১৫ রোজার পর থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে সব বিপণিবিতান সারা রাত খোলা রাখতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে বিপণিবিতানগুলোকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। ইফতারের সময় থেকে তারাবির নামাজ পর্যন্ত দোকানগুলোতে অর্ধেক বাতি জ্বালাতে হবে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বন্ধ রাখতে হবে এবং মারকারি বাতি জ্বালানো যাবে না।
আজ রোববার দুপুরে ১২টার দিকে বিদ্যুত্ ভবনে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও ডিপিডিসি যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ডিপিডিসির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে ফরিদুল হক বলেন, দেশের সব দোকান ও বিপণিবিতানকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে, নইলে এসব দোকানে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিপিডিসি ও দোকান মালিক সমিতির যৌথ দল প্রতিটি বিপণিবিতান সরকারের নির্দেশাবলি সঠিকভাবে মানছে কি না, তা তদারক করবে। কোনো বিপণিবিতানের বিরুদ্ধে নির্দেশ অমান্যের অভিযোগ পাওয়া গেলে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আমির হোসেন খান ও মহাসচিব এস এ কাদের ফিরোজ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, সারা রাত তো আর ক্রেতা থাকবে না। যতক্ষণ ক্রেতা থাকবে, ততক্ষণ তাঁরা দোকান খোলা রাখবেন।
সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা রোজার মাসে সারা বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করি। এমনিতে রাত আটটার মধ্যে দোকান বন্ধের সরকারি নির্দেশ আছে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম রোজার মাসে যেন এই নিষেধাজ্ঞাটা না থাকে। সরকার আমাদের কথা শুনেছে।’ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের সুযোগ দিয়েছে ব্যবসা করার। আমরা দোকান-মালিকেরা যেন বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে চলি।’

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



