ইঞ্জিন ও মায়াডোর
হরণ করো রাত্রিনদ
জ্বলে উঠুক
অগ্নিমায়ার রেশমিধাম
গূঢ় আকাঙ্ক্ষায়
ফুটুক ছুরিকা
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টিলার বিষাদ
কামধেনু
মুছে যাওয়া পথের পাশে
দেখো মহিষ
দেখো বদলে যাওয়া রুমাল
পুষ্পরেণু
তছনছ করে
উড়িয়ে নিয়ে চলো
ত্রিশূলে
কুয়াশা দর্পণে
ওইতো কুঞ্জবনের পাখি
ওইতো
কলকবজার ঘর্ষণ
নেচে উঠছে
আমাদের ইঞ্জিন ও মায়াডোর
কাকরোল
ফাঁদ পেতে রেখে ফিরে গেছে, দেহ থেকে মুছে দেয়া
রাত্রি ঢেউ উড়তেছে এখন কার বল্মীকে?
একা একা কি ফিরবে আবারও ফাঁকা বালুভূমে?
সাজিয়ে রাখছি আমি দৃষ্টি-জলাভূমি
জ্বলে উঠছে জানালায় একা একখানা মনুষ্য কাকরোল
মনুষ্যচিন্তার চর্বি
একখানা অস্পষ্ট মুখোশ
একদলা
রক্তমাংসের দর্পণ
ছিটকে পড়েছে মনুষ্যচিন্তার চর্বিতে
গুটি বসন্ত
বিদ্যুৎঝলক
ক্ষুদ্র বেদনার ডানা এখন ক্লান্ত
ঝিরি ঝিরি
হাওয়া বেয়ে উঠে আসছে
অজস্র মস্তক
বিস্মৃতি ঝিঙেফুল
দেখছি শিথিল দেহ
রাজমহিষীর গহনতলে
হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে দীর্ঘশ্বাস
রেণুমহল
বধির ভঙিমা
কত কথা বলি
সব হাওয়ায় ভাসে
টগবগে দেহ
তাঁর লাবণ্য ছুঁয়েছে!
কুয়াশার গলিপথে ওই তো ভাঙা পাথর
যোগিনীর খোলা পিঠ
দেহতরঙ্গে জেগে উঠছে কাঠের ফুলকি
বাসনার তলপেটে দেখি মন্দাকিনী
সেজেছে ছুরিকা
তাই উধাও টকটকে স্নেহের ডানা!
রাত্রিশূলে হেসে উঠছে আমার বধির ভঙিমা