তবু তাপ আসে মেতে ওঠবার কঠিন কালের ঘাড়ে চেপে, তথ্য-অতথ্যবিস্ময় ঘিরে পাতা থাকা আড়ি ভেদ করে, কস্মিন সন্ধ্যায় এরকম আর কবে ঘটেছিল খুঁজে দেখি, রোদের আগল খুলে কবে বের হয়েছিল আমোদের শাক, গরম ভাতের সাথে-- এই যে পাঠবস্তুহীন বড়ো আজেবাজে রাত পুকুরপঞ্জরে নামে স্নানে, পঙ্কআয়না ঘিরে সুললিত অমরাকে এঁকে রাখে ঝাঁপসা ঘোলাটে, যেখানের ঘোরগুলি অবজ্ঞায় মরে পড়ে থাকে
অকৃত্রিমতাকে যখন প্রশ্নার্ত হতে হয় অকাম্য সে স্থানে কারো অপেক্ষার প্রশ্নই আসে না, কে ওদের বোঝাবে যে ধ্যান হলো মহার্ঘ্য অতি, এটা হলো ভিতর দিক থেকে এক ধরনের জেগে ওঠা, সব শ্রুতিগ্রাহ্যতাকে দৃষ্টিগ্রাহ্যতার সীমায় এনে দাঁড় করিয়ে দেয়া এবং দৃষ্টিগ্রাহ্যতাকে শ্রুতিগ্রাহ্যতায়-- সবার ভাবনাচূড়ায় সুগন্ধি পুষ্পেরা ফোটে না, বয় না আঙিনা জুড়ে সুমন্দ হাওয়া, বোঝে না যে কবিকে কিছু বিচিত্র সময় চৌচির রাত উপহার দেয়া-থোয়া মন্দ নয়
যেরকম প্রস্তুতি থাকে হয় না সেরকম কোনোকালে, প্রস্তুতিকে ঘিরে মন যেরকম ক্রিয়াফল প্রত্যাশিত জানে, তার কম-বেশি নসিব হলে একটি মামুলি শব্দও গূঢ়ধ্যান ভেঙে দিতে পারে, একথা তখন ঠিক বলে দেয়া যায় যে এ পোড়াবাজারে একটি চুলের ঝরে যাওয়াও কম কিছু নয়, যারা এটা নিয়ে ধুমসে মজা করে তাদের ধুনে তুমি এরকম অঙ্কেরই ল্যাঠা দিও হে প্রভুপ্রকৃতি--
এরকমও কেউ কেউ ভাবে যে করে দেবে দীনলীন, নানারঙ অনুমান ফাদে বিবিধ আঙ্গিকে, নানা ঘরানার ছবি এঁকে নিজস্ব বিভ্রমজালে নড়েচড়ে বসে, মহিমাই বাড়ে তাতে মহিমাই বাড়ে, রাত তিনটা শুনে চমকে ওঠে একজন, তার বিস্ময়মাখা চোখের দৈর্ঘ্য আঁকতে চাওয়া হলে যতখানি ধৈর্য্য লাগে ততখানি আপাতত এখনো পারি না
মাথার ওপর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করে যারা শ্রেণিরেলে, ওদের কী মনোভাব জানা থাকা ভালো, আঁকতে ধরতে আমি সেটাকেও চাই, তুলে এনে বুনে যেতে চাই কিছু কাগজে কলমে, এটা ঠিক আঁকা হলে, অতগুলো মানুষের মনোভাষ ছায়া, বিশালায়তন এক কাব্য করা হয়
এটা কি চিড়িয়াখানায় রাখা মানুষখেকোর কোনো খাঁচা, বিশাল থাবার ভয়ে দূর থেকে উঁকিঝুঁকি, আর শুধু রিউমার চারিদিকে, দিনে দিনে ঘটনার কিছুটা তো বদলায় তাতে, জন্মায় অঢেল ভঙ্গিরা দেখার, যখন মনে হয় না স্থির বলে কিছুকেই, বারেবারে প্রহসন চোখে পড়ে যে-বেলায়, তখন বেরিয়ে যাওয়াও আরো বিপদকে ডেকে আনা
এ শহর দুর্ভাগা চেনে না সৌভাগ্যের বরপুত্র ছাড়া, নতুন নতুন লোক আর ভিড় শুধু, কোলাহল হৈচৈ করে, এর মাঝেও উপলব্ধিতে সহজে যা না আসে তাকে ধরে আনা আর সঘন উল্লাসে রূপ দিয়ে বুকে বেঁধে সযতনে হাইব্রিড কথাজাল বুনবার শক্তি দাও, রূপজলে ধুয়ে ধুয়ে আলোর পশর, রূপদর্শী এসেছে যারা পৃথিবীতে, তারা অনেক বেশি নিজেদের বুঝোমন ভাবে, তবু শীত আর শীত মিলে কাঁপাচ্ছে হাত, দাঁত পাটি লাগে দাঁত পাটিরে
অযথাই ঠিকানা হদিস, যেন স্থাননাম মোটাদাগে ইমেজের রূপায়ণ সুনির্দিষ্ট করে রাখে, লোকজন এত রদ্দি আহা, তাকে নিয়ে আরো আরো কাব্য বিরচন করাই তো যেতে পারে, ওগো পাড়াপ্রধানেরা সতর্ক প্রহরী দিয়ে রুখো যতটাই, এ পাড়ায় আরো বেশি দেখবে চাঁদেরে, আচারে ও ব্যবহারে এতটা বৈচিত্র্য দাগানো যে এটাই সম্ভব ছিল, এটাও এক ক্রিয়ারীতি বলে কতজন আসে আসে, কতজন আসি আসি সকলেই ফিরে যায় শেষে
কবিকে নিরিখ করা পদার্থবিজ্ঞানভাষে কোনো কাজ নয়, কী করে কাজের বস্তু হব তবে, কী এমন যোগ্যতা অর্জিত হলো হাজারে হাজারে ব্যর্থ রচনার খসড়া করা ছাড়া, দিক-বিদিকের যত অঢেলতা তার প্রতি সমীহকে জি'য়ে রাখতে দেহ ও মনকে নিয়ে ফেলে রাখি ঝুঁকিঘরে, ভয়ানক লোকদেখা খেলি, লোকদেখা খেলে খেলে আজ এই লোকেদের পরিমেলে ডিম মামলেট খেতে গিয়ে পরোটার সাথে লাগে দুর্ঢিলে গিঁট
Attached artwork: Forms of Fear by Diana Ong from http://www.allposters.com/
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫১