জনগনের ভোটে নির্বাচিত মেয়রদের বহিষ্কার করা কতটা বুদ্ধিমত্তার কাজ ???
এই ধরণের নোংরা রাজনীতি না করে বরং ওই সব এলাকায় সকল প্রকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বন্ধ করে দিলেই তো বুদ্ধিমতী জনগণ আসল শিক্ষাটা পাইতো !
মেয়রকে শিক্ষা দিয়ে কি লাভ ?? রাজনীতি কলংকিত হয় মূলতঃ এই সব অনুর্বর মস্তিষ্কের কারণেই ! শিক্ষিত লোকজন রাজনীতি বিমুখ হয়ে পড়ছে এসব নোংরামির কারণেই !
আজকের খবরের হেডলাইন দেখুন:
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও মেয়র পদে থাকতে পারছেন না রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নগর পিতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নগর পিতা আরিফুল হক চৌধুরী।
দীর্ঘদিন দুই বছর (২৩ মাস) বরখাস্ত থাকার পর উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে আজ নগর ভবনের চেয়ারে বসেন তারা। কিন্তু ৪ ঘন্টাও ক্ষমতায় থাকতে পারেননি এই দুই মেয়র। অনেক নাটকীয়তা শেষে চেয়ারে বসার ১০ মিনিটের মাথায় রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে এবং দায়িত্ব পালনের ৪ ঘণ্টার মাথায় আরিফুল হক চৌধুরী তাকেও বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে দায়িত্ব নেয়ার ১১ দিনের মাথায় ফের বরখাস্ত হলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ। রোববার বিকেলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তার বরখাস্তের আদেশের কপি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে পৌঁছে।
বাহ কি অসাধারণ সংবাদ শিরোনাম ! জনগনের ভোটের রায় মেনে নিতে না পারাই কি এর মূল কারণ নাকি অন্যকিছু ?
এসব কর্মকান্ডে কি সরকারের মর্যাদা বাড়ে না কমে তা ভেবে দেখার অবকাশ কি সরকারের আছে ?? যদি থাকে তাহলে স্থানীয় সরকার আইনের বরাদ্দ দিয়ে এই সূক্ষ্ম কুমন্ত্রক কারা ?? হোক তাঁরা বিএনপি-জামাত জোটের তবুও জনগনের ভোটেই তো তাঁরা নির্বাচিত মেয়র !
হ্যা ! তাঁরা বিভিন্ন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হয়েছেন ! এর জন্য আইন আছে, বিচার হবে তাই বলে জনগনের রায় এভাবে কাঠগড়ায় যাবে কেন ?? বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় অভিযোগপত্র দিয়ে ইতিমধ্যে দুই শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরো কয়েক শ’ জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জনগণের ভোটে তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, কিন্তু তারা জনগণের সেবা করতে পারছেন না। জনবিচ্ছিন্ন করে রাখার উদ্দেশ্যেই বরখাস্ত করার কৌশল নিয়েছে সরকার। এই নেতার অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কি যৌক্তিকতা আছে ?? এভাবে গণবরখাস্তের কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অর্থহীন হয়ে পড়ছে; স্থানীয় সরকারের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা নষ্ট হচ্ছে; প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে হয় ! অতএব এই আইনটির পরিবর্তন দরকার !
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:১৩