হয়ত এই খবটি প্রকাশ পেলে আজকের এই জাতীয় শোক দিবস শোকের হতো না। আনন্দ আর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কোন এক স্মরণীয় দিন হয়ে যেত।
“কতিপয় সেনা কর্মকর্তাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা’ শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাকে ১৯৭৫ সালে খবর সাজিয়ে তা প্রেসেও পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তবে সে সংবাদ প্রকাশ পায়নি। সে সংবাদ প্রকাশ পেলে ১৫ আগস্টের মতো ঘটনা ঘটত না। আগস্ট শোকের হতো না। ‘ওপেন সিক্রেট’ নামে তখন ওই পত্রিকায় কলাম লিখতাম। খবরটি করার পর পরবর্তী সময়ে কলাম লিখতে বারণ করা হয়েছিল।’’
কথাগুলো প্রখ্যাত সাংবাদিক এটিএন নিউজের সিইও আবেদ খানের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গত শনিবার বিএসটিআই মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।
আবেদ খান বলেন, “১৯৭৫ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় কাজ করায় সময় এপ্রিলে বন্ধু বিচিত্রাখ্যাত শাহাদাত চৌধুরী ফোন করে ক্যান্টনমেন্টের এক বাসায় নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে মেজর ডালিম, মেজর নূর, কর্নেল ফারুক ও মেজর ডালিমের স্ত্রী নিম্মি উপস্থিত ছিলেন। মেজর ডালিম তখন তার ওপর নানা অবিচার করা হয়েছে দাবি করে সেসব তথ্য সংবাদ আকারে তুলে ধরতে বলেন।”
তিনি বলেন, “কী সংবাদ করবো, তার ছক আগেই মনে এঁকে ফেলেছিলাম। অথচ সে সংবাদ প্রকাশ পায়নি। বুঝতে পেরেছিলাম, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ছক তৈরি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হবে। অনেকেই সে ষড়যন্ত্রে শামিল ছিলেন। যদিও বঙ্গবন্ধু মানুষকে বিশ্বাস করতেন। সব ধরনের মানুষকে বুকে জড়িয়ে রাখার ক্ষমতা তার ছিল।”
আবেদ খান বলেন, “দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী দিতে গিয়েছিলাম। এক আইনজীবী প্রশ্ন করেন, আমি নাকি তথ্য গোপন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছি। কিন্তু তার অভিযোগ সত্য না। কারণ, বারবার সেনা অভ্যুত্থানের ব্যাপারে খালেদ মোশাররফ ভাইকে বলেছি। আমার সংবাদ প্রকাশ করা হয়নি, এটাও জানিয়েছি। তবে কোনো কাজ হয়নি।”
তিনি বলেন, “বাস্তবতার নিরিখে দেশকে বিশ্লেষণ করতে হবে। একটি গোষ্ঠী দেশের রাজনীতি, রাজনৈতিকদের নিজে বাজে কথা বলে থাকে। তবে তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে হবে। রাজনীতি বন্ধের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক হয়ে দাঁড়াতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “ব্যক্তিস্বার্থে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করা ঠিক না। বর্তমান সরকারের বিপর্যয় হলে দেশ একটা অগ্নিগর্ভে পরিণত হবে। নারীরা রাস্তায় বের হতে পারবেন না। তরুণরা কথা বলতে পারবেন না। দেশ সন্ত্রাসের মৃগয়াক্ষেত্রে পরিণত হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে এক হয়ে কাজ করতে হবে।”
এটি আমার কোন মৌলিক পোস্ট নয়। কিছু তথ্য আপনাদের কাছে শেয়ার করার জন্য পোষ্টটি দিলাম সাময়ীক হিসেবে। তথ্যসূত্র: বার্তা২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




