শিক্ষা গ্রহন নারী-পুরুষ উভয়েরই জন্যই প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় শিক্ষা মানুষ আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে প্রকৃতি থেকেই পেয়ে থাকে যা দ্বারা দৈনন্দিন কার্যাবলী করা সম্ভব। প্রাথমিক শিক্ষা মানুষকে অর্জিত জ্ঞানকে লিখতে এবং হিসাব নিকাশ করতে সহায়তা করে। কারিগরি শিক্ষা যন্ত্রপাতি পরিচালনা ও কারিগরি কাজ করতে সহায়তা করে। উচ্চ শিক্ষা মানুষকে তার মানবীয় গুনাবলী ফুটিয়ে তুলতে সহায়তা করে। উচ্চ শিক্ষা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উচ্চা শিক্ষা প্রদানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই আছে শুধু সার্টিফিকেট তৈরীর কারখানা। তাই সকলের ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ ও নেই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া নারীদের উচ্চ শিক্ষা সমাজের জন্য ভালো ফলাফল বয়ে আনতে সক্ষম নয়। আমাদের দেশের উচ্চ শিক্ষা মেয়েদের করেছে অস্থিতিশীল। শিক্ষার তিনটি স্তর রয়েছে। যে প্রথম স্তরে প্রবেশ করে সে অহংকারী হয়ে ওঠে, যে দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশ করে সে বিনয়ী হয় আর যে শিক্ষার তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করে তিনি মনে করেন তিনি কিছুই জানার সুযোগ পান নি তাকে আরও অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহন করতে কবে। আমাদের উচ্চশিক্ষিত মেয়েরা জ্ঞানের প্রথম স্তরে প্রবেশ করে অহংকারী হয়ে ওঠে। অহংকার পতনের মূল। উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে মেয়েরা বিয়ে এবং সংসারে মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। মাস্টার্স পাশ করতে গিয়ে একটা মেয়ে বিয়ের বয়স পার করে ফেলে তার চেহারার লাবণ্য হারিয়ে যায় ফলে উপযুক্ত পাত্র মেলা ভার। আবার অনেক মেয়ে রূপ-লাবণ্য ধরে রাখলেও অহংকারে উপযুক্ত ছেলে না পেয়ে আজীবন কুমারী থাকার সিদ্ধান্ত নেন। আবার অনেক মেয়ে চাকুরী/ব্যবসা/ক্যারীয়ার নিয়ে এতো বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে বিয়ে করার সময় পান না। আর যে সকল উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে বিয়ে-শাদী করা সুযোগ পান তারা সংসারে মনোযোগী হতে পারে না। দৈনন্দিন সংসারের কাজ তাদের কাছে অপাংতেয় বা অপ্রয়োজনীয় বা কাজের লোকের কাজ মনে করে। তাই শিক্ষিত মেয়েরা (তথাকথিত শিক্ষিত) অর্জিত জ্ঞানকে সংসারে কাজে না লাগিয়ে ভুল জায়গায় এসেছে মনে করে আফসোস করে সোনার সংসারকে নরকে রূপান্তর করে ছাড়ে। ইসলাম ধর্মে নারীদের যে মূল্যায়ন করেছে বা তাদের যে সংসারধর্মের শিক্ষা দিয়েছে তা অশিক্ষার ছোবলে পড়ে খুইয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন এর নামে নারীদের ঘরের বাইরে এনে ইসলাম ধর্ম বা মুসলিম উম্মার ক্ষতি করা যে পশ্চিমা বিশ্বের নীল নকশা তা নারীবাদী বা নারী উদ্যোক্তারা টের পাচ্ছেন না। বাংলাদেশের একমাত্র গারো উপজাতি মাতৃপ্রধান। কিন্তু তথা কথিত শিক্ষিত নারীগণ সমগ্র সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের প্রাধান্য দিতে গিয়ে প্রচলিত সমাজে বিশৃংখলা তৈরীতে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলছে। চাকুরীজীবি নারীরা সংসারে পান থেকে চুন খসলে ডিভোর্স দিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী পরিচয় দিচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নে কি পরিবার বা সমাজের ক্ষমতায়ন হচ্ছে এটা এখন ভেবে দেখার বিষয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২২