আগামীকাল সালমার বিয়ে, বাড়ি ভর্তি আত্মীয় স্বজন, সবাই আনন্দে বিভোর, ঐদিন বিকালে ডিসি সাহেবের কাছে এক টেলিফোন এলো, ফোনের অপর প্রান্তে এক জন যুবক, বলল- স্যার অমুক উপজেলার অমুক ইউনিয়নের অমুক গ্রামের সনোয়ার আলির মেয়ের আগামীকাল বিয়ে, স্যার এই বিয়ে বন্ধ করতে হবে, কারণ বর দুবাই প্রবাসী এইডস আক্রান্ত আমার বন্ধু। ডিসি সাহেব বললেন=আপনি কেন মেয়ের ফেমেলীকে জানালেন না? যুবকটি বলল=স্যার, আমি গলা কেটে বললে ওরা বিশ্বাস করবেনা, মনে করবে হিংসাবশতঃ আমি বিয়ে ভাঙ্গতে চাচ্ছি, তা ছাড়া বর আমার বন্ধু হলেও তারা এলাকার প্রভাবশালী,এটাকে ওরা সহজ ভাবে মেনে নিতে পারবেনা। ডিসি সাহেব বর কনের ডিটেলস নিয়ে সাথে সাথে নির্দিষ্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দিলেন ইমিডিয়েটলী বরের বাড়ি গিয়ে বরকে থানায় এনে গঠনার সত্যাসত্য যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।
সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে দিলেন বরের বাড়ি, পুলিশ দেখেই বর পলাতক, পুলিশ বরের ভাইকে ধরলো এবং চাপ দিলো, বরের ভাই পুলিশের কাছে স্বীকার করলো,যে সত্যি তার ভাই এইডস রোগী।
পরে পুলিশ কনের বাড়ি এসে সব কথা খুলে বলল, নিমিষ সবার মনে আনন্দ উবে গেল, সবাই মিলে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলো কিন্তু বিয়ে পণ্ড হয়ে গেলে ও কনের নামে অলক্ষণা যুক্ত হবে তখন এই নিরপরাধ মেয়েটির বিয়ে হওয়াটা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে! তাই সবাই মিলে পাশের গ্রামের এক ভদ্রঘরের ছেলের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেওয়া হয়।
যা হউক ভাগ্য গুনে সালমা বেঁচে গেল! কিন্তু অন্য সালমা কিংবা সালামেরা কেমন করে বাঁচবে?
তাই আসুন আমরা আমাদের আশে পাশের সকল কে সচেতন করি, বিয়ের আগে যেন বর ও কনের বাধ্যতা মুলক রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেই, রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানাই , রাষ্ট্রিয় ভাবে আইন প্রয়োগ করা হয় বিয়ের পূর্বে রক্ত পরীক্ষা ছাড়া যেন কোন বিয়ে সম্পন্ন না হয়।
মুনিম