অথচ আপনি পরিপূর্ণ সমাপ্তি নিয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নিতে পারবেন না৷ মৃত্যু জিনিসটাই জীবন ঘড়ির হঠাৎ পরিসমাপ্তি বুঝায়। কারো ঘড়ি রাত ১.২০ মিনিটে, কারো দুপুর ১২.৩৭ মিনিটে স্টপ হয়ে যাবে। অফিসে যাওয়ার সময়, স্কুলে যাওয়ার সময় মৃত্যু এসে যাবে। আপনার মাথায় তখনও পরবর্তী কাজের চিন্তা মাথায় ঘুরছিল। নামাজে মৃত্যু হলেই সমাপ্তি টা বুঝি সুন্দর? আপনি নামাজের নিয়ত বাঁধার আগেও ভেবেছিলেন নামাজ শেষে অমুক কাজে অমুক জায়গায় অমুক জনের সাথে দেখা করা লাগবে। বলুন ভাবেন নি?
কোরআন পড়ার সময় মৃত্যু? পরের পৃষ্ঠা পর্যন্ত যাওয়ার আপনার খুব ইচ্ছা ছিল। বলুন ছিল না? কিন্তু যেতে পারবেন না। পড়া অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে।
হাসপাতালে অথবা বাসায় বৃদ্ধ অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুর ক্ষণ গোণা বৃদ্ধার মৃত্যুও পরিপূর্ণ সমাপ্তি নয়। ঐ লোকেরও বাথরুম থেকে বেড়িয়ে পত্রিকা পড়ার নিয়ত ছিল। রুম পর্যন্ত আসার আগেই স্ট্রোক করে বসলো বেচারা! তারপর হাসপাতাল, এরপর আজরাইল (আঃ)। শেষ। যতদিন আয়ু থাকবে আপনার পরবর্তী কাজের উদ্দেশ্য থেকে যাবে৷ কাজ অন্যকেউ করে দিলেও আপনার করা হবে না, আপনার জন্য অসম্পূর্ণ। আমরা কেউ-ই ভাবিনা এখন মৃত্যু হবে। কেউ না। আমিও কিছুক্ষণ পর ভাববো না। কিন্তু হুট করেই যে মৃত্যু হয়ে যাবে। জমানো টাকা ব্যাংক পর্যন্ত জমা দিতে যেতে পারবেন না হয়তো। অপরিপূর্ণ রয়ে যাবে। কালকে অফিসে বসের কাছে ফাইল জমা দিতে পারবেন না হয়তো। অথবা কালকে সিরিয়াস এক প্যাসেন্টের অপারেশন করবার কথা। কিন্তু আপনিই নাই হয়ে গেলেন।
এটাই তো মৃত্যুর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। কাজের অপরিপূর্ণতা থেকে যাবে কাজের নিয়তটা সর্বোচ্চ মনে ধারণ করা যাবে এইতো। হুট করে হয়ে যাবে। অনেকে বলে "অমুক ব্যক্তি সব গুছিয়ে যেতে পেরেছেন"। কিন্তু পারে নি। নিজের একটা কাজ রয়ে গিয়েছে ঠিকই।