মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাচ্চু জামিনে পলাতক।
পুরো ঘটনাঃ
২০১২ সালের জুন মাসে রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন হাতিরপুল নাহার প্লাজার ১৩ তলার ১৩০৮নং কক্ষে সোনালী ট্যুরিস্ট অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সিতে দণ্ডিত মো. সাইদুজ্জামান বাচ্চু ভিকটিম রোকসানা আকতার রুমিকে ধর্ষণ করার পরে গলা টিপে হত্যা করে। পরে ধারালো দা দিয়ে ভিকটিমের গলা কেটে দেহ হতে মাথা বিচ্ছিন্ন করে এবং শরীর থেকে হাত-পা, বুকের খাঁচা এবং শরীরের অন্যান্য অংশের হাড় নাহার প্লাজা সংলগ্ন নিজাম উদ্দিন বিল্ডিংয়ের ছাদের উপর ফেলে দেয়। সেইসাথে শরীরের নরম মাংস, চর্বি, নাড়ি-ভুড়ি, কলিজা, ফুসফুসসহ ভিকটিমের পড়নের কাপড় টুকরা টুকরা করে বাথরুমের কমোডে ফেলে দেয়।
গ্রেফতারের পর ২০১২ সালের জুন মাসে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাইদুজ্জামানকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। সেখানে বাচ্চু কিশোরী রুমিকে হত্যা ও লাশ টুকরা করার বীভৎস বিবরণ দেয়।
সাক্ষ্য চলাকালীন হাইকোর্ট বিভাগের ক্রিমিনাল আপিল নং ৫৬৪৯৫/১৬ মামলায় ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনপ্রাপ্ত হয়ে আসামি বাচ্চু পলাতক থাকে।
রুমিরা পাঁচ ভাইবোন। সে মা-বাবার তৃতীয় সন্তান। তার বাবা মৃত এবং মা বাসাবাড়িতে কাজ করেন। রুমির তিন বোন ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সেও চাকরির উদ্দেশ্যেই ঢাকায় এসেছিলো।
এবার প্রশ্ন হলঃ এরকম একজন আসামি হাইকোর্ট থেকে সাক্ষী চলাকালীন জামিন পায় কিভাবে ??? কোন আইন ব্যবসাজীবী এইরকম একটা নরপশুর পক্ষে দাঁড়িয়ে জামিনে মুক্ত করে পালাতে সাহায্য করেছিলেন ????
এক্ষেতের আমরা প্রায়ই পুলিশ প্রশাসনকে দোষারোপ করে থাকি ! অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রশাসন তার দায়িত্ব যথাৰ্থভাবে পালন করলেও আদালতে এসে আইনের মারপ্যাচে অথবা ফাঁকফোকর গলে আমাদের মহান আইনবীদদের কল্যানে মহা মহা অন্যায়-অপরাধকারীরা নিঃশ্চিন্তমনে পার পেয়ে যায় !
এ তাহলে কেমন আইন ও আইনপেশা ?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫