে খেতো
জৈবসারও তৈরি হইতো এই পাতা ও গবর-লাদি থেকে
এখন গবর-লাদি খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল
দেশের কৃষিবিজ্ঞানীরা জৈবসার ব্যবহার করার গুরুত্ব বিষয়ে
প্রতিদিনই সেমিনার বা মাঠপক্ষ উপলক্ষে
বয়ান ছাড়ছে
মূলার পাতা বিক্রেতার কাছে শহরের মানুষ ধীরে ধীরে
বশ্য হয়ে উঠছে
মূলার পাতা রপ্তানি করে যেদিন ডলার আসবে যেদিন
আমাদের সব ফুটো রাস্তায় পিচ উঠবে
সেদিন ট্রাক ড্রাইভারও অধ্যাপকের মতো সিঁথি কাটবে
সাম্য প্রতিষ্ঠায় যারা মদনগঞ্জে আজো যান নাই
তাদের জন্য খালি পড়ে থাকবে
রাইফেলের ভাঙা বাটে পুরনো আঘাতের চিহ্ন
প্রতারণার ফলকে হেসে উঠবে গৌরী সেন
##
পরম মিতার কাঠফুলে জন্ম নেওয়া এই সময় এই জগৎ যখন প্রভু মান্য ভূতের কাছে দিকচিহ্ন হয়ে ওঠে তখন সেই চিহ্নের দিকে ছুটে যায় আমাদের হরমোন আমাদের কাজ্ঞ্চনজংঘা...
পড়ে থাকে টুথব্রাশ সেভিং ক্রিম AXE LOVE
মোশন পিকচার হেরিটেজ
আমি যা বুঝি তা মূলত বিস্ময়
ক্রমান্বয়ে বিবর্তিত চৈতন্যের চওড়া পিঠে
ভাঙা বিশ্বাসের কোন গর্জন নেই
আছে মুগ্ধতা
ভুল মঠের পাঠ নিতে এসো না
তার চে’ ধর্মতান্ত্রিক রেলে চড়ে ভ্রমণে যাও
বিস্মিত হওয়ার পরিবর্তে
সহস্রস্ত্রীগণের হাহাকারে ভেঙে পড়ছে
অবিশ্বস্ত দেয়াল
দেহপন্থীর বিপরীতে বাঘিনীর ঘাড়ে
চৈতন্য ফেরত ঘুমিয়ে আছে
[]
উনার ভেতর সত্যিই কোন বেড়াল-স্বভাব ছিল না। পার্শ্ববতী সমস্ত মানুষের প্রতি তিনি ছিলেন উদার। দেহপন্থী হলুদ সওদাগর। বাশমতির বাক্যের ভেতর তিনি পুরে দিতেন রাজদশা। উত্তঙ্গ সময়ের জরাগ্রস্ত খাঁচায় পাখি পুষতেন। চীনাপন্থাসহ আরো সব পন্থার ভেতর তিনি পদছাপ খুঁজতেন। তিনি ছিলেন আমাদের কাগজের রঙিন ড্রাগন।
তার ঘড়ির কাঁটায় নেশামত্ত স্টেশনের হাওয়া এসে প্রতিদিন কাঁধের নদী ছুঁয়ে যেতো। সুকেশি সমস্ত প্রজামুগ্ধ বেলেভূমির তরমুজে তিনি আঁচড় কেটে দেখতেন, ফালি করা বিশ্বাসের মাঝখানে তিনিও খড়ম পরে হেঁটে যেতেন। অবাক হয়ে আমরা দেখি মালো পাড়ার মানুষেরা এখনো অন্ধজমজের মুখে ভাত তুলে দিচ্ছেন। তাকে গোসল করিয়ে রোদে শুকিয়ে আবার ঘরে তুলে রাখেন।
উনি নিয়মিতই মালো পাড়ায় যেতেন। যাওয়ার সময় দেহ থেকে খুলে রাখতেন পৌরুষ। সমস্ত দহনের চাকা একাই কাঁধে নিতে চেয়েছিলেন। তিনি আমাদের কুয়াশামাস্তুল। আজ একটা কুকুরের পাশে উনাকে দেখলাম। কিছুক্ষণ পর দেখলাম কুকুরটা উধাও, উনার ভেতরও কুকুর ছিল।
উনি খুব একা জানালা ছিলেন। উনার অর্ন্তমুখী কোন রান্নাঘর ছিলনা। উনার ছিল নিজস্ব কাঠের অন্তরে নির্মিত বাঁশের সাঁকো। উনি পানির উচ্ছ্বলতা দেখতেন। দেখতেন পানির ভেতর তারই অন্ধজমজ। উনার পোষা বেড়ালগুলোর মতই আপনাদের জড়তা ভেঙেই
উনি গড়ে তুলেছিলেন হলুদের মোকাম। আদার কারবারও ছিল। তেজপাতা আনতেন শ্রীমতির বাজার থেকে।
উনার একেবারেই কোন প্রকার গর্জন ছিল না।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:০৫