আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসটা বোঝা অনেক সহজ ! পাকিস্তান সরকারের একগুঁয়েমি কার্যকলাপ এবং ভুল পদক্ষেপের ফল আমাদের স্বাধীনতা ! অর্থাৎ পাকিস্তান সরকার ভুল না করলে বঙ্গবন্ধু তাদের গলা টিপে নাও ধরতে পারতেন ! যাহোক সেদিন ইন্দ্রিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে ! স্বাধীনতা অর্জনের পাশাপাশি সেদিন থেকে কিছু বাঙালির ক্ষমতার হালুয়া-রুটি, মুড়কি-মালাইয়ের পথও সুপ্রশস্ত হয় ! এ তো গেলো স্বাধীনতার ইতিহাস; সেই সাথে ভারতের আন্তর্জাতিক রাজনীতি কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি ??
গণ তান্ত্রিক সরকারের দুই যুগ পেরিয়ে গেছে আগেই ! এই দুই যুগে দেশ আবিষ্কার করেছে মাত্র দুটি রাজনৈতিক দল ! এভাবে যদি আরও দুই যুগ কেটে যায় হিসেবে অনুযায়ী হয়তো আর দুইটি দল আবিষ্কার করতে পারে দেশ ! গত দুই যুগে জনগণ দুটি রাজনৈতিক দল নয় বরং দুটি পরিবার তন্ত্র দেখেছে; এটাই ঠিক হবে হয়তো ! তাহলে কি এরা রাজনৈতিক দল নয়, এই প্রশ্ন করে কেউ লজ্জা দিবেন না প্লিজ !
সময় এখন নিজের ঢাক নিজেই পিটানোর !
-কিভাবে ?
অমুক ভাইয়ের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন দিবেন !
জানিনা আঠারো-উনিশ শতকের রাজনৈতিক নেতারা এই বিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল নেতাদের মত রাস্তায় রাস্তায়, গাছে গাছে, শহর বন্দরে, অলিতে গলিতে নিজের ছবি টাঙাইয়া নেতা হইছিলো কিনা কে জানে ! ! ! !
নেতা হওয়ার জন্য মনে হয় এটাই লেটেস্ট প্রক্রিয়া
ছাত্র নামধারী রাজনীতিবিদদের জন্য আলাদা খোঁয়াড়ের ব্যবস্থা করে শিক্ষাঙ্গন, শিক্ষার মান ও পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সহজ !! অর্থাৎ যারা রাজনীতি করতে চায় নেতাগিরি করতে চায় তারা খোঁয়াড়ে ঢুকে করবে আর যারা শিক্ষার্জন করতে চায় মানুষ হইতে চায় তাদের জন্য আলাদা শিক্ষাঙ্গন ব্যবস্থা চালু করলে জাতি আশাকরি মুক্তি পাবে এবং একটি শিক্ষিত জাতি হিসাবে আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারবে ! এখন যেমন এই জাতি শিক্ষিত না অশিক্ষিত বোঝা মুশকিল তখন এই হেজিটেশন থাকবে না !!
এখন শিক্ষিতের হার বেড়েছে কিন্তু আত্মসম্মানবোধের হার শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে; না সম্মান দিতে জানি না নিতে জানি ! স্বাধীনতা পূর্বের ইতিহাস সংস্কৃতি ছিলো বয়স্ক এবং শিক্ষিতদের সম্মান করা, ঠিক বর্তমান সংস্কৃতির বিপরীত ধারা ছিলো ! বর্তমান সংস্কৃতিতে যুক্ত হয়েছে একজন শিক্ষিত লোক কিভাবে আরেকজন শিক্ষিত লোককে ডমিনেট করবে, প্রতিহিংসা কিংবা প্রতিশোধ পরায়নপর হয়ে প্রয়োজনে নন গ্রাজুয়েট কোনো বাহিনী দিয়ে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে ক্যামেরা লাইট অন করে জাতির সামনে উপস্থিত করে ! হয়তো এসব নাটক পরিচালক থাকেন চিরচেনা পেশিশক্তির অধিকারী কোনো অশিক্ষিত বা নামধারী শিক্ষিত কোনো মুখ ! আমাদের কাছে তারা রাজনীতিবিদ অথবা রাজনৈতিক গুরু/অবিভাবক হিসেবেও পরিচিতি থাকে !
যাহোক এসব কষ্টের পরিক্রমা প্রকাশ মাত্রই যদি আমার পিঠের চামড়া খসে যায় কিংবা হাতে পরে হ্যান্ডকাফ তাহলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না বরং এটাই বর্তমান বাস্তবতা ! তাই আমার মতো আপনারও নিরাপদ ও সুস্থ সামাজিক জীবন কামনা করছি !!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৫