২০১৩ সালের জানুয়ারিতে এই মসজিদটি নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।মসজিদটি মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে। এই কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মা রিজিয়া খাতুন।মসজিদ নির্মাণে ব্যায় হবে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাণ কাজ এখনো চলছে। নির্মাণ শেষ হলে কাবার ইমাম এসে নামাযের ইমামতি করে মসজিদটি উদ্বোধন করবেন। পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো এত সংখ্যক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ তৈরী হয়নি।
২০১ গম্বুজ এই মসজিদটি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গম্বুজ এবং দ্বিতীয় উচ্চতম মিনার বিশিষ্ট মসজিদ। এই মসজিদের নকশা করা হয়েছে ২০১টি গম্বুজ এবং ৯টি মিনার দিয়ে সজ্জিত একটি পূর্নাঙ্গ মসজিদ কমপ্লেক্স হিসেবে।মসজিদটি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে অবস্থিত।
অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের ছাদে প্রায় ৮১ ফুট উচ্চতার একটি গম্বুজ রয়েছে।বড় এই গম্বুজটির চারপাশে ছোট ছোট আরো ২০০টি গম্বুজ আছে ।আর ঐ গম্বুজগুলো প্রত্যেকটির উচ্চতা প্রায় ১৭ ফুট। মূল মসজিদের চার কোণায় রয়েছে ৪টি মিনার।মিনারগুলোর প্রত্যেকটির উচ্চতা প্রায় ১০১ ফুট। পাশাপশি আরও চারটি মিনার আছে,সেগুলো ৮১ ফুট উচ্চতার। সবচেয়ে উঁচু মিনারটি মসজিদের পাশেই অবস্থিত। এর উচ্চতা ৪৫১ ফুট।
১৪৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪৪ ফুট প্রস্থের দ্বিতল এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের দেওয়ালের টাইলসে অঙ্কিত রয়েছে পূর্ণ পবিত্র কোরআন শরিফ। যে কেউ বসে বা দাঁড়িয়ে মসজিদের দেয়ালে অঙ্কিত কোরআন শরিফ পড়তে পারবেন। মসজিদের প্রধান দরজা নির্মাণে ব্যবহার করা হবে ৫০ মণ পিতল। আজান দেওয়ার জন্য মসজিদের সবচেয়ে উঁচু মিনারে বানানো হবে। মসজিদটি সম্পুর্ন শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও এতে সহস্রাধিক বৈদ্যুতিক পাখা যুক্ত করা হবে।
বিশাল বড় এই মসজিদটি এবং মসজিদ কমপ্লেক্সটি প্রায় ১৫ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত। মিহরাবের পাশে লাশ রাখার জন্য হিমাগার তৈরী করা হবে। তাছাড়া মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে আলাদা ভবন। ওই ভবনে থাকবে দুঃস্থ নারীদের জন্য বিনা মূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা।
তথ্যসূত্র: বাংলা উইকি ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৩৮