বর্ষবরনের বাঙ্গালির এক উল্লেখযোগ্য ঐতিহ্যের নাম পহেলা বৈশাখ।এরই ধারাবাহিকতায় ভেসে ওঠে বাঙ্গালি সংস্কৃতীর এক অপুর্ব মিলন মেলা।যেখানে সমাগম হয় বাঙ্গালি লোক শিল্প,কারু শিল্প,চারু শিল্পের নিপুন সব বাহারি শিল্প।ঐতিহ্যের এই দিনে মনে পরে যায় গাঁয়ের ঐতিহাসিক সেই সময়ের কথা-পল্লীর বধুরা ভোর হতেই ভালো মন্দ খাবারের আয়োজন করে যেত, কারন প্রথা আছে এই দিনটা যদি ভালো যায় তবে পুরো বছরটাই এভাবে কেটে যাবে,যদিও সবটাই কথার কথা তবুও পরিবারের সবাই ই সেদিন নতুন উদ্দমে,উৎফুল্ল আমেজে কাটাতো।একটু বেলা কাটতেই কিশোর কিশোরীর দল বর্নীল সাজে দলে দলে ছুটে আসতো মেলা প্রাঙ্গনে,থৌল,চরকি,নাগোর দোলা,ইত্যাদি ছিলো অাকর্ষনীয় বিনোদন।খাবার হিসেবে, সন্দেস,তরমুজ,সদ্য ভাজা গরম জিলাপি,বাতাসা-মুড়ি ইত্যাদী উল্লেখযোগ্য,যার স্বাধের কোন জুড়ি ছিলোনা। বিকেল তিনটে নাগাদ মেলা চলতো এরপর আয়োজন থাকতো ঘোড়ার দৌর প্রতিযোগিতা।এই বিষয়টাই ছিলো আজকের দিনের মূল উপজিব্য বিষয়।কিন্তু সময় বড্ড পাল্টে গেছে।এখন আর এসব হয়না যা হয় অতিরঞ্জিত আধুনিকতার নামে ছেলে মেয়েদের অবাধ পশরা। তাই এ দিনটাকে তেমন আর জীবন্ত মনে হয়না।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



